বন্যার ক্ষতি: চার লাখ কৃষকের জন্য বরাদ্দ ৪৩ কোটি টাকা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
২৪ আগস্ট, ২০১৬ ১৬:০২:৫২

বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চার লাখেরও বেশি কৃষককে প্রায় ৪৩ কোটি টাকার সার, বীজ ও চারা দেবে সরকার। দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এই কথা জানান কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
মন্ত্রী জানান, এবারের বন্যায় ১৬টি জেলায় আমন বীজতলা, শাক-সবজি ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানিতে ডুবে গেছে প্রায় সাড়ে চার লাখ হেক্টর জমির ফসল। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এক দশমিক ৫৮ লাখ হেক্টর জমির ফসল।
এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পুনর্বাসন ও প্রণোদনা নামে দুটি কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। পুনর্বাসনের আওতায় ১৭ হাজার ২১ জন কৃষককে ৫৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকার ধানের চারা ও ফসলের বীজ দেয়া হবে।
আর প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় চার লাখ এক হাজার তিনশ কৃষক পাবেন ৪১ কোটি ৫৬ লাখ আট হাজার ৮০০ টাকার ধানের চারা, সার ও বীজ।
সব মিলিয়ে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ৪২ কোটি নয় লাখ ৮২ হাজার আটশ টাকার ধানের চারা, সার ও বীজ দেবে সরকার। এ ক্ষেত্রে ধানের চারার পাশাপাশি প্রতি কৃষককে ২০০ গ্রাম করে লাল ও মূলা শাকের বীজ, ১০০ গ্রাম পালং শাকের বীজ, ৩০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়ার বীজ এবং ১০ গ্রাম বেগুনের বীজ দেয়া হবে।
এই সহায়তায় কৃষকরা বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করেন কৃষিমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা সরকারের পক্ষ থেকে যদি তাদেরকে এক টাকা দেই, তাহলে কৃষক লাভবান হয় ১২ টাকার।’
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘সরকারের পুনর্বাসন ও প্রণোদনার উদ্দেশ্য দুটি। কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার পাশাপাশি ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা।’
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা এরই মধ্যে সরকারের কাছে আছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরও আমরা এভাবে প্রণোদনা দিয়েছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি প্রণোদনা বিতরণে বিলম্ব হয়নি। এটা আমরা আগেই দিতাম। তবে আবহাওয়াবিদদের ধারণা ছিল আরও একটি বন্যা হবে। কিন্তু তা হয়নি। এ কারণে আমরা এখন পুনর্বাসন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।’
ভারত ফারাক্কা বাঁধের সবগুলো গেট খুলে দিলে পদ্মায় পানি বেড়ে গেলে কী প্রভাব হবে- জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। কেবল কৃষি নয়, সব মন্ত্রণালয় মিলেই এটা আমরা মোকাবেলা করবো। আর সেই সক্ষমতা আমাদের আছে ‘
ঢাকাটাইমস/২৪আগস্ট/ডব্লিউবি