logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
নৌ ধর্মঘটে খুলনাতেই দিনে ক্ষতি ৩০ কোটি টাকা
শেখ আবু হাসান, ঢাকাটাইমস
২৬ আগস্ট, ২০১৬ ১০:১৯:২০
image




বেতন বাড়ানোসহ নানা দাবিতে চলা নৌ ধর্মঘটে চার দিন ধরে অচল নৌ পথ। যাত্রীবাহী লঞ্চের পাশাপাশি বন্ধ হয়ে গেছে পণ্য পরিবহণ। এতে করে যাত্রী ভোগান্তির পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।



দেশে পণ্য পরিবহনে এখনও নৌ পথের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে রাজধানী ঢাকায় আনা পণ্যের একটি বড় অংশই আসে নৌ পথে। জ্বালানি তেল পরিবহনেরও এই পথের ওপরই বেশি নির্ভরশীল ব্যবসায়ীরা।  কিন্তু শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে পণ্য নিতে না পারায় বন্দরে জমে যাচ্ছে কনটেইনারের স্তুপ।



ব্যবসায়ীরা বলছেন, নৌ ধর্মঘটের কারণে কেবল খুলনা অঞ্চলে দিনে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। মংলা বন্দরে আমদানি রপ্তানি পণ্যের ওঠানামাও বন্ধ রয়েছে।



গত ২২ আগস্ট রাত ১২টার পর থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়। তিন দিনের মাথায় গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ধর্মঘট আহ্বানকারী শ্রমিকদের দুই পক্ষ, মালিকপক্ষ এবং নৌপথ নিয়ন্ত্রণকারী সরকারি সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন নৌমন্ত্রী শাহাজান খান। তিনি শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর দাবির প্রতি সমর্থন জানান। তবে তাদেরকে ধর্মঘট থেকে সরিয়ে আনতে রাজি করাতে পারেননি তিনি। শ্রমিকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, বেতন বাড়ানোর সুষ্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।



বেতন বাড়ানোর দাবিতে গত এপ্রিলেও এক দফা ধর্মঘট পালন করেছিল নৌ শ্রমিকরা। তখন পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় নিত্যপণ্যের সংকটের পাশাপাশি বিদ্যুৎ সংকটও দেখা দেয়। কারণ সরবরাহ না থাকায় তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি বড় অংশেই উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়।



এবারও ধর্মঘটের কারণে একই রকম ভোগান্তির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চারদিন ধরেই বাগেরহাটের মংলা সমুদ্র বন্দর ও খুলনা নৌ-বন্দরে পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্দরে পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহন বন্ধ আছে।



খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা সরকারি পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। কিন্তু এখনো কোন সমাধান হয়নি। ফলে প্রতিদিন এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের বিপুল পরিমাণ লোকসান গুনতে হচ্ছে।’



তবে শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন খুলনা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা একবার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ধর্মঘট স্থগিত করেছিলাম। কিন্তু মালিকরা কথা রাখেনি। এবার দাবি আদায় না হওয়ায় পর্যন্ত শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করবে না।’



(ঢাকাটাইমস/২৬ আগস্ট/এসএএইচ/এলএ)