অর্থ নিয়ে বিরোধেই মুয়াজ্জিন খুন: গ্রেপ্তার ৫
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২০ এপ্রিল, ২০১৬ ১০:৫১:২২

ঢাকা: পুরান ঢাকার ইসলামপুরে জব্বু খান মসজিদের মুয়াজ্জিন বিল্লাল হোসেন (২৮) হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। অর্থ নিয়ে বিরোধের জেরেই তিনি খুন হয়েছেন বলে জানা গেছে।বুধবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো মোবাইল ফোনের এসএমএস এই তথ্য জানানো হয়।
এসএমএসে দাবি করা হয়েছে, গ্রেপ্তার চারজন মুয়াজ্জিন বিল্লাল হোসেন হত্যার সঙ্গে জড়িত।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় জানায়নি পুলিশ।
বিস্তারিত তথ্য জানাতে দুপুর ১২টায় নিজেদের মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিং করার কথা রয়েছে।
৪ এপ্রিল জব্বু খান মসজিদ থেকেই মুয়াজ্জিন বিল্লাল হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়। দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। ৩ এপ্রিল রাতের কোনো এক সময় তাকে হত্যা করা হয়।এর আগেও তার ওপর আকস্মিক হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ঐ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন তিনি।তবে ঐ হামলার ব্যাপারে তিনি মুখ খুলেননি।কিছু একটা লুকিয়ে রাখার প্রবণতা ছিল বলে জানা গেছে।নিহত মুয়াজ্জিন বিল্লাল হোসেনের বাড়ি মানিকগঞ্জে।নিহত বিল্লালের ছেলে মো. ইয়াসিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করার পর কথা হয় তার সঙ্গে।তিনি তখন বলেন, ‘আমার বাবার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। তারপরও গত রমজান মাসে কয়েকজন তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।’ তিনি বলেন, ১৭তম রমজানের রাতে তাঁর বাবা চতুর্থ তলায় মসজিদের কার্যালয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরের দিকে কয়েকজন মসজিদে ঢুকে প্রথমে সব লাইট বন্ধ করে দেয়। এরপর বিল্লালের বুকের ওপর উঠে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করে। সেদিন বিল্লাল প্রাণে বেঁচে গেলেও তাঁর সঙ্গে থাকা প্রায় ৬৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। পরদিন এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল।
ওই হামলা সম্পর্কে ইসলামপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি ও মসজিদের নিয়মিত মুসল্লি দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় আমরা কয়েকবার মুয়াজ্জিন বিল্লালের কাছে এ সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। কিন্তু তিনি কাউকে চিনতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি কাউকে সন্দেহও করতে পারেননি।
৬৫ হাজার টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী বলেন, মসজিদের কোনো কমিটি নেই। নবাব পরিবারের একজনকে ‘মোতোওয়াল্লি (ব্যবস্থাপক)’ করে মসজিদটি পরিচালিত হয়। মসজিদের সব আয়ের টাকা বিল্লাল হোসেনের কাছে জমা থাকত। পরে তিনি সেই টাকা ব্যাংকে জমা দিতেন।
(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/এলএ/ এআর/ঘ.)