স্মৃতিশক্তি চাঙা করতে চান?
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
২৪ এপ্রিল, ২০১৬ ২২:৪৭:৩৯

ঢাকা: মস্তিষ্ক সচল থাকলেই আপনি সচল থাকবেন।মস্তিষ্ক কেমন কাজ করছে সেটার ওপর আপনার সাফল্য-ব্যর্থতা অনেক কিছুই নির্ভর করে। ঘুমালেও মানুষের মস্তিষ্ক কাজ করতে থাকে।আর মানুষের মস্তিষ্ককে বেশি করে অ্যাকটিভ করার জন্য মানুষ কতকিছুই না করে।সব কিছুরই ফুয়েল লাগে, আর মস্তিষ্কও তার ব্যতিক্রম নয়।তবে বিশেষ কিছু খাবার রয়েছে যা মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী।এরকম কয়েকটি খাবারের তালিকা দেয়া হলো-
ডিম: সকালের নাশতায় একটা ডিমের ওমলেট আপনার মগজ খোলার জন্য বেশ ভালো কাজে আসতে পারে। ডিম ভিটামিন-বি এর খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান চোলিনের খুব ভালো উৎস। এটা অ্যাসিটোচোলিন উৎপন্ন করে মানসিক স্পষ্টতা, স্মৃতি সংরক্ষণ ও যুক্তি তৈরিতে মস্তিষ্ককে সহায়তা করে।
তিরিশ বছর বয়স পর্যন্ত অনায়াসে প্রতিদিন একটা ডিম খেতে পারেন। এর চেয়ে বেশি বয়সীরা নিজেদের স্বাস্থ্য অনুযায়ী নিয়মিত ডিম খাওয়ার ব্যাপারে একটু সাবধানী হওয়াই ভালো। চোলিনের বিকল্প উৎসের জন্য চিংড়ি খেতে পারেন। আর নিরামিশাষীরা ফুলকপি ও ব্রকোলি থেকে এই পুষ্টি পেতে পারেন।
দই : দই জাতীয় খাবার মগজের জন্য ভালো। বিকল্প হিসেবে মানসম্মত প্যাকেটজাত ইয়োগার্টও খেতে পারেন। মস্তিষ্কের বিশেষ নিউরোট্রান্সমিটার সচল রাখার প্রয়োজনীয় উপাদান টাইরোসিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড আছে এ জাতীয় খাদ্যে। ফলে মানসিক চাপের সময়ে আমাদের মস্তিষ্ক চাঙা করে নিজেকে ফিরে পেতে সহায়ক হতে পারে এই খাবার।
প্রতিদিন অন্তত একবেলা এক কাপ দই বা ইয়োগার্ট খেতে পারেন। আর টাইরোসিনের ঘাটতি মেটাতে বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন কলা।
দারুচিনি: দারুচিনির গন্ধ আর স্বাদ স্মৃতিশক্তি চাঙা করে তোলে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে নানা গবেষণায়। দারুচিনিতে থাকা বিশেষ দুটি উপাদান মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে মস্তিষ্ক চাঙা হয়ে ওঠে এবং তথ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ থেকে শুরু করে মগজের নানা কাজে গতি বাড়ে।
নানা খাবারদাবারে তো এই সুগন্ধি ও সুস্বাদু মসলা আমরা প্রায় নিয়মিতই খাই। সকালের চায়ের কাপেও এক টুকরো দারুচিনি ছেড়ে দিতে পারেন। অনেক সময় খালি মুখে এক টুকরো দারুচিনি চিবিয়ে নিলে মুখ যেমন তরতাজা হয় তেমনি তা মনকেও ফুরফুরে করে তুলতে পারে। দারুচিনি ছাড়া জামেও আছে মস্তিষ্ক চাঙা করার ওই দুই বিশেষ উপাদান।
হলুদ: অত্যন্ত জনপ্রিয় মসলা হলুদে দুই ডজনেরও বেশি প্রদাহ-নিরোধী নানা উপাদান আছে। হলুদ মস্তিষ্ক চাঙা করে আর স্মৃতিভ্রষ্টতা ঠেকাতে সাহায্য করে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। পরিচিত কারকিউমিন ছাড়াও হলুদে আছে অ্যারোমেটিক টারমেরোন। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে মস্তিষ্কের নিজেই নিজের ক্ষত সারিয়ে তোলার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে হলুদের এই বিশেষ উপাদান।
(ঢাকাটাইমস/২৪এপ্রিল/এআর/ঘ.)