দুর্ব্যবহারের অভিযোগ, দেড় ঘণ্টা তালাবদ্ধ রাবি শিক্ষক
প্রকাশ : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ২১:০৯:০৫
দুর্ব্যবহারের অভিযোগ, দেড় ঘণ্টা তালাবদ্ধ রাবি শিক্ষক
রাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রহমতুন্নেসা হলের আবাসিক শিক্ষক পাক নেহাদ বানুকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে দেড় ঘণ্টা তালাবদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হলের নিজ কক্ষে তাকে আটকে রাখেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তারা এসময় হল প্রাধ্যক্ষ মিলি জেসমিন এবং পাক নেহাদ বানুর পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে গত ২৯ আগস্ট শিক্ষার্থীরা একই দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট করে।
হল সূত্রে জানা যায়, প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষক পাক নেহাদ বানুর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ব্যবহার অভিযোগ করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। তারা প্রশাসনের কাছেও অভিযোগ করে ওই দুই শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেছিলেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয় তারা সুধরে যাবেন। কিন্তু দুই শিক্ষক বিভিন্ন সময়ে আবাসিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে থাকেন।
আগের ঘটনার জেরেই মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পাক নেহাদ বানুকে তার কক্ষে তালাবদ্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. রোকনুজ্জামান হলের শিক্ষার্থীদেরকে আশ্বস্ত করে তাকে উদ্ধার করে।
কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, হলের আবাসিক শিক্ষক পাক নেহাদ বানু আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এর আগেও আমরা হলের বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরে হল প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী আবাসিক শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেছিলাম। তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলেছিলো সব ঠিক হয়ে যাবে। ছাত্র উপদেষ্টা আমাদেরকে বলেছিলেন কোনো সমস্যা থাকবে না। কিন্তু কিছুই ঠিক হয়নি।
পাক নেহাদ আবারো শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছেন। কোন কোন শিক্ষার্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তা খুঁজে বের করে পাক নেহাদ তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এরপর এ সমস্যার সমাধান না হলে আমরা আবারো কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হই।
জানতে চাইলে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ওই হলের শিক্ষার্থীরা হলের অব্যবস্থাপনা এবং এক কর্মকর্তার খারাপ ব্যবহারসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা আমাকে জানিয়েছিলেন। আমি ভেবেছিলাম হলের শিক্ষকরা সুধরে যাবেন। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। এখন নতুন করে সবার সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এ বিষয়ে পাক নেহাদ বানুর বক্তব্য নেয়ার জন্য বারবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
গত ২৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রহমাতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ মিলি জেসমিন ও আবাসিক শিক্ষিকা পাক নেহাদ বানুর পদত্যাগ দাবিতে হলের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন।