logo ২৩ এপ্রিল ২০২৫
অগ্রণী ব্যাংকের এমডিসহ ১৮ শীর্ষ কর্তাকে দুদকে তলব
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১৫ জুন, ২০১৬ ২১:২৭:১৩
image



ঢাকা: বেশ কয়েক দিন ধরেই অগ্রণী ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি গণমাধ্যমে সংবাদ শীরোনাম হচ্ছে।অভিযোগ পাওয়ার পর অগ্রণী ব্যাংকের এমডি আব্দুল হামিদকে অপসারণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে শুনানিও হচ্ছে। ঠিক এমন অবস্থায় অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের সাবেক ১৫ সদস্যসহ ১৮ জনকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ভুয়া মর্টগেজের মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংকের ২৭০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বক্তব্য জানতে তাঁদের তলব করা হয়।






বুধবার দুদক কার্যালয় থেকে উপপরিচালক বেনজীর আহম্মদ স্বাক্ষরিত আলাদা নোটিশ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে পাঠানো হয়েছে ।দুদকের গণসংযোগ কর্মকর্তা এর সত্যতা নিশ্চত করেছেন। নোটিশে তাঁদের ২০, ২১ ও ২২ জুন সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তার কাছে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে। যথাসময়ে হাজির হতে ব্যর্থ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে নোটিশে।






যাঁদের তলব করা হয়েছে, তাঁরা হলেন অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক এবং ব্যাংকের সাবেক ১৫ পরিচালক আরাস্তু খান, ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, কে এম এন মঞ্জুরুল হক লাভলু, এ কে গোলাম কিবরিয়া, বলরাম পোদ্দার, অধ্যাপক আবদুর রউফ সরদার, আলতাফ হোসেন মোল্লা, রণজিৎ কুমার চক্রবর্তী, এ বি এম কামরুল ইসলাম, নাগীবুল ইসলাম দীপু, শেখর দত্ত, জাকির আহমেদ, শাহজাদা মহিউদ্দিন, সৈয়দ বজলুল করিম ও আবদুস জহির চৌধুরী সুফিয়ান।






এ ছাড়া অগ্রণী ব্যাংকের বর্তমান এমডি সৈয়দ আবদুল হামিদ ও ব্যাংকের ডিএমডি মিজানুর রহমান খানকে তলব করা হয়েছে।






অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্র জানায়, মিজানুর রহমান তাঁর মালিকানাধীন তিনটি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মুন ইন্টারন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, মেসার্স মুন বাংলাদেশ লিমিটেড ও মেসার্স এম আর ট্রেডিংয়ের নামে ভুয়া জামানতে বন্ধক রেখে ২৭০ কোটি টাকা ঋণ নেন। তিনি কাগজপত্রে ৮১০ কোটি টাকার জামানত দেখিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, যেসব নথিপত্র জামানত হিসেবে দেখিয়েছেন, তা সবই জাল।






তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মুন ইন্টারন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেসের অনুকূলে ৪৯ কোটি টাকা, মেসার্স মুন বাংলাদেশ লিমিটেডের অনুকূলে ১৪১ কোটি টাকা ও মেসার্স এম আর ট্রেডিংয়ের অনুকূলে ৮০ কোটি টাকাসহ মোট ২৭০ কোটি টাকা অগ্রণী ব্যাংকের মতিঝিল প্রধান শাখা থেকে ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়।






(ঢাকাটাইমস/ ১৫ জুন /এআর /ঘ.)