গতকাল বিকালে ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য ভারতের কলকাতা ক্ষিদিরপুর নৌবন্দর থেকে এক হাজার টন স্টিলশিট ও রড নিয়ে এমভি নিউটেক-৬ নামে একটি জাহাজ আশুগঞ্জ নৌবন্দরে নোঙর করে।আজকের উদ্বোধনের পর ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে এসব পণ্য আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হবে।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটন ভারতীয় পণ্য খালাসের জন্য বাংলাদেশ ১৯২ টাকা করে পাবে।এর মধ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ১০ টাকা, সড়ক ও জনপথ বিভাগ ৫২ টাকা ২২ পয়সা ও বাকি টাকা রাজস্ব বোর্ড পাবে।
আশুগঞ্জ বন্দরে নৌ জেটিতে ট্রান্সশিপমেন্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শাজাহান খান বলেন, দীর্ঘদিনের এক স্বপ্ন আজ বাস্তবে রূপ নিলো। এর মধ্য দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক সুদীর্ঘ হলো। রাজস্ব আহরণের পথ উন্মুক্ত হলো।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়। উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, বাংলাদেশের নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা, জাতীয় সংসদ সদস্য ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রসাশক ড. মোশাররফ হোসেন, জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ অন্য কর্মকর্তারা।
হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের জন্য এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। এই চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ আমাদের পণ্য পরিবহণে পূর্ণ প্রবেশাধিকার দিয়েছে। এ কাজে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়েছে। তাই বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক বন্ধন আছে মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে। এই ট্রান্সশিপমেন্টের ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশগুলো উপকৃত হবে।
তিনি বলেন, পণ্য পরিবহনের ফলে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত যে ক্ষতি হবে তা কাটিয়ে উঠতে সব ধরনের সহযোগিতা ভারত দেবে।
এনবিআরের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, এই ট্রান্সশিপমেন্ট কার্যক্রমের ফলে রাজস্ব সম্ভাবনার সোনালী দুয়ার উন্মোচিত হলো। এর মধ্য দিয়ে সরকারের রাজস্ব আদায়ের পদক্ষেপ এক ধাপ এগিয়ে গেলো।
ভারতীয় পণ্য আনা-নেওয়ার বেশিরভাগ কন্ট্রাক্ট বাংলাদেশিরাই পেয়েছে বলে জানান নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়।