logo ২১ এপ্রিল ২০২৫
ডিসি সম্মেলনের ৪০% সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন হয়নি
হাবিবুর রহমান, ঢাকাটাইমস
০২ মে, ২০১৬ ০৯:০১:৪৩
image



ঢাকা: ২০১৫ সালে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সম্পর্কিত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তগুলোর ৪০ শতাংশই বাস্তবায়িত হয়নি। এসব সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ানের জন্য সব জেলা প্রশাসককে চিঠি দিযেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।






তবে আগামী ডিসি সম্মেলনে আলোচনার জন্য বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকরা গতবারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের যে অগ্রগতি প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন, সেখানে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৯৫ শতাংশ বলা হযেছে।






গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ-সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে  এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তারিখ ও সময়সূচি নির্ধারণ-সংক্রান্ত প্রস্তুতি সভার কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।






এবারের তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন শুরু হবে আগামী ২৬ জুলাই।






২০১৫ সালের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সম্পর্কিত বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ-সচিব সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলে বৈঠক সূত্র জানায়।






গত বছরের সম্মেলনে স্বল্পমেয়াদে চারটি প্রস্তাব বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।সেগুলো হলো-ফরিদপুর, শেরপুর, রাজবাড়ী ও কুড়িগ্রাম জেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা; ভোলা জেলার বাগমারা ইউনিয়নে সরকারি খাসজমি অবৈধ দখলমুক্ত করে বিশেষ শিল্পাঞ্চল স্থাপন করা;  চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রস্তাব দ্রুত পাঠানো;  কুষ্টিয়া মোহিনী টেক্সটাইল মিলস এলাকায় বিকল্প শিল্পকারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া।






এ চারটির অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভোলার সরকারি জমি অবৈধ দখলমুক্তকরণের করা হয়নি। শেরপুর জেলার অথনৈতিক অঞ্চল করার প্রস্তাব বেপজার গভর্নিং বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন হয়েছে। অন্যদিকে ফরিদপুর, কুড়িগ্রাম ও রাজবাড়ী জেলায় অথনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে এখনো প্রস্তাব পাওযা যায়নি।






মধ্যমেয়াদি সিদ্ধান্ত দুটির মধ্যে সিরাজগঞ্জের ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগণের জন্য কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জনবল পাঠানো এখনো প্রক্রিয়ায় রযেছে। আর অন্যটি ছিল পর্যায়ক্রমে সব জেলার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে কম্পিউটার এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করা।






গত বছর প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘমেয়াদে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত চারটির মধ্যে মাত্র দুটির আংশিক অগ্রগতি হয়েছে। সেগুলো হলো, জামালপুর অথনৈতিক অঞ্চল ও চাদঁপুর জেলায় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত শিশুপার্ক নির্মাণ অগ্রগতি।






চারটি সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিল উন্নততর সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ইউডিসির উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা; চাদঁপুর জেলায় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত শিশুপার্ক দ্রুত নির্মাণ করা; অথনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নোয়াখালী জেলার প্রস্তাবিত জমি নিয়ে চলমান মামলা দ্রুত নিম্পত্তির উদ্যোগ নেয়া এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মানিকগঞ্জ, জামালপুর বরিশাল, হবিগঞ্জ, শরীয়তপুর ও কুষ্টিয়া জেলায় অর্থনৈতিক অঞ্চল করা।






আগামী ২৬ জুলাই ডিসি সম্মেলনের আগে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের তাগাদাপত্র দেয়া হয়েছে।






ডিসি সম্মেলনে আলোচনার জন্য বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকরা ইতিমধ্যে গতবারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতির প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন। সেখানে ২০১৫ সালে ডিসি সম্মেলনে নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৯৫ শতাংশ বলা হযেছে। অথচ প্রধানমন্ত্রীরে কার্যালয় সম্পর্কিত স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবায়ন সিদ্ধান্তগুলোর ৪০ ভাগও বাস্তবায়িত হয়নি।






এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী ঢাকাটাইমসকে বলেন, গত বছরের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের সিদ্ধান্তের বেশির ভাগই বাস্তবায়ন হয়েছে। আর যেগুলো হয়নি সেগুলো বাস্তবায়নে গত বৃহস্পতিবার বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।






অতিরিক্ত সচিব বলেন, আগামী ২৬ জুলাই জেলা প্রশাসক সম্মেলন শুরু হবে। এবার ডিসিদের নতুন নুতন প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে। গতবারের প্রস্তাবের পুনরাবৃত্তি না করতে বলা হয়েছে।






কুড়িগ্রামে এক বছরেও অর্থনৈতিক অঞ্চল না হওয়া বিষয়ে জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন ঢাকাটাইমসকে জানান, কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক জোনে জমি ও স্থান নির্ধারণ জটিলতা থাকার কারণে এখনো কাজ হয়নি। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা চা্ওয়া হযেছে।   






(ঢাকাটাইমস/০২মে/এইচআর/মোআ)