logo ২২ এপ্রিল ২০২৫
শিক্ষাবোর্ডে ১০ অবৈধ নিয়োগ, নথি তলব
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১১ জানুয়ারি, ২০১৬ ০০:২৮:২৮
image

ঢাকা: সরকারি নিয়োগবিধি উপেক্ষা করে ১০ জনকে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের বিরুদ্ধে। শিক্ষাবোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি  হুমায়ূন কবির ও সাধারণ সম্পাদক লোকমান মুন্সির চাপে বোর্ড চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক ওই নিয়োগ দিয়েছেন বলে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নেমেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আর এই তদন্তের অংশ হিসেবে বোর্ডের কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি চেয়েছে মন্ত্রণালয়।


আইন অমান্য করে নিয়োগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন খোদ বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন তো অনেক প্রভাবশালী। নেতাদের কথা না শুনলে পদে পদে বিপদ’।


এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন বোর্ডের ১৫১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। তারা বলছেন, এই নিয়োগে বিপুল অংকের টাকা লেনদেন হয়েছে। নিয়োগের পর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একে জায়েজ করার চেষ্টাও হয়েছে।


শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দেয়া অভিযোগে বলা হয়, গত ২৫ জুন বিভিন্ন পদে ১০ জনকে মাস্টাররোলে নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্যে কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লোকমান মুন্সির আপন তিন ভাই রয়েছেন। তারা হলেন, জুলহাস মুন্সি, ফজলুল হক মুন্সি ও জসিম মুন্সি। সভাপতি হুমায়ূন কবিরেরও তিন জন আত্মীয় আছেন বলে অভিযোগে বলা হয়। এরা হলেন, আসিফ আহমেদ, ওবায়েদুল হক পলাশ ও নজরুল ইসলাম।


আবেদনটি আমলে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সংশ্লিষ্ট শাখাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। এর পর মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক-১ অধিশাখার উপসচিব মহিবুর রহমান শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানকে নোটিশ করেন। এতে নিয়োগ সংক্রান্ত পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি, তথ্য-উপাত্ত জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।


শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘অবৈধ নিয়োগের বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে বোর্ড কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে’। 


তবে এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি ঢাকা শিক্ষাবোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি হুমায়ন কবির ও সাধারণ সম্পাদক লোকমান মুন্সি। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ভাই, রাখেন তো এসব কথা’। আর পরিচয় পাওয়ার পর ফোন কেটে দেন লোকমান মুন্সি।


(ঢাকাটাইমস/১১ জানুয়ারি/এইচআর/ডব্লিউবি)