ঢাকা: তেজ কমেছে কাঁচা মরিচের দামে। কমেছে সব ধরনের সবজির দামও। তবে ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে মাসলার দাম।
রমজানের শুরুতে যে মরিচ ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে, সেই মরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। রমজানে সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন সবজি বেগুন শুরুতে বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা কেজি, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। শসার দামও কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি, করল্লা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙা ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ২৫ টাকা, পটল ২০ টাকা, কাকরোল ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
লাউ বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে প্রতিটি ২০ থেকে ৩০ টাকায়। চালকুমড়া ১০ টাকা ২০ টাকায়, মিষ্টিকুমড়া ৪০ থেকে ৮০ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি।
এদিকে পাইকারি বাজারে প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়, ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা। দেশি রসুন ১০০ টাকা কেজি ও ভারতীয় রসুন ১৪০ টাকায়। চিকন আদা ১০০ টাকা কেজি ও মোটা আদা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি।
মসল্লার বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়, যে এলাচ গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ১০৫০ টাকা কেজি। বেড়েছে লবঙ্গ, গোল মরিচ ও দারুচিনির দামও। লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি, গোলমরিচ ৮০০ টাকা। জিরার দাম আগের মতোই আছে। জিরা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি।
মাছ ও মাংসের দামে খুব একটা হেরফের হয়নি। মাঝারি সাইজের ইলিশ প্রতি জোড়া বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকায়, শিং ৫০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা কেজি, কই ১৫০ টাকা, রুই ২২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ এবং গরুর মাংস ৪০০ টাকায়।
এদিকে ঈদ সামনে রেখে পোলাউ চালের দাম বাড়লেও অন্যান্য চালের দাম আগের মতোই আছে। পোলাউ চাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি, নাজিরশাইল ৪৫ টাকা, মিনিকেট ৪৫ টাকা, পায়জাম ৩৮ টাকা, মোটা চাল ৩৫ টাকা কেজি।
চিনি প্রতি কেজি ৬২ টাকা, খোলা সোয়াবিন ৭২ টাকা কেজি ও বোতলজাত দুই কেজি তীর সোয়াবিন তেল ১৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের জেনারেল স্টোরের কর্মচারী রফিকুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ঈদ সামনে রেখে গত এক সপ্তাহে মসলা ও চিনির দাম বেড়েছে। তবে অন্যান্য জিনিসের দামে খুব একটা হেরফের হয়নি।
(ঢাকাটাইমস/২৪ জুন/মোআ)