ঢাকা: অনেকেই অবসাদে ভুগেন। একটু পরিশ্রম করলেই হাঁপিয়ে উঠেন। কাজ করতে গেলে মাথায় ধরে। চোখে ঝাপসা দেখেন। এর কারণ হিসেবে স্ট্রেস, ঘুম কম হওয়া, নেগেটিভ ইমোশন এগুলোর কথা আমরা জানি। তবে সঠিক খাওয়া-দাওয়া না করলেও পুষ্টির অভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারি আমরা। জেনে নিন কোন কোন মৌলগুলো শরীরে সঠিক পুষ্টির জন্য জরুরি যেগুলোর অভাবে দেখা দিতে পারে অবসাদ।
প্রোটিন: যতটা সম্ভব হালকা রান্না প্রোটিন রোজ খান। এতে শরীরে অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি মেটে। অ্যামাইনো অ্যাসিডের ঘাটতি হলে শরীরে যে ক্ষয় হয় তা অবসাদ ডেকে আনে। মাছ, ডিম, দুধ, চিজ, ডাল অবশ্যই রাখুন ডায়েটে।
ফ্যাট: শরীরের সঠিক গঠনের জন্য ফ্যাট অত্যন্ত জরুরি। ফ্যাটের অভাব হলে অ্যাড্রিনালিন গ্ল্যান্ড ঠিক মতো কাজ করে না। নারকেল তেল, আমন্ড তেল, মাখন, অলিভ অয়েল শরীরে ফ্যাটের প্রয়োজন মেটাতে পারে।
জটিল কার্বহাইড্রেট: শরীরে পুষ্টি জোগাতে, ভাল ঘুমের জন্য অত্যন্ত জরুরি জটিল কার্বহাইড্রেট। পালং শাক, আলু, লাল-হলুদ ক্যাপসিকাম, ভাত, আম, পেঁপে জটিল কার্বহাইড্রেটের উৎস।
ভিটামিন সি: অ্যাড্রিনালিনের সঠিক কার্যকারিতার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি। স্প্রাউট, শাক-সবজি, লেবু, টোম্যাটো, ব্রকোলি, স্ট্রবেরি অবশ্যই খান।
ম্যাগনেসিয়াম: অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণের জন্য যে উত্সেচক প্রয়োজন তা শরীরে তৈরি করতে সাহায্য করে ম্যাগনেসিয়াম। বাদাম, কালো তিল, গম, ব্রাউন রাইস, কড়াইশুটি, বিনসে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে।
যেকোনো ধরনের বি ভিটামিন: অ্যাড্রিনালিনের ক্ষরণে সব বি ভিটামিনই প্রভাব ফেললেও বি৫ ও বি৬ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রক্তের শর্করাকে এনার্জিতে পরিণত করে। ডিমের কুসুম, চিনে বাদাম, লিভার, সয়াবিন, ডাল অবশ্যই খান।
ক্যালসিয়াম: এই মৌল স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। তিল, বিনস, বাদাম, ব্রকোলি, পার্সলে, ছাগলের দুধে ক্যালসিয়াম বহুল পরিমাণে পাওয়া যায়।
ট্রেস অলিমেন্ট: শরীরে পুষ্টির জন্য জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম, মলিবডেনাম, ক্রোমিয়াম, কপার, আয়োডিন স্বল্প পরিমাণে প্রয়োজন। সামুদ্রিক সবজি, স্প্রাউট, কচি শাকের মধ্যে ট্রেস এলিমেন্ট পাওয়া যায়।
সোডিয়াম: অ্যাড্রেনাল গ্ল্যান্ড থেকে যে অ্যালডোস্টেরন ক্ষরণ হয় তা শরীর সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এর ক্ষরণ কম হলে শরীরে সোডিয়ামের অভাব হয়। নুন ছাড়াও লাল লঙ্কার সোডিয়ামের ভাল উত্স।
অক্সিজেন: পানি কম খেলে শরীরে অক্সিজেনের অভাবে ডিহাইড্রেশনের কারণেও অবসাদে ভুগতে পারে।
(ঢাকাটাইমস/০৮জুলাই/জেবি)