logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
গণমুখী ও নির্ভীক সাংবাদিকতার পথিকৃৎ
নিজস্বপ্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
০১ জুন, ২০১৬ ০০:২১:৫৫
image



ঢাকা:  আজ ১ জুন গণমুখী ও নির্ভীক সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ও দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আজিমপুরস্থ মরহুমের কবরস্থানের মাজারে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, আলোচনা ও স্মরণসভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।






আজ সকাল সাতটা থেকে মরহুমের আজিমপুর কবরস্থানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, শ্রদ্ধা নিবেদেন, কোরআনখানি ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া দৈনিক ইত্তেফাক অফিসে সকাল আটটা থেকে কোরআনখানি ও বাদ জোহর মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।






তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা ও স্মরণসভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম (বিজেআরএফ)। এতে সব সদস্য ও সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।






সংগঠনের পক্ষ থেকে গণমুখী ও নির্ভীক সাংবাদিকতার পথিকৃৎ তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।






বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার জন্ম ১৯১১ সালে পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া গ্রামে। বিএ পাসের পর তিনি পিরোজপুর আদালতে কেরানির চাকরি নেন। পরে শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সহায়তায় তদানীন্তন বঙ্গীয় সরকারের জনসংযোগ বিভাগের বরিশাল জেলা শাখার জনসংযোগ অফিসার পদে নিযুক্ত হন। কিছুকাল পর সোহরাওয়ার্দীর পরামর্শে সরকারি চাকরিতে ইস্তফা দেন। সোহরাওয়ার্দীর সহায়তায় তিনি কলকাতায় প্রাদেশিক মুসলিম লীগ অফিসের সেক্রেটারি পদে নিয়োগ পান। সেই সময় থেকেই সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ও রাজনৈতিক মতাদর্শে সোহরাওয়ার্দীর অনুসারী হন। সোহরাওয়ার্দীর প্রতিষ্ঠিত দৈনিক ইত্তেহাদ পত্রিকার পরিচালনা বোর্ডের সেক্রেটারি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪৮ সালে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে গেলে ঢাকায় চলে আসেন আওয়ামী লীগ গঠিত হলে দলীয় মুখপত্র হিসেবে সাপ্তাহিক ইত্তেফাক প্রকাশিত হয়। মানিক মিয়া পত্রিকার সম্পাদক নিযুক্ত হন। তার সম্পাদনায় সাপ্তাহিক ইত্তেফাক দৈনিকে রূপান্তরিত হয়। ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি  হলে তা লঙ্ঘনের অভিযোগে মানিক মিয়া গ্রেফতার হন। প্রায় এক বছর কারা ভোগ করেন। সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্র-বিক্ষোভের ইন্ধন জোগানো অভিযোগে পুনরায় গ্রেপ্তার। ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলনের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জ্ঞাপন করেন। ইত্তেফাক ছয় দফার মুখপত্র হিসেবে প্রকাশিত হতে থাকলে আইয়ুব সরকারের রোষানলে পড়ে গ্রেপ্তার হন। একই দিন সরকার কর্তৃক ইত্তেফাকের প্রকাশনা নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং এর ছাপাখানা নিউ নেশান প্রিন্টিং প্রেস বাজেয়াফত করা হয়। পরে গণ-আন্দোলনের চাপে সরকার কর্তৃক ইত্তেফাকের প্রকাশনার ওপর থেকে বিধি-নিষেধ প্রত্যাহার হয়।






বন্তুনিষ্ঠ ও নির্ভীক সাংবাদিক এবং সম্পাদক হিসেবে খ্যাত মানিক মিয়া দেশে নির্ভেজাল পার্লামেন্টারি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, পূর্ববাংলার আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন এবং পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর শাসন, শোষণ ও নির্যাতনের কবল থেকে বাঙালিদের মুক্ত করার জন্য ইত্তেফাকের ‘মঞ্চে নেপথ্যে’উপ-সম্পাদকীয় কলামে মুসাফির ছদ্মনামে বিরামহীন লিখে যান।






(ঢাকাটাইমস/০১জুন/এইচআর/জেবি)