logo ২৫ এপ্রিল ২০২৫
শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় দুইজনের জামিন
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ১৫:৩৪:৩৮
image

ঢাকা: প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার সার্টিফিকেট প্রতারণা মামলায় জামিন পেয়েছেন দুই আসামি।


সোমবার পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) হুমায়ুন কবীর তাদের জামিন দেন। আসামিরা হলেন প্যারাগন লেদার অ্যান্ড ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজের হিসাব কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন ও কম্পিউটার অপারেটর হেমন্ত বাইন ভূঞা।


তবে মামলার অপর আসামি এমএ সালাম অসুস্থতার কারণে আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তাকে জামিন দেয়া হয়নি। তাকে জেলহাজতে উন্নত চিকিৎসা দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর জামিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আদালত।


আজ আদালতে দুই আসামিসহ রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্যানেল আইনজীবী মাসুদ রানা খান, আসামিপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ, ইমানুর রহমান, জেসমিন আক্তারসহ আরও বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।


গত ১৪ সেপ্টেম্বর মামলার পাঁচ আসামি ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু বিচারক হুমায়ুন কবীর তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠান।


জেলহাজতে পাঠানো আসামিরা করেন- প্যারাগন লেদারের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ সালাম, করপোরেট অ্যাডভাইজর আব্দুস সালাম (ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অফ বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি), অ্যাকাউন্ট অফিসার মো. জালাল উদ্দিন, শেয়ার অফিসার এসএম জুনায়েদ বাগদাদী ও কম্পিউটার অপারেটর হেমন্ত বাইন ভূঞা।


পরে গত গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানের আব্দুস সালাম ও ২৩ সেপ্টেম্বর এসএস জুনায়েদ বাগদাদীকে জামিন দেয় ট্রাইব্যুনাল।


২০০১ সালের ৩১ মে প্যারাগন লেদারের শেয়ার জালিয়াতির অভিযোগের তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেয় বিএসইসির তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানের শেয়ার জালিয়াতির পেছনে আসামিদের কার্যকর ভূমিকা ছিল। তারা জাল শেয়ার সার্টিফিকেট ঋণের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দেয়। আর ওইসব জাল শেয়ার সার্টিফিকেট ব্যাংকের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে আসে। এতে শেয়ার বাজারে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।


প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, জাল শেয়ার গ্রহণ করা ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা আসামিদের প্রত্যেকের জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা করে ঋণের ব্যবস্থা করে দেন। এ ছাড়া আসামিদের দুজন জাল শেয়ার সার্টিফিকেটের মাধ্যমে সন্ধানী ক্রেডিট অ্যান্ড কোঅপারেটিভ ও চার্টার্ড ক্রেডিট কোঅপারেটিভ সোসাইটি থেকে ঋণ নেন।


(ঢাকাটাইমস/২৮সেপ্টেম্বর/এমএন)