সম্পদ যখন আল্লাহর নেয়ামত
ইসলাম ডেস্ক
১৮ এপ্রিল, ২০১৬ ১৮:০১:৫৩

ঢাকা: মানুষের জীবনের প্রয়োজন পূরণের জন্যই ধন-সম্পদ দরকার। আল্লাহর গোলামি করার জন্যও অনেক ক্ষেত্রে ধন-সম্পদ কাজে লাগে। এজন্য ধন-সম্পদকে আল্লাহর নেয়ামত হিসেবে অভিহিত করা হয়। তবে শর্ত হচ্ছে সম্পদ বৈধ পন্থায় উপার্জন করতে হবে। অবৈধ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করলে সেটা নেয়ামত নয় বরং আল্লাহর আজাব। যারা দেদারছে অবৈধ পথে সম্পদ উপার্জন করেন এই সম্পদই তাদের জন্য পরকালে সাপ-বিচ্ছু হয়ে দংশন করবে। এজন্য ইসলাম মানুষকে প্রয়োজন পূরণের মতো সম্পদ উপার্জনে উদ্বুদ্ধ করে। বেশি সম্পদ উপার্জন করলে এর জবাবদিহিতাও বেশি। তবে বৈধ পথে উপার্জন এবং আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় সম্পদ ব্যয় করলে তা আল্লাহর বিশেষ নেয়ামত হিসেবে গণ্য হবে। আবু বকর রা.সহ অনেক সাহাবাও বিপুল অর্থসম্পদের মালিক ছিলেন। তবে তারা তাদের সম্পদ অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন ইসলামের জন্য। ইমাম আজম আবু হানিফা (রহ.) অনেক বড় ধনকুবের ছিলেন। তবে তাদের প্রতিটি সম্পদ উপার্জন ও ব্যয় হয়েছে আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায়।
কোরান-হাদিসের অনেক জায়গায় হালাল ও সৎপথে উপার্জনের প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। এমনকি এটিকে ফরজ আখ্যা দিয়ে মহান ইবাদতের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘হে মানুষেরা, তোমরা হালাল ও পবিত্র বস্তু খাও।’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘মানুষের সে খাদ্যই সবচেয়ে উত্তম, যে খাদ্য নিজে উপার্জন করে।’ ইসলামে হালাল রিজিক গ্রহণ এবং বৈধপথে উপার্জনের প্রতি যেমন উৎসাহিত করা হয়েছে তেমনি অবৈধ পথে উপার্জনের প্রতি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। অবৈধ পথে উপার্জনকে ইসলামি শরিয়ত কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করেছে। যেমন সরকারি তহবিল তছরুপ, সম্পদ জবরদখল, চোরাচালান, মাদকদ্রব্যের ব্যবসা, কালোবাজারি ও পণ্যে ভেজাল, কর ফাঁকি দেয়া, জালিয়াতি, সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি, ধোঁকা, প্রতারণা ও শঠতার মাধ্যমে আয়, আত্মসাৎ সবই ইসলামে অবৈধ।
অবৈধপথে উপার্জনের পার্থিব ও পরকালীন পরিণতি ভয়াবহ। বাহ্যত দুনিয়াতে কেউ এর পরিণতি ভোগ না করলেও পরকালে নিশ্চিতভাবে ভোগ করতে হবে। শেষ বিচারের দিন যেসব প্রশ্নের উত্তর দেয়া ছাড়া এক পাও সামনে অগ্রসর হওয়া যাবে না, এর মধ্যে অন্যতম হলো, ‘তোমরা ধন-সম্পদ কোন পথে উপার্জন করেছ এবং কোন পথে ব্যয় করেছ।’ এজন্য সম্পদ উপার্জনের ক্ষেত্রে সবার সাবধান হওয়া চাই।
(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/জেবি)