logo ২১ এপ্রিল ২০২৫
বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যবসায়ী নেতাদের বৈঠক
জঙ্গি হামলায় ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রভাব পড়েনি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২৮ জুলাই, ২০১৬ ১৮:৩৭:১৫
image



ঢাকা:জঙ্গি দমনে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ব্যবসায়ী নেতারা বলেছেন, গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার পরও বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আগের মতো চলছে।






বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের মূল্যায়ন তুলে ধরতে গিয়ে তারা এমনটাই জানান।  






বিদেশি ক্রেতাদের বাংলাদেশে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা দিলে দুই-একটি সন্ত্রাসী ঘটনার পরও ব্যবসা-বাণিজ্যে তার প্রভাব তেমন পড়বে না বলেও মনে করেন ব্যবসায়ী নেতারা।






অন্যদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ব্যব্সায়ী নেতাদের জঙ্গিবাদ দমন করে সরকার স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে সচেষ্ট বলে জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘বিদেশিরা যারা যেখানে নিরাপত্তা চায় নিরাপত্তা দেব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত।’






সাম্প্রতিক জঙ্গি তৎপরতাকে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি করে তিনি বলেন,‘দেশের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।’






এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন,“গুলশানের ঘটনায় বিস্মিত হয়েছিলাম, কারণ এ ধরনের ঘটনা আমরা আগে ফেইস করিনি। কিন্তু পৃথিবী অবাক হয়ে দেখল, প্রধানমন্ত্রী ত্বরিত ও কত শক্ত হাতে এটা ডিল করেছেন।






‘গুলশানের ঘটনার পর অনেকেই ভেবেছিলেন কেনাকাটা হবে না। কিন্তু মার্কেটগুলোতে উপচেপড়া ভিড় ছিল। ট্রাক-বাসের বিক্রি কমেনি।’






গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নিটল-নিলয় গ্রুপের কর্ণধার মাতলুব জানান, ভারতের টাটা মটরসের প্রকৌশলীরা এরপরও বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। হিরোর নতুন ফ্যাক্টরি হচ্ছে, তারাও সভা করেছেন। আমি কোনো গ্যাপ দেখতে পাচ্ছি না।






এসময় আগামী সেপ্টেম্বরে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা নিয়ে ব্যবসায়ী মহলের পক্ষ থেকে ঢাকায় সম্মেলন করার ঘোষণাও দেন ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ সংগঠনের সভাপতি।






মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি নাসিম মঞ্জুর জঙ্গিবাদকে ‘পৃথিবীর বাস্তবতা’ আখ্যায়িত করে বলেন,“বিদেশি ক্রেতারা দেখতে চাচ্ছে আমাদের রেসপন্সটা কী?






“বাংলাদেশ থেকে যে রেন্সপন্সটা আমরা করেছি এবং ভবিষ্যতে করব, সেটা তুলে ধরা দরকার। ভবিষ্যতেও যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে, রেন্সপন্সগুলো কী হবে, সেগুলো আরও জোরে বলা দরকার।”






আর বিকেএমইএ সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান বলেন, ‘বেছে নিয়ে ইতালীয় ও জাপানিদের উপর আক্রমণ করা হল। এটা আরএমজি সেক্টরকে ধ্বংস করার চক্রান্ত বলে আমি মনে করি।






তিনি আরো বলেন,‘আমাদের উপর কোনো অ্যাফেক্ট হয়নি, বায়াররা সহযোগিতা করছেন। আমাদের প্রতিটা ফ্যাক্টরি যেমন চলছিল তেমনই চলছে। এক্সপোর্টের পারফরমেন্স আগের মতোই আছে।’






ঢাকার হোটেলগুলোতে বিদেশি কমে গেছে বলে বিভিন্নজনের বলার প্রতিক্রিয়ায় সেলিম ওসমান বলেন, ‘জুলাই থেকে অগাস্ট পর্যন্ত কোনো বায়ারই বাংলাদেশে আসেন না। তারা সামার ভ্যাকেশনে ফ্যামিলি নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা ঘুরে বেড়ান।’






গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্ত না করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।






বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মঈন উদ্দিন আহমেদ মিন্টু বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে যে প্যানিক সৃষ্টি করা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হাতে দমন করলে বায়াররা যে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে সেই কনফিডেন্সটা আবার ফিরে পাবে।






জঙ্গি হামলা কিছুটা ‘ধাক্কা’ দিলেও কীভাবে তা মোকাবেলা করা হচ্ছে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন  বিটিএমএ সভাপতি তপন চৌধুরী বলেন।






আর এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি সালমান এফ রহমান বলেন, “ব্যবসায় তেমন অ্যাফেক্ট হয়নি, ব্যবসা চলছে, ভালোভাবেই চলছে। ইনিশিয়ালি যেটা হয়েছিল তারা আমাদের দেশে আসা নিয়ে শঙ্কিত ছিল।






“তাদের বলি,‘তোমাদের প্রটেকশন দিয়ে হোটেল নিয়ে যাব, নিরাপত্তা দেব। অন্য দেশে এ ধরনের সাপোর্ট খুবই কম। কল্যাণপুরের অভিযানে শুধু বিদেশি নয়, সবারই কনফিডেন্স বেড়ে গেছে।’






(ঢাকাটাইমস/২৮জুলাই/বিইউ/ এআর /ঘ.)