logo ১৫ এপ্রিল ২০২৫
চার কোটি টাকা আত্মসাৎ: ব্যাংক ব্যবস্থাপক গ্রেপ্তার
বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
১২ আগস্ট, ২০১৬ ১৪:১২:১২
image




বাগেরহাট: বাগেরহাট সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির ওই শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক শেখ মুজিবর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাতে খুলনা মহানগরীর নুর নগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার সকালে তাকে খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।



গ্রেপ্তার মুজিবর রহমান বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়নের চাকশ্রী গ্রামের শেখ হাসান আলীর ছেলে।



তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের (বাগেরহাট-খুলনা-সাতক্ষীরা) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) আবুল হাশেম কাজী বলেন, ২০১২ সাল থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত বাগেরহাট শহরের রেলরোডে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক থাকাকালীন সময়ে মুজিবর রহমান এবং ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমান বাবু ও আরেক কর্মকর্তাসহ ১২ জন ওই ব্যাংকের ১৫০ জন গ্রাহকের এসওডি’র (সিকিউর ওভার ড্রাফট) বিপরীতে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে। পরে এসব হিসাব থেকে চার কোটি ৪৯ লাখ টাকা আত্মসাত করেন।



এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর সোনালী ব্যাংকের যোগদান করা নতুন ব্যবস্থাপক খান বাবলুর রহমান বাদী হয়ে ব্যাংকটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমানের নাম উল্লেখ করে বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা করেন।



দুদক কর্মকর্তা আবুল হাশেম কাজী বলেন, ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর তদন্তের পর টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মেলে। অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা ও ১২ জন গ্রাহকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এর মধ্যে ব্যাংকের পলাতক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমান বাবু আত্মসাত করা ৩৫ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন। সবার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হবে।



তিনি আরও বলেন, তিন ব্যাংক কর্মকর্তার মধ্যে ব্যবস্থাপক শেখ মুজিবর রহমান ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমান বাবুকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। তবে অন্যজন এখনো চাকরিতে বহাল রয়েছেন। দুদকের তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মেলায় দুর্নীতি দমন কমিশনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হলে বৃহস্পতিবার কমিশন তাদের গ্রেপ্তারের আদেশ দেয়। শুক্রবার তাকে খুলনা মহানগর হাকিমের আদালতে তুলবে পুলিশ।



উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংকের খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অডিট নিরীক্ষাকালে ব্যাংকটির বাগেরহাটের প্রধান শাখার ওই অর্থ আত্মসাতের তথ্য ফাঁস হয়। এরপর ঘটনা তদন্তে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পৃথক দুটি কমিটি গঠন করে। এর মধ্যে ব্যাংকের পলাতক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমান বাবু আত্মসাত করা ৩৫ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছেন।



(ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/প্রতিনিধি/এমআর)