logo ২২ এপ্রিল ২০২৫
মাহ্ফুজ আনামকে হয়রানি না করতে ৩৫ বিশিষ্টজনের বিবৃতি
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ২২:২১:৫৮
image



ঢাকা: ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনামকে হয়রানি বন্ধ ও তার বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন ৩৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক।






আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার ও আইনজীবী শাহদীন মালিকের সই করা বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। 






বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কার সঙ্গে মাহ্ফুজ আনামের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক অপপ্রচার ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের ঘটনাগুলো লক্ষ করছি এবং এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ২০০৭ সালের ১/১১-এর সময় রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া কিছু সংবাদ যাচাই না করে ছাপার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করে যে বিরল পেশাগত মূল্যবোধের পরিচয় দিয়েছেন, সে জন্য তাকে প্রশংসিত না করে নানাভাবে হেনস্তা করার ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত, বেদনাদায়ক ও হতাশাব্যঞ্জক। এটি ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের, এমনকি যেকোনো মানুষকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভুল স্বীকার করতে নিরুৎসাহিত করবে এবং সমাজে মিথ্যাচারকে প্রশ্রয় দেবে।”



মাহ্ফুজ আনাম ও ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে সব অপপ্রচার বন্ধ এবং তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো অবিলম্বে প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা  একই সঙ্গে স্বাধীন সংবাদ প্রচারে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর হস্তক্ষেপ বন্ধে কী ধরনের আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা প্রয়োজন, তা নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানাচ্ছি। বর্তমানেও গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের হেফাজতে স্বীকারোক্তির নামে যাচাই করা ছাড়াই যেসব সংবাদ গণমাধ্যমে অহরহ প্রকাশিত হচ্ছে, তার যৌক্তিকতাও এই আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। আমরা এ-ও মনে করি, দেশের বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানির যে মামলাগুলো করা হচ্ছে, সেটি আইন ও বিচারব্যবস্থাকে সংকীর্ণ ও ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহারের নিন্দনীয় প্রচেষ্টা।”  






বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন,  এ ছাড়া মাহ্ফুজ আনামের বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের বাগস্বাধীনতাকে ভীষণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করবে এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তির অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হবে। তাই বাক্‌স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জনস্বার্থে মাহ্ফুজ আনামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও অহেতুক হয়রানির অবিলম্বে অবসানের দাবি জানানো হচ্ছে।



বিবৃতিদাতারা হলেন‍ এম হাফিজ উদ্দিন খান, আকবর আলি খান, রফিক-উল হক, এ টি এম শামসুল হুদা, হামিদা হোসেন, সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, হোসেন জিল্লুর রহমান, শাহদীন মালিক, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ইফতেখারুজ্জামান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, মঞ্জুর হাসান, মো. নূর খান, সাদাফ নূর, ফেরদৌস আজিম, স্বপন আদনান, মাসুদ খান, সৈয়দ আবুল মকসুদ, তোফায়েল আহমেদ, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, খুশী কবির, সারা হোসেন, সি আর আবরার, শিরীন হক, শাহনাজ হুদা, আহমেদ কামাল, আসিফ নজরুল, রুবি গজনবী, লুবনা মরিয়ম, ফরিদা আক্তার, মেজর (অব.) আক্তার আহমেদ বীর প্রতীক, আনুশেহ আনাদিল, নায়লা জামান খান, জাকির হোসেন। বিজ্ঞপ্তি






(ঢাকাটাইমস/১৮ফেব্রুয়ারি/মোআ)