প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ২২:১২:৩৯আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ২২:২৬:২৯
সংগঠনের ব্যয় নির্বাহে ডাকাতিতে জেএমবি!
নরসিংদী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন (জেএমবি) এখন অনেকটাই কোণঠাসা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম অনেকটা ভেঙে পড়েছে। সংগঠনকে আবারও চাঙা করতে মরিয়া জেএমবি সদস্যরা। এর কৌশল হিসেবে এবার ডাকাতিকে বেছে নিয়েছে তারা। ডাকাতির অর্থ দিয়ে আবার সংগঠনকে চাঙা করতে চায় জেএমবি।
এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে নরসিংদীতে ডাকাতিকারে আটক পাঁচ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদে। পুলিশ হেফাজতে আটক জেএমবি সদস্যরা এমন তথ্য জানিয়েছেন বলে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান নরসিংদীর পুলিশ সুপার (এসপি) আমেনা বেগম। শুক্রবার দুপুরে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত জেএমবির পাঁচ সদস্য হলেন মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানার মোসলেম মিয়া ব্যাপারীর ছেলে আলমগীর ওরফে ভেজাল আলমগীর, জামালপুর সদর থানার শহিদুল্লাহের ছেলে অনিল ওরফে রনি, একই জেলার মেলানদহ থানার খলিলুর রহমানের ছেলে ফোঁড়া শাহিন, চাঁদপুরের কচুয়ার মাহবুব আলমের ছেলে জুয়েল ও নরসিংদীর পলাশের শামসুল ইসলামের ছেলে কবির হোসেন।
পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বলেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর নরসিংদী শহরের বাসাইলের একটি বাড়িতে ডাকাতিকালে আলমগীর, অনিল, জুয়েল ও কবিরকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে পুলিশের অভিযান টের পেয়ে তাঁরা তাদের ব্যবহৃত মোবাইল সেট ও সিম নষ্ট করে ফেলে। এতে পুলিশের সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তাই জেলা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশের বিশেষ শাখা কাউন্টার টেরোরিজমসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।
একপর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃতরা জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য স্বীকার করে জানায়, কারাগারে আটক জেএমবি সদস্যদের ব্যয় নির্বাহের জন্য জেএমবি ব্যাংক, বিকাশ ও বাড়ি-ঘরে ডাকাতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তারা মাঠ পর্যায়ে ডাকাতি করে সেই অর্থ সংগঠনে সরবরাহ করে। এর আগে নরসিংদী শহরে সংঘটিত একাধিক ডাকাতির ঘটনা তারাই ঘটিয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ২৯ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জামালপুর থেকে ফোঁড়া শাহিন নামে আরও এক জেএমবি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পুলিশ সুপার রেজওয়ান আহমেদ, নরসিংদী প্রেসক্লাবের সভাপতি মোর্শেদ শাহরিয়ার, সদর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সাইদুর রহমানসহ বিভিন্ন ইলেক্টনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা।