logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
মেডিকেলে ভর্তি: রংপুর কেন্দ্র বাতিলের সিদ্ধান্ত
রফিকুল ইসলাম রফিক, রংপুর থেকে
৩০ আগস্ট, ২০১৬ ১৭:২১:৩৩
image



এক বছর আগে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় রংপুরে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রই বাতিল হচ্ছে। এতে ওই এলাকার ভর্তিচ্ছুরা ভোগান্তিতে পড়বেন বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।






সারা দেশে ২৩টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে একটি কেন্দ্র ছিল রংপুর। ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৭ অক্টোবর এবং ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা হবে ৪ নভেম্বর।






মেডিকেলে ভর্তির প্রায় এক মাস আগে রংপুরের কেন্দ্র বাতিলের চিঠি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সাঈয়েদ মো. আবু তালেব এর কাছে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।






এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে রংপুরে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তিচ্ছুদেরকে পাশের কোনে জেলায় যেতে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভোগান্তির পাশাপাশি টাকা পয়সাও বেশি খরচ করতে হবে। রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ জানান, এই জেলায় প্রতি বছর পাঁচ থেকে ছয় হাজার শিক্ষার্থী মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়।






রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সাঈয়েদ আবু তালেব ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছে দেখা যাক কি করা যায়। তবে এটা রংপুরের মানুষের জন্য নিশ্চই খারাপ খবর।’






গত বছরের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় রংপুর মেডিকেল কলেজের তিন শিক্ষকের জড়িত থাকার অভিযোগে এমনটা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন আবু তালেব।






এই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন রংপুর মেডিক্যাল কলেজের অর্থোসার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার জিল্লুর রহমান, সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার শরীফুল ইসলাম ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার মোস্তাফিজার রহমান। গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর মহানগরীর ধাপ এলাকার দুটি কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে এই তিন চিকিৎসকসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৩।






চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান এ ওয়ান কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং জিল্লুর রহমান ও শরীফুল ইসলাম একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। ওই সময় স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।






ওই সময় র‌্যাব জানিয়েছিল, রংপুর মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার মুন্নাফের বাসায় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জন প্রতি ১০ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়। পরীক্ষার দিন সকালে তাদের একত্রে বসিয়ে প্রশ্নের সমাধান করে দেওয়া হয়। পরে সব পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হল পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়।






(ঢাকাটাইমস/৩০আগস্ট/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি)