দিনাজপুর চিরিরবন্দরে ভুয়া সনদে ১৬ বছর চাকরি করার অভিযোগে আমিনুল ইসলাম নামে এক কৃষি শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
উপজেলার দক্ষিণ সুকদেবপুর দারুন নাজাত দাখিল মাদ্রাসার ৬৯২৭১৬ নং ইনডেক্সধারী সহকারী শিক্ষক (কৃষি) আমিনুল ইসলাম ২০০০ সালে বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন বিএগএড-এর ভুয়া সনদ দেখিয়ে চাকরিতে যোগ দেন। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের মে মাসের এমপিওতে একসঙ্গে ২০০২ সালের জানুয়ারি মাস হতে এরিয়া বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন।
সূত্র মতে, মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি সেরাজ উদ্দীন প্রামাণিক ২০১৪ সালে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর বিভিন্নভাবে অবগত হন যে, কৃষি শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বিএগএড-এর ভুয়া সনদ দিয়ে ২০০০ সাল হতে চাকরি করে আসছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তিনি (সভাপতি) বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর লিখিত আবেদন করলে ২০১৫ সালের ১৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুল কাইয়ুম স্বাক্ষরিত ওই শিক্ষার্থীর সনদ যাচাই কল্পে সভাপতি বরাবরে পত্র প্রেরণ করেন।
কিন্তু শিক্ষক আমিনুল সভাপতিকে কোনরকম সহযোগিতা না করে কালক্ষেপন করতে থাকে। পরে বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পর্যন্ত গড়ায়। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিষয়টি তদন্তের জন্য দিন নির্ধারণপূর্বক পরপর তিনটি নোটিস দেয়া হলেও কোন সাড়া না পাওয়ায় গত বছরের ২৮ অক্টোবর তিনি সভাপতি বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনের আলোকে গত ১৭ জুলাই মাদ্রাসা কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় কৃষি শিক্ষক আমিনুলকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হলে ১৮ জুলাই মাদ্রাসা সুপার স্বাক্ষরিত সাময়িক বরখাস্ত্রপত্র প্রেরণ করেন।
চিরিরবন্দর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক জানান, মাদ্রাসার সভাপতির অভিযোগের দাখিলকৃত কাগজপত্র যাচাইয়ে পাওয়া যায় যে, অভিযুক্ত শিক্ষক আমিনুল ইসলামের বিএগএড পাসের দুই ধরনের সনদপত্র দেখে প্রতীয়মান হয় যে, সনদপত্র দুটিই ভুয়া।
মাদ্রাসা সুপার ময়েন উদ্দীন শাহ বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করলেও শিক্ষক আমিনুলের ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে শিক্ষক আমিনুলের সাথে কথা হলে তিনি বিএনপি করেন বলে তার উপর মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবি করেন।