মেয়েটির বয়স বসে ১৩। এটুকু বয়সেই এক কিশোরের প্রেমে মজেছিল সে। কিন্তু ওই কিশোরের মনে প্রেম নয়, ছিল ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে যৌনাকাক্সক্ষা মেটানোর চিন্তা।
তিন দিনের সম্পর্কের পর বিয়ের কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যায় ছেলেটি। এরপর একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে ছেলেটি। স্থানীয়রা টের পেয়ে ওই কিশোরকে আটকও করে। কিন্তু তার তিনজন সহযোগী হামলা চালিয়ে ওই কিশোরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার একটি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার ঈদের দিন। এরপর কিশোরীটি বাসাইল থানায় ওই কিশোর ও তার তিন সহযোগীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বাসাইল পূর্বপাড়ার কিশোর শামীম মিয়াকে। সঙ্গে তার সহযোগী হিসেবে আসামি হয়েছেন কাউলজানি এলাকার কায়ছার, আবদুল্লাহ ও মোক্তার।
ধর্ষিতা কিশোরীর বড় বোন ঢাকাটাইমসকে জানান, ঈদের কেনাকাটা করতে গত সপ্তাহে তারা বাসাইল বাজারে যান। সেখানেই শামীম মিয়ার সঙ্গে তার ছোট বোনের পরিচয় হয়। এরপর মোবাইল ফোন বিনিময় চলে। তিন দিন কথা বলার পর চতুর্থ দিনই মেয়েটিকে নিয়ে বিয়ের কথা বলে পালায় ওই কিশোর। পরে ধর্ষণের কথা জানতে পারেন বলে জানান কিশোরীটির বোন।
কিশোরীটির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বাসাইল থানার উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়েটি মামলা করার পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। সেই প্রতিবেদন এখনও আসেনি। তবে এর আগেই পালিয়ে গেছে আসামিরা। তাদেরকে ধরতে জোর চেষ্টা চলছে।’