logo ১৩ জুলাই ২০২৫
প্রেসার-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? টক দই খান
ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
২৩ এপ্রিল, ২০১৬ ২২:২৩:৩২
image



ঢাকা: গরমের তীব্রতা বাড়ছে। বৃষ্টির দেখা নেই।মানুষের বিশেষ করে জনবহুল ঢাকার মানুষের অস্বস্তি অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। এই গরমে অনেকেরই প্রিয় খাবার টক দইয়ের কদর যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে  টক দইয়ের জুড়ি নেই। রান্না-বান্না থেকে শুরু করে রূপ চর্চা, সব খানেই দইয়ের ব্যবহার হয়। এতে প্রচুর পরিমান ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি, যা হাড় ও দাঁতের গঠনে সহায়ক। নারীদের টক দই  বেশী প্রয়োজন, কেননা তারাই ক্যালসিয়ামের অভাবে বেশী ভোগে।






১. টক দইয়ের ব্যাকটেরিয়া অত্যন্ত উপকারী, এটা শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে। টক দই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া ঠান্ডা, সর্দি, জ্বরকে দূরে রাখে।






২. টক দইয়ে আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা কোষ্টকাঠিন্য দূর করে ও ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে। এটি কোলন ক্যানাসার রোগীদের খাদ্য হিসাবে উপকারী।






৩. যারা দুধ খেতে পারেন না বা দুধ যাদের হজম হয় না, তারা অনায়াসেই টক দই খেতে পারেন। কারণ টক দইয়ের আমিষ দুধের চেয়ে সহজে ও কম সময়ে হজম হয়।






৪. টক দই ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এর আমিষের জন্য পেট ভরা বোধ হয় ও শরীরে শক্তি পাওয়া যায়। ফলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহন করতে ইচ্ছে করে না। আর অতিরিক্ত খাবার না খেলে সহজেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।






৫. টক দই শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রতিদিন মাত্র এক কাপ করে টক দই খেলে উচ্চ রক্তচাপ প্রায় এক তৃতীয়াংশ কমে যায় এবং স্বাভাবিক হয়ে আসে। এছাড়া এটি রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমিয়ে দেয়।






৬.হার্টের অসুখ ও ডায়াবেটিসের রোগীরা টক দই খেলে অসুখ নিয়ন্ত্রণে থাকে।






৭. টক দই শরীরে টক্সিন জমতে দেয় না। ফলে অন্ত্রনালী পরিস্কার থাকে যা শরীরকে সুস্হ রাখে ও বার্ধক্য রোধে সাহায্য করে।






৮. নিয়মিত টক দই খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।






বানাবেন যেভাবে






১. এক লিটার দুধে ১ কাপ পানি মিশান।






২. মাঝারি আঁচে পাঁচ মিনিট জ্বাল দিন।






৩. দুধে বলক এলে আঁচ কমিয়ে দিন।






৪. অল্প আঁচে ১৫ মিনিট দুধ জ্বাল দিন।






৫. দুধ মাঝেমধ্যে নাড়ুন নাহলে তলায় লেগে যাবে।






৬. দুধ ঘন হলে চুলা থেকে নামিয়ে নাড়তে থাকুন।






৭. দুধ কিছুটা ঠান্ডা করুন।






৮. দুধটা মাটির হাঁড়িতে ঢালুন।






৯. কুসুম গরম থাকতে পুরনো ১ টেবিল চামচ দই দিয়ে নেড়ে  ঢেকে রাখুন।






১০. চার-পাঁচ ঘণ্টা পর দই জমে যাবে।






১১. দই জমে গেলে ঠাণ্ডা করার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন।






(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/এআর/ ঘ.)