সাড়ে চার কোটি টাকা চুরি: সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৯:২৭:৪৬
সাড়ে চার কোটি টাকা চুরি: সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
বাগেরহাট সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখা থেকে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) ও সিবিএ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন খলিফাকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের (বাগেরহাট-খুলনা-সাতক্ষীরা) সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল হাশেম কাজী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় সোপর্দ করা হবে।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ২০১২ সাল থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত বাগেরহাট শহরের রেলরোডে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক থাকা অবস্থায় শেখ মুজিবর রহমান, জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমান বাবসহ ১২ জন ওই ব্যাঙ্কের ১৫০ জন গ্রাহকের এসওডি (সিকিউর ওভার ড্রাফট) বিপরীতে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে তাদের হিসাব থেকে চার কোটি ৪৯ লাখ টাকা আত্মসাত করেন।
২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংকের খুলনা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অডিট নিরীক্ষাকালে এই তথ্য ফাঁস হয়। আর ১ অক্টোবর ব্যাংকের বাগেরহাট শাখায় যোগ দেয়া ব্যবস্থাপক খান বাবলুর রহমান বাদী হয়ে শেখ মাহফিজুর রহমানের নাম উল্লেখ করে বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা করেন।
ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাগেরহাট সোনালী ব্যাংকে এ নিয়ে দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করল দুদক। অন্য অভিযুক্তরা আত্মগোপনে যাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
গত ৭ আগস্ট রাতে একই অভিযোগে ওই ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপক শেখ মুজিবর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বর্তমানে বাগেরহাট কারাগারে রয়েছেন।
এই টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ব্যবস্থাপক শেখ মুজিবর রহমান ও জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমান বাবুকে ১৫ সালের ডিসেম্বর বরখাস্ত করে সোনালী ব্যাংক। তবে জাহাঙ্গীর হোসেন খলিফা গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত চাকরিতে বহাল ছিলেন। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাংকে অনিয়মিত ছিলেন।
আসামিদের মধ্যে পলাতক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা শেখ মাহফিজুর রহমান বাবু আত্মসাত করা ৩৫ লাখ টাকা ফেরত পাঠিয়েছেন।