দগ্ধ চা-দোকানির মৃত্যু: চার পুলিশ প্রত্যাহার
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৭:০২:৪২

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলী থানার গুদারঘাট এলাকায় চাঁদার টাকা না পেয়ে চা-দোকানি বাবুল মাতুব্বরকে (৫০) পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তারা হলেন মিরপুর শাহআলী থানার এসআই নেয়াজ উদ্দিন মোল্লা, মমিনুর রহমান, এএসআই জগেন্দ্র ও কনস্টেবল জসিম উদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে তাদের প্রত্যাহার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার। তিনি জানিয়েছেন দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ওই চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ডিএমপির ডিসি (ডিসিপ্লিন) টুটুল চক্রবর্তীকে নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে এক সদস্য বিশিষ্ট একটি এবং মিরপুর বিভাগ থেকে দুই কর্মকর্তাকে নিয়ে অপর কমিটি গঠিত হয়েছে। এ কমিটির সদস্যরা হলেন মিরপুর জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিনার (এডিসি, ক্রাইম) মাসুদ আহমেদ ও সহকারী কমিশনার (এসি) মাহবুব হোসন।
এদিকে বাবুল মাতাব্বারকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় তার মেয়ে রোকসানা আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় পুলিশের সোর্সসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশের ছোড়া তেলের চুলার বিস্ফোরণে দগ্ধ বাবুল মাতব্বর বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া একটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
বাবুল মাতব্বরের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বাবুল বুধবার রাতে গুদারাঘাট এলাকায় ফুটপাতে বসে চা বিক্রি করছিলেন। রাত সাড়ে নয়টার দিকে তিন-চারজন পুলিশ এসে ফুটপাতে বসার জন্য তার কাছে টাকা চান। টাকা দিতে না পারায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তেলের চুলায় (স্টোভে) আঘাত করেন। এ সময় স্টোভ বিস্ফোরিত হলে বাবুলের শরীরে আগুন ধরে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা বাবুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যায়।
(ঢাকাটাইমস/৪ফেব্রুয়ারি/মোআ/জেবি)