নির্বাচন মানেই প্রতীকের লড়াই। আর বাংলাদেশে ৯০ দশক থেকে প্রতীকের লড়াই মানেই নৌকা আর ধানের শীষের প্রতিযোগিতা। এতদিন কেবল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাওয়া যেত এই আমেজ। কিন্তু স্থানীয় সরকারের অন্য সব ভোটের লড়াইয়ে দলগুলো অংশ নিলেও তাদের সমর্থিত প্রার্থীরা পছন্দের এই প্রতীকগুলো পেত না। কারণ, কাগজে কলমে এই নির্বাচন বরাবর হয়ে আসছে নির্দলীয় ব্যানারে। তবে আইন সংশোধনে এবার এই ‘দ্বিচারিতা’র অবসান হয়েছে। পৌরসভা নির্বাচনেও মেয়র প্রার্থীরা পেয়েছেন দলের জাতীয় নির্বাচনের প্রতীক।
২০০৯ সালের ২৯ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে শেষবার দেখা গিয়েছিল দেশের দুই প্রধান দলের মহারণ। বিএনপি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করায় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সে লড়াই আর হয়নি। কিন্তু আগামী ৩০ ডিসেম্বর আবারও ফিরছে ভোটের সেই উন্মাদনা। যদিও নৌকা আর ধানের শীষের বাইরে আরও কিছু পরিচিত নির্বাচনী প্রতীক আছে দেশে, তবে সারা দেশে প্রধান দুটি দলের মতো এসব প্রতীকের সমর্থক পাওয়া কঠিন। তাই ভোটের রাজনীতিতে প্রধান প্রতীক দুটোর লড়াই শুধু নির্বাচনের লড়াই থাকে না, রাজনীতির মহাযুদ্ধের বার্তা নিয়ে আসে। নির্বাচন শুধু ক্ষমতার পালাবদলের মাধ্যম নয়, জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের মানদ-ও বটে। সাত বছর পর পাড়া-মহল্লার অলিতে-গলিতে শোনা যাবে নৌকা কিংবা ধানের শীষের স্লোগান। সমর্থকদের করতালি আর কণ্ঠ মেলানোর প্রতিযোগিতা নতুন ছন্দ এনে দেবে নাগরিক জীবনে।
রাজনীতির সময়টা অনেকটা একঘেয়ে হয়ে উঠেছে দীর্ঘ সাত বছর ধরে। সেই ২০০৮ সালের শেষদিকে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো। উৎসবের আমেজে রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় যাওয়ার লড়াই, ওটাই ছিল শেষ। তারপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আসেনি বিএনপিসহ জোট শরিকরা। আওয়ামী লীগ ও তার মিত্ররাই ওই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। ‘একতরফা’ সেই নির্বাচন ঠিকঠাক হলেও উৎসবের কোনো লেশমাত্র ছিল না। যে কারণে নৌকা আর ধানের শীষের যুৎসই লড়াই থেকে বঞ্চিত হয়েছিল দেশবাসী।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষে জাতীয় নির্বাচন ঢের দেরি, ২০১৯ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু এর আগে দলীয় মনোনয়ন আর প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের হারানো সেই উচ্ছ্বাসই যেন ফেরত দিতে যাচ্ছে দেশবাসীকে। সেই মহালড়াই হবে ২৩৫টি পৌরসভায়। যেখানে অংশ নেবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দলগুলো। থাকবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। এর মধ্যে সদ্য উচ্চ আদালতের আদেশে নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। তবে বিএনপি যেহেতু এককভাবে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সেখানে জামায়াত ‘স্বতন্ত্র’ প্রার্থীর কৌশলটা বেশ ভালোভাবেই চর্চা করতে চাইবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
অতীতে হয়ে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল হালকা দাগে পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দেশের প্রধান দুটো রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তার ব্যারোমিটার কাছাকাছি জায়গায় গিয়ে থিতু হয়। একের তুলনায় অন্যের যে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা তা বলা যাবে না। তবে দুই দলের অংশ নেওয়া শেষ দুটো জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলে অবশ্য কিছুটা পরিবর্তন দেখা গেছে। সার্বিক বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে স্পষ্ট হবে যে, গড়পড়তায় প্রধান দুই দলের জনপ্রিয়তা কাছাকাছি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠান একদিকে যেমন আনন্দ ছড়াবে সবার মধ্যে তেমনি চ্যালেঞ্জও রয়েছে আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই দলেরই। ক্ষমতাসীনদের চ্যালেঞ্জটা একটু কঠিনই বটে। কারণ ক্ষমতায় থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কঠিন পরীক্ষা তাদের দিতে হবে। কারণ এই সরকারের সময়ে স্থানীয় সরকারের অধীনে সিটি করপোরেশন, উপজেলা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনেছে বিরোধী শিবির। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ তো সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘অতীতের নির্বাচনের ভুলত্রুটিগুলো আমলে নিয়ে এবারের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশন সচেষ্ট থাকবে।’ যদিও নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন কিছু নয়। পরাজিতরা বরাবরই জয়ীদের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ ও ভোট কারচুপির অভিযোগ আনে। এগুলো সবই যে সত্য তা নয়।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নতুন উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। ভোটের মাঠের জয়-পরাজয়কে সামনে রেখে নতুন ছক কষছেন কেউ কেউ। মনোনয়ন পাওয়া থেকে শুরু করে প্রচারণাতেও থাকছে জাতীয় নির্বাচনের আবহ। তবে শুধু মেয়ররাই পাচ্ছেন এই সুযোগ। কাউন্সিলররা অবশ্য আগের মতোই নির্দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশ নেবেন। যদিও এ পর্যন্ত স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয় বলা হলেও আদপে সবকিছুতেই ছিল জাতীয় রাজনীতির ছাপ। আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ না থাকলেও ভেতরে ভেতরে দলের বা জোটের পছন্দের প্রার্থীর হয়ে অন্যরা কাজ করত। তবে এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে আইন করার পর প্রকাশ্যেই প্রার্থীকে আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।
ঝিমিয়ে পড়া বিএনপি চাঙ্গা হচ্ছে
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি যে ঠিক সিদ্ধান্ত নেয়নি, তা স্বীকার করেন দলের নীতি নির্ধারণী অনেক নেতাই। যারা এখনও গায়ের জোরে ওই সিদ্ধান্তকে সঠিক বলছেন, তাদের মধ্যেও আছে শতভাগ আস্থার সংকট। শুধু দলীয় প্রধান কিংবা দলে তার অবস্থান ঠিক রাখার জন্যই সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার সংস্কৃতি চালু করতে পারেননি রাজনীতিকরা।
বিএনপির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন নিজেও বিভিন্ন সময় দলের নীতি নির্ধারণী ফোরামের বৈঠকে আক্ষেপ করে বলেছেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যাওয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। দলীয় প্রধানের এই বক্তব্য প্রকাশ্যে না শোনা গেলেও রাজনীতির মাঠে ঠিকই প্রমাণ মিলছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়া বিএনপি পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাচন, পৌরসভা নির্বাচন ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের কোনোটাই বাদ দেয়নি। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থক প্রার্থীও জয় পেয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদেও এসেছে কাক্সিক্ষত সাফল্য। যদিও সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে সরকারি দলের হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছে বিএনপি।
তবুও সর্বশেষ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে পিছু হটেনি বিএনপি। শেষ মুহূর্তে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও নির্বাচনী প্রচারণাতে সাধ্যের কমতি রাখেনি দলটি। ভেবে নেওয়া হয়েছিল, দমে যাবে বিএনপি। কিন্তু না, দমে যায়নি দলটি। দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে, সরকারের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করলেও নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে দলটি। তবে পুনঃতফসিলের মাধ্যমে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছিল তারা। কাজে আসেনি। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বিএনপির দাবি মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই।
তবে কি বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে আসবে? এমনও প্রশ্নও উঁকি দিচ্ছিল দিন পাঁচেক আগেও। কিন্তু না, সবকিছু মেনে নিয়ে নির্বাচন থেকে পিছপা হয়নি দলটি। প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার এক ধাপ এগিয়েও ফেলেছে তারা। জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিএনপি বরাবরই নির্বাচনমুখী একটি দল। ভোটের রাজনীতিতে জনগণের সমর্থন ও আস্থা ধরে রাখতে হলে নির্বাচনে অংশ নিতে হয়। এক্ষেত্রে আমরা ব্যতিক্রম করছি না।’
তবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে কি বিএনপি ঠিক করেছিল? জবাবে সাবেক এই সেনাপ্রধান বলেন, ‘ঠিক-বেঠিকের বিচার-বিশ্লেষণে যাব না। তবে তখন যে প্রেক্ষাপটে নির্বাচন বর্জন করা হয়েছিল তা ঠিকই ছিল। এ নিয়ে দ্বিমত নেই।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগও অতীতে নির্বাচন বর্জনের নজির রেখেছে। তাদের আন্দোলনের দাবি মেনে পুনরায় নির্বাচন করে গণতান্ত্রিক চর্চাকে অব্যাহত রাখা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার বিএনপির দাবির প্রতি অশ্রদ্ধাই জানায়নি, একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দেশ পরিচালনা করছে।’
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক বছর পূর্তিতে চলতি বছরের শুরুতে টানা ৯০ দিনের অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া এবং বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বিএনপি নেতাদের অনেকেই এখন কারান্তরীণ। যারাও বাইরে আছেন তারাও চলছিলেন গা বাঁচিয়ে। না পারতে মাঠে নামেনি দলের প্রথম সারির নেতারা। ঢাকা মহানগরকে ঢেলে সাজানো হলেও কোনো কাজে আসেনি। বরং নতুন আহ্বায়ক কমিটি নিয়েও প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে বিরোধে জড়িয়েছে দলের নেতা-কর্মীরা। আত্মগোপনেও আছেন অনেক নেতা। কিন্তু পৌরসভা নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা আর দলের মনোনয়ন নিশ্চিতের পর তৃণমূল বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে রাজনৈতিক উদ্দীপনা ও কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। আড়াল থেকে আলোতে আসছেন দীর্ঘদিন লুকিয়ে থাকা নেতারা।
এই নির্বাচন সেই অর্থে ঝিমিয়ে পড়া বিএনপিকে চাঙ্গা করার টনিক হিসেবেও কাজ করছে। যদিও নেতা-কর্মীদের অনেকের মনে এখনও মামলা-হামলার শঙ্কা রয়েই গেছে। প্রতিপক্ষের ক্ষমতা আর দাপটের মুখে তারা আবারও নতুন কোনো জটিলতার মুখোমুখি হন কি না তাও ভেবে দেখছেন গভীরভাবে। তাই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার আগে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ-সম্পর্ক তৈরি কিংবা ধরে রাখার কৌশল নিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগের পর পৌরসভা নির্বাচন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন যে সম্ভব তার শতভাগ দৃষ্টান্ত দেখাতে পারেনি ক্ষমতাসীনরা। বরং বিএনপির আশঙ্কাকেই বাস্তবে রূপ দিয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে কারচুপির যে সম্ভাবনা থাকে তা থেকে বেরোতে পারেনি আওয়ামী লীগ। তবে নতুন আদলে পৌরসভা নির্বাচনে নিজেদের নিরপেক্ষতা ও গণতান্ত্রিক মনোভাবের প্রমাণ দিতে পারে দলটি। এতে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থাও বাড়বে। বিএনপিও আগামীতে বর্তমান সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়টি চিন্তা করার সুযোগ পাবে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এটি সহজ কাজ নয়। কারণ, সরকারের নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে নিরপেক্ষতা নিশ্চিতের নির্দেশনা থাকলেও ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে এটি কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ ক্ষমতায় থাকতে কেউ প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করবে না এটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না।
নির্বাচনী প্রচারণায় সংসদ সদস্যদের অংশ নেওয়ার বিষয়ে অনুমতি চেয়েছিল আওয়ামী লীগ। কারণ, পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এবার আওয়ামী লীগ থেকে পৌরসভার মেয়র পদে যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তাদের মধ্যে এটি বড় অংশ স্থানীয় সংসদ সদস্যের আত্মীয় কিংবা ঘনিষ্ঠজন। তাছাড়া বিপুল টাকা আছে এমন ব্যক্তিদের মনোনয়নও নিশ্চিত হয়েছে এরই মধ্যে। মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে ভেতরে ভেতরে মতপার্থক্যও সৃষ্টি হয়েছে। জেলা পর্যায়ের অনেক নেতা পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও ভাগ্যে জোটেনি। বিপরীতে অর্থের জোরে অন্য রাজনৈতিক দল থেকে আওয়ামী লীগে আসা ব্যক্তিরা অনায়াসে বাগিয়ে নিয়েছেন দলের টিকিট। এমনটা ঘটেছে ফেনী পৌরসভায়। জাতীয় পার্টি থেকে দলবদল করে এসেই মনোনয়ন পেয়েছেন আলাউদ্দিন। স্টার লাইন বাস সার্ভিসের মালিক এই প্রার্থী ‘টাকা’র জোরে মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন এমনটা শোনা যায়। যদিও তার দাবি এসব তার বিত্তবান পরিচয়ে ঈর্ষান্বিত গোষ্ঠীর। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমার মতোই প্রার্থী খুঁজছিল। তাদের চাওয়া আর আমার চাওয়া মিলে গেছে।’
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন পদ্ধতি এবারই প্রথম চালু হলো। শুরুতেই যদি এটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে অন্তরায় হয়, তবে আগামীতে এই পদ্ধতির ওপর জনগণ তথা রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থার সংকট সৃষ্টি হবে। তাই যে করেই হোক, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের পৌর নির্বাচনকে সফল করতে হবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন যেভাবে নির্বাচনী উৎসবের কথা বলেছেন, তা যেন বজায় থাকে। তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিষয়টি চিন্তায় রাখতে হবে। যেন তাদের কোনো অদূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে না হয়।
রাজনৈতিক দলগুলোর জবাবদিহিতা বাড়বে
দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর জবাবদিহিতা বাড়বে। অতীতে দল সমর্থিত প্রার্থীর কোনো কাজের দায় দল না নিলেও এখন তা আর হবে না। প্রার্থীর পাশাপাশি দলকেও ব্যর্থতার দায় নিতে হবে। জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ বা জানিপপ-এর চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, ‘এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে দলগুলোর দায় এড়ানোর সংস্কৃতি থেকে বের হওয়া সম্ভব হবে। অতীতে দেখা গেছে, রাজনৈতিক দল সমর্থিত প্রার্থীরা বিভিন্ন অপকর্ম করলে দল তার দায় নিতে অস্বীকার জানাত। এখন আর তার উপায় থাকবে না।’ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এর মাধ্যমে তৃণমূলে নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ তৈরি হবে। স্থানীয়ভাবে যিনি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি নির্বাচনের সুযোগ পেলে সেটা এলাকার জন্য ভালো হবে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোকে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে।
উৎসবে যেন ভাটা না পড়ে
বাংলাদেশ নয় বিশ্বজুড়েই নির্বাচন মানে উৎসব। এই উৎসবের ছোঁয়া জন থেকে জনে, মন থেকে মনে ছড়িয়ে যায়। ক্ষমতার পালা বদলের এই আয়োজন আনন্দময় হলে গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য তা কল্যাণের। বাংলাদেশেও নির্বাচনের উৎসব ব্যতিক্রম কিছু নয়। নিজের সমর্থিত দল কিংবা প্রার্থীকে পরাজিত দেখতে ভালো লাগে না কারোই। যে কারণে জয় নিজেদের পক্ষে নিতে প্রচার-প্রচারণা থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রস্তুতিতেই থাকে প্রতিযোগিতা। তবে এই প্রতিযোগিতা হওয়া চাই শান্তিপূর্ণ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় রাখার দায়িত্ব সরকারের। কারণ, বিরোধী পক্ষ সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানা ছুতো খুঁজে ফিরবে। সরকারকে এক্ষেত্রে অতিসতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে। কোনোভাবেই যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট না হয়, জনগণের উৎসব আয়োজনে যেন ভাটা না পড়ে। সরকার শুরু থেকেই ঘোষণা দিয়েছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে করা হলে জনগণের মধ্যে উৎসব মনোভাব সৃষ্টি হবে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
দীর্ঘদিন নৌকা-ধানের শীষ প্রতীকের লড়াইয়ের বাইরে থাকা সাধারণ মানুষ এবার সেই উৎসবে মেতে উঠতে চায়। এখানে যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এই সময়কে বলেন, ‘আমরা অস্বীকার করি না উন্নত গণতান্ত্রিক অনেক দেশই স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকেই করে থাকে। কিন্তু সেসব দেশে আমাদের দেশের মতো রাজনীতির অপচর্চা হয় না। সেখানে নিরপেক্ষ প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করে। বাংলাদেশে এই চিত্র বিপরীত।’ তিনি বলেন, ‘দলীয়ভাবে নির্বাচন করতে হলে পশ্চিমা দেশগুলো যেভাবে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ রেখে নির্বাচন করছে সেভাবে আমাদের নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে সাজাতে হবে। না হলে এর সুফল পাওয়া যাবে না।’
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা
খুলনা বিভাগ : খুলনার পাইকগাছায় সেলিম জাহাঙ্গীর, চালনায় সনত কুমার বিশ্বাস, বাগেরহাটে খান হাবিবুর রহমান, মোরেলগঞ্জে মনিরুল হক তালুকদার, সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আমিনুল ইসলাম, সাতক্ষীরায় শাহাদাৎ হোসেন, কুষ্টিয়ায় আনোয়ার আলী, ভেড়ামারায় শামীমুল ইসলাম, কুমারখালীতে শামসুজ্জামান অরুণ, খোকসায় তরিকুল ইসলাম, মিরপুরে এনামুল হক, যশোরে জহিরুল ইসলাম চাকলাদার, মনিরামপুরে মাহমুদুল হাসান, কেশবপুরে রফিকুল ইসলাম মোড়ল, চৌগাছায় নূরউদ্দিন আল মামুন, বাঘারপাড়ায় কামরুজ্জামান বাচ্চু, নওয়াপাড়ায় সুশান্ত কুমার শান্ত, ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কাজী আশরাফুল আজম, মহেশপুরে আবদুর রশিদ খান, কোটচাঁদপুরে শহীদুজ্জামান সেলিম, হরিণাকু-ুতে শাহিনুর ইসলাম, চুয়াডাঙ্গায় রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দার, আলমডাঙ্গায় হাসান কাদির, দর্শনায় মতিয়ার রহমান, জীবননগরে নাসির উদ্দিন, মেহেরপুরের গাংনীতে আহম্মেদ আলী, নড়াইলে মো. জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, কালিয়ায় মো. অহিদুজ্জামান, মাগুরা পৌরসভায় খুরশিদ হায়দার (টুটুল)।
ঢাকা বিভাগ : ঢাকার সাভার পৌরসভায় মনোনয়ন পেয়েছেন আবদুল গনি, ধামরাইয়ে কবির মোল্লা, মুন্সীগঞ্জে ফয়সাল বিপ্লব, মীরকাদিমে শহীদুল ইসলাম শাহিন, নরসিংদীতে মো. কামরুজ্জামান, মনোহরদীতে আমিনুর রশীদ সুজন, মাধবদীতে মোশাররফ হোসেন, শরীয়তপুরে রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, জাজিরায় ইউনুস ব্যাপারী, নড়িয়ায় হায়দার আলী, ভেদরগঞ্জে আবদুল মান্নান হাওলাদার, ডামুড্যায় বাচ্চু ছৈয়াল, মাদারীপুরে খালিদ হাসান ইয়াদ, কালকিনিতে এনায়েত হাওলাদার, শিবচরে আওলাদ মাস্টার, গাজীপুরের শ্রীপুরে আনিসুর রহমান, টাঙ্গাইলে জামিলুর রহমান মিরন, কালীহাতিতে আনসার আলী, ধনবাড়ীতে খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন, মধুপুরে মাসুদ পারভেজ, গোপালপুরে রকিবুল হক, ভূঞাপুরে মাসুদুল হক, মির্জাপুরে শাহাদাত হোসেন, সখীপুরে আবু হানিফ আজাদ, কিশোরগঞ্জে মাহমুদ পারভেজ, হোসেনপুরে আবদুল কাইয়ুম খোকন, কুলিয়ারচরে আবুল হাসান কাজল, বাজিতপুরে আনোয়ার হোসেন আশরাফ, ভৈরবে ফখরুল ইসলাম, কটিয়াদীতে শুক্কুর আলী, করিমগঞ্জে মামুন চৌধুরী, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আহমেদ হোসেন মির্জা, মানিকগঞ্জে মো. রমজান আলী, রাজবাড়ীতে মহম্মদ আলী চৌধুরী, পাংশায় আবদুল আল মাসুদ বিশ্বাস, গোয়ালন্দে শেখ নজরুল ইসলাম, ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে শাহজাহান মৃধা ও নগরকান্দায় রায়হান উদ্দিন মাস্টার।
ময়মনসিংহ বিভাগ : ময়মনসিংহের ফুলপুরে শশধর সেন, গৌরীপুরে সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, ঈশ্বরগঞ্জে হাবিবুর রহমান, ভালুকায় মেজবাহ উদ্দিন কাইয়ুম, মুক্তাগাছায় আবদুল হাই আকন্দ, নেত্রকোনায় নজরুল ইসলাম খান, মোহনগঞ্জে লতিফুর রহমান রতন, মদনে আবদুল হান্নান, কেন্দুয়ায় আসাদুল হক ভুঁইয়া, দুর্গাপুরে আবদুস সালাম, জামালপুরে মির্জা সাখাওয়াতুল আলম, সরিষাবাড়ীতে রোকনুজ্জামান, মাদারগঞ্জে মির্জা গোলাম কিবরিয়া, মেলান্দহে শফিক জায়েদী, ইসলামপুরে আবদুল কাদের শেখ ও দেওয়ানগঞ্জে শাহনেওয়াজ শাহান শাহ।
বরিশাল বিভাগ : বরিশালের বাকেরগঞ্জে লোকমান হোসেন ডাকুয়া, উজিরপুরে গিয়াস উদ্দিন, গৌরনদীতে মো. হারিসুর রহমান, মেহেন্দিগঞ্জে মো. কামাল উদ্দিন খান, মুলাদীতে শফিক উজ জামান, বানারীপাড়ায় সুভাষ চন্দ্র শীল, বরগুনায় কামরুল আহসান, বেতাগীতে আলতাফ হোসেন বিশ্বাস, পাথরঘাটায় আনোয়ার হোসেন আকন্দ, পিরোজপুরে হাবিবুর রহমান মালেক, স্বরূপকাঠিতে জি এম কবির, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিপুল হাওলাদার, কুয়াকাটায় আবদুল বারেক মোল্লা, ভোলায় মনিরুজ্জামান, দৌলতখানে জাকির হোসেন তালুকদার ও বোরহানউদ্দিনে রফিকুল ইসলাম।
সিলেট বিভাগ : সিলেটের জকিগঞ্জে মনোনয়ন পেয়েছেন খলিল উদ্দিন, কানাইঘাটে লুৎফুর রহমান, গোলাপগঞ্জে জাকারিয়া আহমেদ, সুনামগঞ্জে আইয়ুব বখত জগলুল, ছাতকে আবুল কালাম চৌধুরী, দিরাইয়ে মোশাররফ মিয়া, জগন্নাথপুরে হাজি আবদুল মনাফ, মৌলভীবাজারে ফজলুর রহমান, কুলাউড়ায় এ কে এম সফি আহমেদ সলমান, বড়লেখায় আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, কমলগঞ্জে জুয়েল আহমেদ, হবিগঞ্জে আতাউর রহমান, নবীগঞ্জে তোফাজ্জল ইসলাম, চুনারুঘাটে সাইফুল ইসলাম, মাধবপুরে হীরেন্দ্র লাল সাহা ও শায়েস্তাগঞ্জে ছালেক মিয়া।
চট্টগ্রাম বিভাগ : চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নিজামউদ্দিন চৌধুরী, রাউজানে দেবাশীষ পালিত, পটিয়ায় হারুন-অর-রশীদ, সন্দ্বীপে জাফরুল্লাহ টিটু, বাঁশখালীতে সেলিমুল হক, সাতকানিয়ায় মো. জোবায়ের, চন্দনাইশে মাহবুবুল আলম, রাঙ্গুনিয়ায় শাহজাহান সিকদার, সীতাকু-ে বদিউল আলম, রাঙামাটিতে আকবর হোসেন চৌধুরী, খাগড়াছড়িতে মো. শানে আলম, কুমিল্লার হোমনায় নজরুল ইসলাম, দাউদকান্দিতে নাঈম ইউসুফ সেইন, চান্দিনায় মফিজুল ইসলাম, বরুড়ায় বাহাদুরুজ্জামান, লাকসামে আবুল খায়ের, চৌদ্দগ্রামে মিজানুর রহমান, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মাহফুজুল হক, কচুয়ায় নাজমুল আলম স্বপন, ছেংগারচরে রফিকুল আলম জজ, হাজীগঞ্জে মাহবুবুল আলম, মতলবে আওলাদ হোসেন, ফেনীতে হাজি আলাউদ্দিন, পরশুরামে নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, দাগনভূঞায় ওমর ফারুক খান, নোয়াখালীর চাটখিলে মোহাম্মদ উল্লাহ, চৌমুহনীতে আখতার হোসেন ফয়সাল, বসুরহাটে আবদুল কাদের মির্জা, হাতিয়ায় এ কে এম ইউসুফ আলী, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আবুল খায়ের, রায়পুরে ইসমাঈল হোসেন খোকন, রামগতিতে মেজবাহ উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের তাকজিল খলিফা মনোনয়ন পেয়েছেন।
রাজশাহী বিভাগ : সিরাজগঞ্জে সৈয়দ আবদুর রউফ, কাজীপুরে নিজামুদ্দীন, বেলকুচিতে আশানূর বিশ্বাস, শাহজাদপুরে হালিমুল হক মিরু, রায়গঞ্জে আবদুল্লাহ আল পাঠান, উল্লাপাড়ায় এস এম নজরুল ইসলাম, পাবনায় রাকিব হাসান, ঈশ্বরদীতে আবুল কালাম আজাদ, সুজানগরে আবদুল ওহাব, ফরিদপুরে কামরুজ্জামান মাজেদ, ভাঙ্গুরায় গোলাম হাসনাইন রাসেল, সাঁথিয়ায় সিরাজুল ইসলাম প্রামাণিক, চাটমোহরে সাখাওয়াত হোসেন, নাটোরে উমা চৌধুরী, সিংড়ায় জান্নাতুল ফেরদৌস, গোপালপুরে রোকসানা মোর্তুজা লিলি, বড়াইগ্রামে আবদুল বারেক সর্দার, নলডাঙ্গায় শফির উদ্দিন ম-ল, নওগাঁয় সেতার আহমেদ শিহাব, রাজশাহীর চারঘাটে নার্গিস খাতুন, গোদাগাড়ীতে মনিরুল ইসলাম, তানোরে ইমরুল হক, নওহাটায় আবদুল বারী খান, তাহেরপুরে আবুল কালাম আজাদ, আড়ানিতে বাবলু হোসেন, দুর্গাপুরে তোফাজ্জল হোসেন, পুঠিয়ায় রবিউল ইসলাম, ভবানীগঞ্জে আবদুল মালেক ম-ল, কাঁকনহাটে আবদুল মজিদ, কেশরহাটে শহীদুজ্জামান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে সামিউল হক, নাচোলে আবদুর রশিদ, রহনপুরে গোলাম রাব্বানী, শিবগঞ্জে ময়েন খান, বগুড়ায় রেজাউল করিম, শিবগঞ্জে তৌহিদুর রহমান, কাহালুতে হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, সারিয়াকান্দিতে আলমগীর শাহিন, ধুনটে শরিফুল ইসলাম খান, শেরপুরে আবদুস সাত্তার, গাবতলীতে মমিনুল ইসলাম, নন্দীগ্রামে রফিকুল ইসলাম ও সান্তাহারে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন রাশেদুল ইসলাম।
বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা
রাজশাহী বিভাগ : রাজশাহীর নওহাটায় শেখ মকবুল হোসেন, দুর্গাপুরে সাইদুর রহমান (মন্টু), কেশরহাটে আলাউদ্দিন আলো, তাহেরপুরে আবু নাঈম মো. সামছুর রহমান, কাঁকনহাটে হাফিজুর রহমান, আড়ানীতে তোজাম্মেল হোসেন, তানোরে মিজানুর রহমান, চারঘাটে জাকিরুল ইসলাম, মু-ুমালায় ফিরোজ কবীর, গোদাগাড়ীতে আনোয়ারুল ইসলাম, ভবানীগঞ্জে আবদুর রহমান প্রামাণিক, কাটাখালীতে মাসুদ রানা, পুঠিয়ায় বাবুল হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হচ্ছেন। নাটোরে শেখ ইমদাদুল হক আল-মামুন, নলডাঙ্গায় আব্বাছ আলী, গুরুদাসপুরে মশিউর রহমান, বড়াইগ্রামে ইসাহাক আলী, সিংড়ায় শামীম আল রাজি মো. শিহানুর রহমান, পাবনায় নুর মোহাম্মদ মাছুম, ঈশ্বরদীতে মোখলেছুর রহমান, সাঁথিয়ায় সিরাজুল ইসলাম, সুজানগরে আজম আলী বিশ্বাস, চাটমোহরে আবদুর রহিম, ভাঙ্গুড়ায় মজিবর রহমান, ফরিদপুরে এনামুল হক, সিরাজগঞ্জে মোকাদ্দেস আলী, শাহজাদপুরে নজরুল ইসলাম, উল্লাপাড়ায় বেলাল হোসেন, রায়গঞ্জে নুর সাঈদ সরকার, বেলকুচিতে আবদুর রাজ্জাক ম-ল, কাজীপুরে মাসুদ রায়হান; বগুড়া পৌরসভায় মাহবুবুর রহমান, শেরপুরে স্বাধীন কু-, সারিয়াকান্দিতে টিপু সুলতান, গাবতলীতে সাইফুল ইসলাম, আদমদীঘিতে তোফাজ্জল হোসেন, কাহালুতে আবদুল মান্নান ভাটা, ধুনটে আলীমউদ্দিন, নন্দীগ্রামে সুশান্ত কুমার শান্ত, শিবগঞ্জে আবদুল মতিন, শান্তাহারে তোফাজ্জল হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে শফিকুল ইসলাম, নাচোলে মো. কামারুজ্জামান, নওগাঁয় নাজমুল হক, নজিপুরে আনোয়ার হোসেন, জয়পুরহাটে শামসুল হক, কালাইয়ে সাজ্জাদুর রহমান তালুকদার।
রংপুর বিভাগ : পঞ্চগড় পৌরসভায় তৌহিদুল ইসলাম, রংপুরের বদরগঞ্জে পরিতোষ চন্দ্র চক্রবর্তী, লালমনিরহাটে আবদুল হালিম, পাটগ্রামে এ কে মোস্তফা সালাউজ্জামান, গাইবান্ধায় মো. শহিদুজ্জামান শহীদ, গোবিন্দগঞ্জে ফারুক আহম্মেদ, সুন্দরগঞ্জে আজাদুল করিম প্রামানিক, কুড়িগ্রামে মো. নুরুল ইসলাম, নাগেশ্বরীতে আদম আলী, উলিপুরে তারিক আবুল আলা চৌধুরী, ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা ফয়সাল আমিন, পীরগঞ্জে রাজিউর রহমান, রাণীশংকৈলে শাহজাহান আলী, দিনাজপুরে জাহাঙ্গীর আলম, ফুলবাড়ীতে সাহাদাত আলী, বীরগঞ্জে আমিরুল বাহার, বিরামপুরে আশরাফ আলী ম-ল, হাকিমপুরে শওকত হোসেন, নীলফামারীর সৈয়দপুরে আমজাদ হোসেন সরকার, জলঢাকায় ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী মনোনয়ন পেয়েছেন।
খুলনা বিভাগ : খুলনার চালনায় শেখ আবদুল মান্নান, সাতক্ষীরায় তাসকির আহমেদ, কলারোয়ায় আখতারুল ইসলাম, মেহেরপুরের গাংনীতে ইনসারুল হক, চুয়াডাঙ্গায় খন্দকার আবদুল জব্বার, দর্শনায় মহিদুল ইসলাম, জীবননগরে নওয়াব আলী, আলমডাঙ্গায় মীর মহিউদ্দিন, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে এ কে এম সালেহউদ্দিন বুলবুল, মহেশপুরে নাজিবুদ্দৌলা, হরিণাকুন্ডে জিন্নাতুল হক, শৈলকুপায় খলিলুল রহমান, কুষ্টিয়া পৌরসভায় কুতুব উদ্দিন আহমেদ, মিরপুরে আবদুল আজিজ খান, কুমারখালীতে তরিকুল ইসলাম, খোকসায় রাজু আহমেদ, যশোরে মারুফুল ইসলাম, নোয়াপাড়ায় রবিউল হোসেন, মনিরামপুরে শহীদ মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, বাঘারপাড়ায় আবদুল হাই মনা, চৌগাছায় সেলিম রেজা আউলিয়া, কেশবপুরে সামাদ বিশ্বাস, মাগুরায় ইকবাল আখতার খান, নড়াইলে জুলফিকার আলী, কালিয়ায় এস এম ওয়াহিদুজ্জামান আলী প্রত্যয়নপত্র পেয়েছেন।
বরিশাল বিভাগ : বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে গিয়াসউদ্দিন দীপেন, বাকেরগঞ্জে মতিউর রহমান মোল্লা, গৌরনদীতে সফিকুর রহমান, উজিরপুরে শহীদুল ইসলাম, ঝালকাঠির নলছিটিতে মুজিবুর রহমান, পিরোজপুর পৌরসভায় আবদুর রাজ্জাক মুনাম, স্বরূপকাঠিতে শফিকুল ইসলাম ফরিদ, বরগুনার বেতাগীতে হুমায়ুন কবির, পাথরঘাটায় মল্লিক মো. আইয়ুব, পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আবদুল আজিজ মুন্সী, ভোলায় হারুনুর রশীদ, বোরহানউদ্দিনে মনিরুজ্জমান, দৌলতখানে আনোয়ার হোসেন।
চট্টগ্রাম বিভাগ : চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে আজমত আলী বাহাদুর, বাঁশখালীতে কামরুল ইসলাম হোসাইনি, সাতকানিয়ায় রফিকুল আলম, মীরসরাইয়ে রফিকুল ইসলাম পারভেজ, রাউজানে আবদুল্লাহ আল হাসান, বারইয়ারহাটে মাইনুদ্দিন লিটন, রাঙ্গুনিয়ায় হেলাল উদ্দিন, সীতাকু-ে আবুল মনসুর, পটিয়ায় তৌহিদুল আলম, খাগড়াছড়িতে আবদুল মালেক, মাটিরাঙায় বাদশা মিয়া, বান্দরবানে জাবেদ রাজা, লামায় আমির হোসেন, রাঙামাটিতে সাইফুল ইসলাম, কুমিল্লার দাউদকান্দিতে কে এম আই খলিল, হোমনায় আবদুল লতিফ, বরুড়ায় জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী, চৌদ্দগ্রামে জি এম রাব্বানী, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আবদুল মান্নান খান, ছেংগারচরে সারোয়ারুল আবেদীন, ফরিদগঞ্জে মো. হারুন অর রশিদ, কচুয়ায় হুমায়ুন কবির প্রধান, মতলবে এনামুল হক বাদল, নোয়াখালীতে হারুনুর রশীদ আজাদ, হাতিয়ায় কাজী আবদুর রহিম, চাটখিলে মোস্তফা কামাল, চৌমুহনীতে হারুনুর রশীদ হারুন, বসুরহাটে কামাল আহমেদ চৌধুরী, ফেনীতে ফজলুর রহমান, দাগনভুঁইয়ায় কাজী সাইফুর রহমান, পরশুরামে মুস্তাহিদুল ইসলাম, লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে রুম্মন পাটোয়ারি, রামগতিতে সাহেদ আলী, রায়পুরে এস এম জিলানি।
সিলেট বিভাগ : জকিগঞ্জে বদরুল হক বাদল, কানাইঘাটে আবদুর রহিম, গোলাপগঞ্জে শাহীন চৌধুরী, সুনামগঞ্জে শেরগুল আহমদ, ছাতকে শামসুর রহমান, দিরাইয়ে মাইনুদ্দিন চৌধুরী, জগন্নাথপুরে রাজু আহমেদ, মৌলভীবাজারে অলিউর রহমান, কমলগঞ্জে আবু ইব্রাহিম জমসের, কুলাউড়ায় কামালউদ্দিন আহমেদ, বড়লেখায় আনোয়ারুল ইসলাম, হবিগঞ্জে জি কে গউস, নবীগঞ্জে ছাবির আহমেদ চৌধুরী, মাধবপুরে হাবিবুর রহমান, শায়েস্তাগঞ্জে ফরিদ আহমেদ, চুনারুঘাটে নাজিমউদ্দিন।
ঢাকা বিভাগ : ঢাকার ধামরাইয়ে দেওয়ান নাজিমউদ্দিন, গাজীপুরের শ্রীপুরে শহীদ উল্লাহ, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মোশাররফ হোসেন, তারাবোতে নাসিরউদ্দিন, মানিকগঞ্জে নাসির উদ্দিন আহমেদ, সিঙ্গাইরে খুরশেদ আলম, মুন্সীগঞ্জে এ কে এম ইরাদাত মানু, মীরকাদিমে মো. শামসুর রহমান, টাঙ্গাইলে মাহমুদুল হক, মির্জাপুরে হযরত আলী মিয়া, ভুয়াপুরে আবদুল খালেক ম-ল, সখীপুরে নাসিরউদ্দিন, গোপালপুরে খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম, কালিহাতীতে আলী আকবর, ধনবাড়ীতে এস এম এ সোবহান, মধুপুরে শহিদুল ইসলাম, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আবুল কাশেম, পাংশায় চাঁদ আলী খান, নরসিংদীতে সাইফুল ইসলাম, মাধবদীতে মো. ইলিয়াছ, মনোহরদীতে মাহমুদুল হক, ফরিদপুরের নগরকান্দায় সাইফুল ইসলাম মুকুল, বোয়ালমারীতে আবদুস শুকুর, গোপালগঞ্জে তৌফিকুল ইসলাম, টুঙ্গিপাড়ায় মো. রাজু খান, শরীয়তপুরে নাসিরউদ্দিন, নড়িয়ায় সোহেল ব্যাপারী, ডামুড্যায় আলমগীর মাতবর, জাজিরায় ইকবাল হোসেন, ভেদরগঞ্জে গোলাম মোস্তফা, মাদারীপুরে মিজানুর রহমান, শিবচরে জাহাঙ্গীর কামাল, কিশোরগঞ্জে মাজহারুল ইসলাম, হোসেনপুরে মাহবুবুর রহমান, কুলিয়ারচরে সাফিউদ্দিন, বাজিতপুরে এহেসান কুফিয়া, ভৈরবে মোহাম্মদ শাহীন, কটিয়াদীতে তোফাজ্জল হোসেন খান দিলীপ, করিমগঞ্জে আশরাফ হোসেন পাভেল।
ময়মনসিংহ বিভাগ : ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় শহিদুল ইসলাম, ত্রিশালে আমিনুল ইসলাম, ফুলপুরে আমিনুল হক, ঈশ্বরগঞ্জে ফিরোজ আহমেদ, শেরপুরে আবদুর রাজ্জাক, নালিতাবাড়ীতে আনোয়ার হোসেন, নকলায় মোখলেছুর রহমান, শ্রীবর্দীতে আবদুল হাকিম, গফরগাঁওয়ে শাহ আবদুল্লাহ আল মামুন, জামালপুরে শাহ মো. ওয়ারেস আলী মামুন, ইসলামপুরে রেজাউল করীম, মাদারগঞ্জে মোশাররফ হোসেন তালুকদার, দেওয়ানগঞ্জে এ কে এম মুসা, মেলান্দহে দিদার পাশা, সরিষাবাড়ীতে এ কে এম ফয়জুল কবির তালুকদার, নেত্রকোনায় এস এম মনিরুজ্জামান, মদনে মাশরিকুর রহমান, মোহনগঞ্জে মাহবুবুন নবী শেখ, দুর্গাপুরে মো. জামাল উদ্দিন, কেন্দুয়ায় শফিকুল ইসলাম বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন।
এ ছাড়া ২০ দলীয় জোটের দুই শরিক দল জাতীয় পার্টির (জাফর) মহিউদ্দিন বানাতকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ও চট্টগ্রামের চন্দনাইশ পৌরসভায় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নুরুল আনোয়ার চৌধুরীকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে।- সাপ্তাহিক এই সময়-এর সৌজন্যে।