ঢাকা: বাবা-মায়ের হত্যায় অভিযুক্ত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ঐশী রহমান শীতে কাহিল হয়ে গেছে। সে এখন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে বন্দী। তার আইনজীবী হাইকোর্টে আপিলের আবেদন করলে আদালতে তা গ্রহণ করেছেন। এখন তার ডেথ রেফারেন্স বুক লেখা হচ্ছে। এরপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বেঞ্চে শুনানি হবে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আগে থেকে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা ছিল ঐশীর। এ কারণে তাকে ইনহেলার ব্যবহার করতে হয়। এজন্য প্রতিমাসে ঐশীর জন্য কারাগারে টাকা পাঠান তার চাচা মশিউর রহমান রুবেল। শনিবার সকালে ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথা হয় রুবেলের। তিনি মুঠোফোনে বলেন, গত সপ্তাহে ঐশীর সঙ্গে কারাগারে দেখা করেছি। ওই সময়ে তাকে একটি কম্বল ও কিছু শীতের কাপড় কিনে দিয়েছি। এছাড়াও তার ঠাণ্ডাজনিত সমস্যার কারনে তাকে সব সময় ইনহেলার কিনে দিতে হয়। কারাগারে ঐশী তার চাচাকে বলেছে দ্রুত তাকে জেল থেকে বের করার ব্যবস্থা করতে। তার বিশ্বাস সে আপিলে হয়তো খালাস পাবে। একমাত্র ভাই ওহীর খোঁজ খবরও নেয় ঐশী রহমান। তাছাড়াও পরিবারের অন্যদের কথাও জিজ্ঞাসা করেছে সে। মামলার আপিলের খবর শুনে সে স্বস্তি প্রকাশ করেছে।
কারাগারে ঐশী রহমান কেমন আছে এমন প্রশ্নের জবাবে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের জেলার সালমা বেগম ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঐশীর ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এই কথা বলেই তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগের একটি ফ্লাট থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী আয়েশা রহমান স্বপ্নার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরের দিন নিহত মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মশিউর রহমান রুবেল বাদি হয়ে পল্টন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ঐশী নিজেই থানায় এসে আত্মসর্ম্পন করে। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ ঐশীকে প্রধান করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবুল খায়ের মাতুব্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে দীর্ঘ বিচার শেষে ২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত। ট্রাইবুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ ঐশী রহমানকে মৃত্যুদ- দেন।
(ঢাকাটাইমস/১০জানুয়ারি/এএ/জেডএ)