টমেটো সস। থাকার কথা টমেটোর পেস্ট, দই, চিনি, খাদ্য রঙ বা নিরাপদ অন্যান্য উপাদান। কিন্তু এর বেশিরভাগ উপাদানই ব্যবহার হয় না। কারিগররা জানান, ময়দা, পানি, রঙ ও রাসায়নিকের মিশ্রণে তৈরি হচ্ছে এই সস। আর চাঁদপুরের বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁয় দেদারসে ব্যবহার হচ্ছে এই উপাদানটি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এই ভেজাল সস মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর।
চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী ব্যবসাকেন্দ্র পালবাজারে দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি হচ্ছে এই সস। এর মধ্যে আছে ভেজালও। হোটেল মালিকরা এখান থেকে সস কিনে ক্রেতাদের সামনে পরিবেশন করছেন। ভোক্তারা জানিয়েছেন, এসব সসের মান নিয়ে তাদের মধ্যে সংশয় আছে।
এর আগে চাঁদপুরের শহরে বিভিন্ন কারখানায় ভেজাল সস বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত নানা সময় ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার ও জরিমানা করেছিল। কিন্তু তারপরও থেমে নেই এর উৎপাদন।
পাল বাজারের সাধারণ সম্পাদক শামছুল হক জানান, ‘ভেজাল সস বিক্রি না করার জন্য এখানকার সব ব্যবসায়ী অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু তার পরও কিছু ব্যবসায়ী অতি মুনাফার আশায় ভেজাল সস বিক্রি করছে।’
পালবাজারের তিন ব্যবসায়ী ঢাকাটাইমসকের কাছে ভেজাল সস বিক্রি করার কথা স্বীকার করেন। তারা জানান, কুমিল্লার একটি কোম্পানিতে এই ভেজাল সস উৎপাদন হয়। এই প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ লিটারের একটি বোতল পাইকারি হিসাবে ১৬০ টাকায় বিক্রি করেন। আর পাইকারি বিক্রেতারা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে তা বিক্রি করেন ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সস তৈরির এক কারিগর ঢাকাটাইমসকে জানান, এই সস তৈরি করা হয় ময়দা, পানি, রঙ ও বিভিন্ন রাসায়নিক ব্যবহার করে।
চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক বেলায়েত হোসেন ঢাকাটাইমসকে জানান, ভেজাল সসে পোশাকের রঙ ও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। দীর্ঘদিন এই সস খেলে কিডনি, লিভার ও পাকস্থলীতে নানা জটিলতার ঝুঁকি রয়েছে।