রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ): নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যৌতুকের জন্য লাকি আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। যৌতুক বাবদ দাবিকৃত অটোরিকশা না দেয়ায় লাকিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে নিহতের পরিবার। ঘটনার পর থেকেই স্বামী-শ্বশুরসহ বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
রবিবার ভোরে উপজেলার রানীপুরা ইসলামপুর এলাকার শ্বশুর বাড়ি থেকে লাকির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত লাকি আক্তার উপজেলার তাড়াইল এলাকার ইব্রাহীম মিয়ার মেয়ে।
রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম জানান, সকালে রানীপুরা ইসলামপুর এলাকার শ্বশুর বাড়িতে নববধূ লাকি আক্তারের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
তবে, তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই স্বামী-শ্বশুরসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
নিহত লাকি আক্তারের পিতা ইব্রাহীম মিয়া জানান, গত দের মাস আগে রানীপুরা ইসলামপুর এলাকার আলম মিয়ার ছেলে নাঈম মিয়ার সঙ্গে লাকি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী নাঈম মিয়া ও শ্বশুর আলম মিয়া যৌতুক হিসেবে একটি অটোরিকশা দাবি করে আসছে। ইব্রাহীম গরিব বলে দাবিকৃত অটোরিকশা দিতে পারছিলেন না। তারপরও মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছে অটোরিকশা কিনে দেয়ার জন্য সময় চেয়েছেন। এদিকে অটোরিকশা কিনে দিতে না পারায় নববধূ লাকি আক্তারকে পিতার বাড়িতে যেতে দিতো না স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন। গত শনিবার রাতে মেয়েকে আনতে মেয়ের শ^শুর বাড়িতে যান ইব্রাহীম মিয়া। এসময় জামাতা নাঈম মিয়া, মেয়ের শ্বশুর আলম মিয়াসহ বাড়ির লোকজন ইব্রাহীম মিয়াকে গালিগালাজ করে মেয়েকে না দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
দাবিকৃত যৌতুকের অটোরিকশা কিনে না দেয়ায় স্বামী-শ্বশুরসহ বাড়ির লোকজন মেয়ে লাকি আক্তারকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পিতা ও স্বজনরা।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, নিহত নববধূ লাকি আক্তারের পিতা ইব্রাহীম মিয়া বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
(ঢাকাটাইমস/২৯মে/প্রতিনিধি/ইএস)