logo ১১ আগস্ট ২০২৫
নবজাতককে রাতে ঘুম পাড়াতে চান?
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
২৫ মার্চ, ২০১৬ ০০:০৬:২২
image



ঢাকা: নবজাতকের ভালো ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।মা হওয়ার পর একজন নারীরও নিরবচ্ছিন্ন আট ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। শিশুর ভালো ঘুমানোর কিছু টিপস দেয়া গেল।   






১. শিশুর দিন-রাত্রির প্রার্থক্য বুঝা: আপনার নবজাতক প্রতিদিন গড়ে ১৬ ঘণ্টা ঘুমাতে পারে। শিশুকে প্রথমেই শেখান অন্ধকার হচ্ছে ঘুম আর আলো হচ্ছে জেগে থাকা। আর জন্মের দশ সপ্তাহের মধ্যে শিশু দিবা-রাত্রি সম্পর্কে ধারণা পেতে সক্ষম।তাকে বুঝতে হবে রাত হচ্ছে ঘুমের সময় এবং রাতেই দীর্ঘক্ষণ ঘুমাতে হবে। শিশুটিকে দিনে হৈ চৈ এবং ছুটাছুটির মধ্যে ব্যস্ত রাখুন। রাতে খাওয়ানোর সময় শিশুকে উত্তেজিত করবেন না। নিচু স্বরে কথা বলুন এবং শিশুর চোখে চোখ রাখুন। অন্ধকারে ঘুম এবং নিরবতার বিষয়টি মনে করিয়ে দিন। এটি আপনার শিশুকে বুঝতে সহায়তা করবে যে রাত হচ্ছে ঘুমানোর সময়।






২. সুখনিদ্রা: অতিরিক্ত ক্লান্ত শিশুদের জন্য ঘুম খুবই প্রয়োজনীয়। তাছাড়া, শিশুদের ঘুমের ইঙ্গিত বুঝতে শেখাও আপনার জন্য দরকারি। শিশু শান্ত এবং ধীরস্থির হয়ে গেলে, চোখ কচলালে, হাই তোললে বা কান্না করলে বুঝতে হবে এগুলো ঘুমের ইঙ্গিত। ঘুমের এই ধরনের ইঙ্গিত পেলে শিশুদের ঘুম পাড়িয়ে দিন। প্রথম মাস শেষে দেখবেন, আগের তুলনায় শিশুর ঘুম ভাঙার সময় এক বা দেড় ঘণ্টা পরিবর্তন হয়েছে। যদি এটি উপকারী হয় তাহলে ডায়রিতে শিশুর খাওয়া এবং ঘুমানোর সময় লিখে রাখুন। এতে করে একটি নিয়ম মেনে চলতে আপনার জন্য সুবিধা হবে।     






৩. সাধারণ ঘুমের রুটিন: ভালোভাবে ঘুমানোর অভ্যাস তৈরি করা খুব কঠিন কাজ নয়। প্রতি রাতে শিশুটিকে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে সহযোগিতা করুন।






৪. ঘুম এবং দুধ খাওয়ানো পৃথক করুন: প্রথম দিকে নবজাতক ঘুমানোর আগে দুধ খাওয়ান অনেকেই। কেউ কেউ গোসলের আগে শিশুদের দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তোলেন। যাতে করে ঘুমানোর সময় শিশুটি একাগ্রচিত্তে ঘুমাতে পারে।খাওয়া এবং ঘুম আলাদা করুন।  






৫. শিশুকে রাতে ঘুমাতে সহায়তা করুন: রাতে একটি ছোট্ট শিশু এক চক্রে ৬০ মিনিট পর্যন্ত ঘুমায়। এরপর তিন মাস বয়স থেকে এর পরিমাণ ৯০ মিনিটে দাঁড়ায়। আপনি যদি শিশুর রাতে ভালো ঘুমের অভ্যাস করতে চান, তাহলে একটি চক্র শেষ হওয়ার পর তারা পুনরায় কিভাবে ঘুমাবে তার অভ্যাসটা তৈরি করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিশু অস্বস্তি অনুভব করলে, ক্ষুধার্থ হলে, গরম বা শীত অনুভব করলে, ন্যাপকিন পরিষ্কার না থাকলে কান্না করতে পারে বা শব্দ করতে পারে। যদি সব ঠিক থাকে, শিশুটিকে পুনরায় ঘুমাতে সহায়তা করুন।






(ঢাকাটাইমস/২৫মার্চ/এসআই/ এআর/ঘ.)