logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
দলের বিভেদ ছোট করছে পৌর নির্বাচন
১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৫:১৪:২৭
image

সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত পৌরসভা নির্বাচন থাকতে চায় বিএনপিদলের মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে কর্মকোশল নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন শীর্ষস্থানীয় নেতারাসার্বিক বিষয়ে নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াতিনি নিয়মিত বৈঠক করছেন শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেসবশেষ শনিবার রাতে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান,উপদেষ্টা,যুগ্ম মহাসচিব সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেনবৈঠকের আলোচ্য বিষয়সহ দলের অন্যান্য দিক নিয়ে ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথা বলেছেন সাবেক মন্ত্রী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমানটেলিফোনে সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক বোরহান উদ্দিন


ঢাকাটাইমস: পৌর নির্বাচনে শেষ পর‌্যন্ত বিএনপি থাকবে কি না, এ নিয়ে গুঞ্জন আছে। আপনার বক্তব্য জানতে চাইছি।


সেলিমা রহমান: গুঞ্জন থাকলেও আমরা কিন্তু স্পষ্ট করেই ঘোষণা দিয়েছি যে নির্বাচনে থাকব। যদিও সরকার নির্বাচনের ফলাফল নিজেদের পক্ষে নিতে ষড়যন্ত্র করছে, কিন্তু এবার আর নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার আপাতত কোনো চিন্তা নেই আমাদের।


ঢাকাটাইমস: নির্বাচনে বেশ কিছু পৌরসভায় বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আছে। এতে দলের ফলাফলে কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন কি না?


সেলিমা রহমান: বিএনপির মতো দলে একাধিক নেতা প্রার্থী হতে চাইবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দল থেকে মনোনয়ন দিতে হয় একজনকেই। তাই দলের সমর্থন না পেয়ে হয়তো অনেকের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তবে আমি বিশ্বাস করি, দলের প্রতি তাদের সবার ভালোবাসা আছে। দলের জন্য ক্ষতি হবে এমন কোনো কাজ করবেন না তারা। শেষ পর‌্যন্ত দলের ভালোর জন্য যা করা দরকার, তারা তা-ই করবেন বলে আশা করি।


ঢাকাটাইমস: বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ কঠোর মনোভাব দেখালেও এ ক্ষেত্রে বিএনপির নমনীয়তার কারণ কী?


সেলিমা রহমান: বিগত আন্দোলনে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অনেক অবদান রয়েছে। আবার তাদের ওপরই সরকার ও প্রশাসনের নির‌্যাতন-নিপীড়ন হয়েছে বেশি। সে কারণে তাদের ব্যাপারে কঠোর হলে তা অনেকটা জুলুম হয়ে যাবে মনে করে দল। তবে আশা করি, শেষ পর‌্যন্ত বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে না।


ঢাকাটাইমস: জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে চেয়ারপারসনের শনিবারের বৈঠকে আলোচ্য বিষয় কী ছিল?


সেলিমা রহমান: মূলত পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে। নেতারা নিজেদের মতামত তুলে ধরেছেন সেখানে। পরে চেয়ারপারসন সবাইকে মাঠে থাকার জন্য বলেছেন। এ ছাড়া নির্বাচন মনিটরিং করার জন্য গঠন করা হয়েছে আটটি কমিটি। তারা নির্বাচন পর‌্যবেক্ষণ করবে। সার্বিক বিষয় দেখভালের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবেও একটি টিম করা হয়েছে।


ঢাকাটাইমস: নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিএনপির চেয়ারপারসন প্রচারণায় নামছেন না- বিষয়টি কি এমন?


সেলিমা রহমান: নির্বাচনী আইনে বাধা-নিষেধ না থাকলেও চেয়ারপারসন প্রচারণায় নামবেন কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি এখনো। শনিবারের বৈঠকেও এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে নিরাপত্তার বিষয়টি যে ভাবনায় নেই, তা নয়। কিন্তু নেতাকর্মীরা সঙ্গে থাকলে তারা (সরকার) চেয়ারপারসনের কিছুই করতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ।


ঢাকাটাইমস: জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা হচ্ছে বলে শোনা গিয়েছিল। কী অবস্থা এখন?


সেলিমা রহমান: যেহেতু তারাও (জামায়াত) বেশ কিছু জায়গায় প্রার্থী দিয়েছে, তাই সমঝোতার প্রশ্নটি আসছে। আশা করি শেষ পরর্যন্ত একটা সমাধান হয়ে যাবে। এ নিয়ে কাজ চলছে।


ঢাকাটাইমস: দল পুনর্গঠনের কাজ চলছে বলে জানি। এ সময় পৌর নির্বাচন হচ্ছে। এর কোনো প্রভাব পুনর্গঠনে পড়ছে কি না?


সেলিমা রহমান: না। কারণ দেশের সব জায়গা তো নির্বাচন হচ্ছে না। আর যেসব জায়গায় ভোট হচ্ছে, সেখানে আগে যে বিভেদ ছিল তা ছোট হয়ে আসছে নির্বাচনের কারণে। সবাই মিলে দলের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছে। আমি মনে করি, নির্বাচনের পর আবার যখন পুনর্গঠনের কাজ চলবে, তখন এর ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।


ঢাকাটাইমস: আপনাকে ধন্যবাদ।


সেলিমা রহমান: ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকেও ধন্যবাদ।


(ঢাকাটাইমস/১৩ডিসেম্বর/বিইউ/মোআ)