মির্জাপুরে ১০১ প্রাথমিক শিক্ষকের পদ শূন্য, লেখাপড়া বিঘ্নিত
জাহাঙ্গীর হোসেন, ঢাকাটাইমস
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৮:৪২:০৮

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০১টি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে ৪০টি প্রধান শিক্ষক এবং ৬১টি সহকারী শিক্ষকের পদ। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম বিঘিœত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ উপজেলায় ১৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০১টি শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য আছে। এর মধ্যে ৪০টি প্রধান শিক্ষক এবং ৬১টি সহকারী শিক্ষকের পদ বলে জানা গেছে। এই বিপুলসংখ্যক শিক্ষকের পদ শূন্য হওয়ায় বছরের শেষ পর্যায়ে এসে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম বিঘিœত হচ্ছে বলে জানা গেছে। উপজেলার পারদিঘী ও ছিটমামুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুইজন শিক্ষক দিয়ে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। নতুন জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকায় শ্রেণি কার্যক্রমও বিঘিœত হচ্ছে।
বরাটি হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি সহিনুর রহমান খান ঢাকাটাইমসকে বলেন, তার স্কুলে চারটি শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় পাঠদান বিঘিœত হচ্ছে। এজন্য দুই শিফটে ক্লাস নিতে হচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খান, পারদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কদ্দুছ, ছিটমামুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী খানও একই কথা বলেছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার খলিলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা অনুযায়ী তালিকা পাঠানো হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিগগির এই শিক্ষকসংকট দূর হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি মীর এনায়েত হোসেন মন্টু ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সরকার নতুন শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেছে। এতে শিগগির এ উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে শিক্ষক সংকট তা দূর হবে বলে আমরা আশা করছি।’
(ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/জেবি)