ভবিষ্যতের ‘সুপার ফুড’ ‘তেলাপোকার দুধ’
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
২৭ জুলাই, ২০১৬ ১৭:৩৬:৫২

ঢাকা: বাড়িতে তেলাপোকা দেখলেই চিৎকার! সেই সঙ্গে জুতা হাতে তাকে মারতে দৌড়ানোর আগে এবার একবার ভাবুন, ভয়ালদর্শন এ পোকাটিই হতে যাচ্ছে ভবিষ্যৎ মানুষের পুষ্টির উৎস। কারণ ভবিষ্যত সাস্থ্যবর্ধক সুপারফুডের জায়গা দখল করতে পারে এক জাতের তেলাপোকার দুধ। ভারতীয় একদল গবেষক এমন দাবি করেছেন।
দেশটির ইনাস্টিটিউট ফর স্টিম সেল বায়োলজি অ্যান্ড রিজেনারেটিভ মেডিসিনের একদল বিজ্ঞানীর গবেষণায় দেখা গেছে, এক জাতের তেলাপোকা রয়েছে যারা অন্যদের মতন ডিম না পেড়ে বাচ্চা দেয়। প্যাসিফিক বিটল প্রজাতির তেলাপোকারা গর্ভে সন্তান ধারণ করে। তারপর মা তেলাপোকা সন্তান জন্ম দিয়ে তার জন্য নিজের শরীরের মধ্যেই তরল খাবার তৈরি করে। ল্যাকটেটিং প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবারই হল তেলাপোকার দুধ।
গবেষকরা বলছেন তেলাপোকার দুধে রয়েছে ফ্যাট, শর্করা, অ্যামিনো এসিড। যা গরুর দুধের চেয়ে চারগুণ বেশি পুষ্টি সমৃদ্ধ। যেটা একমাত্র এই প্রজাতির তেলাপোকারাই সন্তান জন্ম দেয়ার পর উৎপাদন করে এবং সেটি খাইয়ে তাদের সন্তান বড় করে।
প্রধান গবেষক সুবরামানিয়া রামস্বামীর বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ‘তেলাপোকার দুধ হতে চলেছে প্রোটিনের সম্পূরক খাবার। এটি প্রচার আর প্রকাশ এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।’
তাই বলে আবার এখনই লেগে যাবেন না যেন, তেলাপোকার দুধের মিল্কশেক বানাতে। অতটুকু প্রাণীর দুধ দোয়ানোও কি চাট্টি খানি কথা? মানুষের খাওয়ার উপযোগী করতে প্যাসিফিক বিটলের দুধ নিয়ে জিন গবেষণা চলছে যাতে কৃত্রিম উপায়েই ওটা তৈরি করা যায়। তাই খাবার উপযোগী হয়ে বাজারে আসতে একটু অপেক্ষা করতে হবে ।
(ঢাকাটাইমস/২৭জুলাই/জেএস/ডব্লিউবি)