মানিকগঞ্জ শহরের পুর্ব দাশুড়া এলাকায় প্রিয়া সাহা নামের এক কলেজছাত্রীকে শ্বশুর বাড়িতে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ওই বাড়িতে প্রিয়াসহ শ্বশুর ও শাশুড়ি ছিলেন। প্রিয়ার স্বামী ছিলেন ঢাকায়। মঙ্গলবার রাতের যেকোনো সময় প্রিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ নিজ ঘরে ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড সে সর্ম্পকে কিছু বলতে পারেনি পুলিশসহ স্থানীয়রা।
প্রিয়া পূর্ব দাশুড়া এলাকার সাধু সাহার মেয়ে। গত দুই মাস প্রেমের সম্পর্ক করে একই এলাকার দিলীপ সরকারের বুয়েট শেষ বর্ষে পড়ুয়া ছেলে দীপঙ্কর সরকারকে বিয়ে করেন। প্রিয়া মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে বাংলা ২য় বর্ষে অধ্যায়নরত ছিলেন।
বুধবার সকালে পূর্ব দাশড়া কাটাখালী ব্রিজ এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রিয়ার লাশ নিজের বেডরুমের ফ্লোরে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে আছে। বিছানার কাপড় রয়েছে এলোমেলো আর আলমারি রয়েছে খোলা। এছাড়া ব্যবহারিত জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটে পড়ে আছে। আর বারান্দায় প্রিয়ার শাশুড়ি কান্নাকাটি করছেন। শশুর বসে আছেন বিছানায়। প্রিয়ার থাকার ঘরের বেলকুনীর গ্রিল কাটা। স্থানীয়দের ধারণা দুর্বৃত্তরা রাতের যেকোনো সময় প্রিয়াকে হত্যা করে পালিয়েছে।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল আব্দুল রাজ্জাক রাজা বলেন, বুধবার সকালে নিহত প্রিয়ার শ্বশুর দিলীপ সরকার আমাকে ফোন করে হত্যার কথা জানিয়ে এখানে আসতে বলেন। আমি ঘটনাস্থলে এসে প্রিয়ার লাশ বিবস্ত্র অবস্থায় ফ্লোরে পড়ে থাকতে দেখি। এরপর পুলিশকে এই ঘটনা জানিয়ে তাদের আসতে বলি।
মানিকগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ মুন্সী ঢাকাটাইমসকে বলেন, হত্যার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। এছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ব্যক্তিরা বিষয়টি তদন্তের জন্য এসেছে। এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে এখনো কোনো কিছু জানা সম্ভব হয়নি। তদন্তের মাধ্যমে এই হত্যার রহস্য উন্মোচিত হবে।