ঢাকা: মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়ার বাউশিয়া মৌজায় বাস্তবায়নাধীন অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়্যান্ট (এপিআই) শিল্পপার্কের নির্মাণ কাজ দ্রুত সমাপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় ওষুধ শিল্পের আন্তর্জাতিক বাজার ধরে রাখতে কোনো ধরণের কালক্ষেপণ না করে প্রকল্পের বাস্তবায়ন জরুরি। এটি বাস্তবায়িত হলে, দেশের ওষুধ শিল্পে গুণগত পরিবর্তন আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শিল্পমন্ত্রী আজ এপিআই শিল্পপার্কের নির্মাণ কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ নির্দেশনা দেন। বাউসিয়ার শিল্পপার্ক এলাকায় স্থানীয় প্রশাসন এ সভার আয়োজন করে।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ.পি.এম মাহাবুবুল করিমের সভাপতিত্বে সভায় প্রকল্পের বিস্তারিত অগ্রগতি তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল বাসেত। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য এম. ইদ্রিস আলী, বিসিক চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ব্যারিস্টার গোলাম সারোয়ার, গজারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেফায়েত উল্লাহ খান বক্তব্য রাখেন।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, ওষুধ শিল্পে বাংলাদেশ প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও এর কাঁচামাল আমদানি নির্ভর। ফলে বাংলাদেশের জন্য এ শিল্পের আন্তর্জাতিক বাজার দিন দিন প্রতিযোগিতামূলক হয়ে ওঠছে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে দেশেই কাঁচামাল উৎপাদনের লক্ষ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দেশে ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল তৈরি সম্ভব হলে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানির সক্ষমতা বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী ২০১৬ সাল থেকে প্যাটেন্ট ড্রাগ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে রয়েলটি দিতে হবে। ফলে দেশে উৎপাদিত ওষুধের দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে নিজস্ব উৎপাদন থেকে কাঁচামাল যোগান দেয়া জরুরি হয়ে পড়বে। ওষুধ শিল্পের শতকরা ৯৫ ভাগ আমদানি নির্ভর কাঁচামাল দেশেই উৎপাদনের লক্ষ্যে এ প্রকল্প নেয়া হয়। ৩ শ’ ৩১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় মোট ২ শ’ একর জমিতে এটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি সমাপ্ত হলে শিল্পপার্কে ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনে সক্ষম ৪২টি শিল্প কারখানা স্থাপন করা সম্ভব হবে। এর ফলে প্রত্যক্ষভাবে ২৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
(ঢাকাটাইমস/২৩ সেপ্টেম্বর/এজেড/১৭.৩৩ঘ.)