৩১ বছর বয়সী তিজিয়ানা বছরখানেক আগে তার একটি সেক্স ভিডিও পাঠিয়েছিলেন তার প্রাক্তন বয়ফ্রেন্ডসহ চারজনকে। সেটিকে তারা ইন্টারনেটে আপলোড করেন। এতে ভিডিওটি সর্বত্র দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দশ লাখেরও বেশি মানুষ সেটি দেখে আর তিজিয়ানাকে তিরস্কার করতে থাকে। তিজিয়ানা হয়ে ওঠেন সবার কাছে উপহাসের পাত্র।
তিজিয়ানা সর্বাত্মক চেষ্টা চালান ভিডিওটি ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে ফেলতে। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত কোনো উপায় না পেয়ে দ্বারস্থ হন আদালতের। আদালত ইন্টারনেট থেকে ভিডিওটি সরিয়ে ফেলার আদেশ দিলেও আইনি খরচ হিসেবে আদালত তাকে আদেশ করে ২০ হাজার ইউরো প্রদানের, যা ছিল তিজিয়ানার কাজে অপমানজনক।
প্রথমে তিজিয়ানা নিজেকে আড়াল করতে তার চাকরি ছেড়ে চলে যান অন্য শহরে এক আত্মীয়ের বাসায়। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারলেন না। এখানেও তিনি বঞ্চনার শিকার হন। শেষ পর্যন্ত গত মঙ্গলবার ইতালির নেপোলিতে আত্মীয়ের বাসায় আত্মহত্যা করেন তিনি।
আর এই আত্মহত্যার ঘটনা পুরো ইতালিজুড়ে সাড়া ফেলেছে। দেশটিতে তৈরি করেছে ক্ষোভ আর শোক। তার শেষকৃত্যানুষ্ঠান দেশটির টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সুশীল সমাজ তিজিয়ানার আত্মহত্যার ঘটনায় ওই চার ব্যক্তিকে দায়ী করছে। ইতালির প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত বলেছেন, এরকম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের আসলেও খুব কম করার থাকে। এটি আসলে একটি সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক লড়াই। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সরকার সবকিছুই করতে প্রস্তুত বলে জানান প্রধানমন্ত্রী মাতেও রেন্সি।
এদিকে তিজিয়ানার পরিবারের দাবি, দেশের আইন যেন প্রমাণ করে যে তার মৃত্যু নিরর্থক ছিল না।