‘বারে বারে ঘুরে ঘুরে ঈদ আসে ঈদ চলে যায়, ঈদ হাসতে শেখায় ভালবাসতে শেখায়, ত্যাগের মহিমা শেখায়...’ বাংলাদেশে ঈদের আগে সন্ধ্যায় যেমন প্রতিটি ঘরে ঘরে খুশির জোয়ার বয়ে যায়- দেশের বাইরে অর্থাৎ প্রবাসে এতটা হয়তো নয়। কিন্তু তারপরও প্রবাসীরা উপভোগ করেন ঈদের আনন্দ নানা পর্ব আয়োজনের মধ্য দিয়ে।
এমনি একটি আয়োজন ছিল লেসথোতে বসবাসকারী উপমহাদেশীয়দের নিয়ে রবিবার মেহেদি সন্ধ্যা। ডা. শেহনাজ ও ডা. বারেকজায়ী দন্ত-চিকিৎসক দম্পতি। এদেশে আছেন প্রায় বিগত কুড়ি বছর যাবত, তাদের আমন্ত্রণে প্রবাসীরা একত্রিত হয়েছিলেন গত সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে উপলক্ষ-হাতে মেহেদি লাগানো। সেইসাথে ভারত-বাংলাদেশের ঐতিহ্য অনুযায়ী যথারীতি উপাদেয় খানাপিনা তো ছিলই। প্রথমে সমাগত সকলকে নিজ বাড়িতে অভ্যর্থনা জানালেন ডেন্টিস্ট দম্পতি। তারপর কোমল পানীয় পরিবেশন করতেই গল্প গুজবে মেতে উঠলেন পুরুষ অতিথিবৃন্দ। প্রবাসে ব্যস্ততার ফাঁকে আড্ডাবাজ বলে খ্যাত বাংলদেশিরা যথারীতি ভারত ও পাকিস্তান থেকে আগত প্রবাসীদের সাথে গল্পে মেতে উঠলেন।
এরপর পরিবেশন করা হলো হালকা নাস্তা যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সামুচা, চিকেন রোলস, পালঙ্ক-পনির, পরোটা, ডালপুরি, লুচি, দহিবড়া এমন আরো কত মজাদার খাবার। তার সাথে নানা রকম মিষ্টান্ন।
লেসথোতে এখনকার আবহাওয়া শীত চলে গিয়ে গ্রীষ্মের আগে আগে ঠিক যেন বসন্তকাল, চমৎকার ফুরফুরে হাওয়া। ডুপ্লেক্স বাড়ির খোলা বারান্দা ছাড়িয়ে উঠানে চেয়ার পেতে বসে আড্ডা। কে গরু কিনলেন কোন পাহাড় থেকে, কেউবা কিনেছেন ভেড়া আর কেউ বা কিনেছেন বকরী। পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময় আর ঈদের আমন্ত্রণ জানানো। আর বাড়ির ভেতরে মহিলা অতিথিবৃন্দের হাতে মেহেদি লাগিয়ে দিচ্ছিলেন অল্প বয়সী সুবেশী তরুণীরা, ডেকসেটে সিডিতে গান বেজে চলেছে। লেসথোর এবারের ঈদ শুরু হলো এইভাবে।