গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জ শুনানি ফের পিছিয়েছে। আগামী ২৩ অক্টোবর নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার এই দিন ধার্য করেন।
মামলার অপর চার আসামির পক্ষে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় সময় আবেদন করেন আইনজীবীরা।
এদিকে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে না পারায় তার পক্ষে সময় আবেদন করা হয়। এর আগে মামলাটিতে গত ৫ মার্চ একই আদালতে খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
২০১৫ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার দুটি রিট খারিজ করে দুই মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার বাদি হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। এতে ২০০৮ সালের ১৩ মে জোট সরকারের নয় মন্ত্রী-উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জহিরুল হুদা।
জরুরি বিধিমালায় সংযুক্ত ওই মামলার চার্জশিটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করে মামলা বাতিল চান খালেদা জিয়া। রিট আবেদনের কারণে প্রায় আট বছর নি¤œ আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভুঁইয়া, সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, এম কে আনোয়ার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (অব.) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ-সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রাহমান কোকো, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, গে¬াবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন, বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেন, বন্দরের প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেম ও বন্দরের সাবেক সদস্য লুৎফুল কবীর।
চার্জশিটে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দরপত্রের শর্ত ভঙ্গ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্যাটকোর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে সরকারের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। এ ছাড়া গ্যাটকোকে ঠিকাদারি কাজ পাইয়ে দেয়ার বিনিময়ে অবৈধভাবে আরাফাত রহমান কোকো ও ইসমাইল হোসেন সায়মন ২ কোটি ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৩৬ টাকার আর্থিক সুবিধা নেন।
(ঢাকাটাইমস/২৮আগস্ট/মোআ)