ইউপি নির্বাচন
কাশিয়ানীর ওসি মনিরকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২০ এপ্রিল, ২০১৬ ১১:৪১:৫৪

ঢাকা: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের কাছ থেকে উৎকোচ দাবি এবং মামলা নিয়ে হয়রানির অভিযোগে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামকে। আজ বুধবার তাকে সরিয়ে দিয়ে নতুন ওসি নিয়োগ দেয়া হবে বলে গোপালগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার এসএম ইমরান হোসেন ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ওসি মনিরুল ইসলামকে গোপালগঞ্জে ডাকা হয়েছে। তাকে প্রত্যাহার করে আজ নতুন কাউকে দায়িত্ব দেয়া হবে।’
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের এক চিঠিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ বজায় রাখতে কাশিয়ানী থানার ওসি মনিরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি তার জায়গায় কাকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে সে সম্পর্কেও কমিশনকে জানাতে বলা হয়।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা যাওয়ার পর থেকেই মৌখিকভাবে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে মনিরুল ইসলামকে। বুধবার সকালে তার অফিসিয়াল মুঠোফোন নম্বরে কল করলে কাশিয়ানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূর হোসেন কলটি ধরেন। তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ওসি সাহেব গোপালগঞ্জে এসপি অফিসে গেছেন। তাকে প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে চিঠি এসেছে। সে জন্য তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।’
মনিরুল ইসলামের পরিবর্তে থানার দায়িত্ব আপাতত তিনি পালন করছেন জানিয়ে বলেন, ‘কাকে দায়িত্ব দেয়া হবে এখনও শুনিনি। আমাকেও দায়িত্ব দেয়া হতে পারে।’
মঙ্গলবার পুলিশের মহা-পরিদর্শককে (আইজিপি) দেয়া নির্বাচন কমিশনের এক চিঠিতে আগামী ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য তৃতীয় দফা ইউপি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে কাশিয়ানি থানার ওসিকে প্রত্যাহার করতে নির্দেশ দেয়া হয়।চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে। এছাড়া ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক, ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার, গোপালগঞ্জের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ কাশিয়ানি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ওসি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের হয়রানির ব্যাপক অভিযোগ আছে। নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেয়া, রাতের আঁধারে নেতাকর্মীদের বাড়িতে হঠাৎ তল্লাশি চালিয়ে হয়রানি এবং প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ দাবি করায় তার বিরদ্ধে নির্বাচন কমিশনে একাধিক লিখিত অভিযোগ এসেছে।
(ঢাকাটাইমস/ ২০ এপ্রিলা/ এইচএফ)