logo ০৪ জুলাই ২০২৫
শীতে থাকুক খুশকিমুক্ত চুল
ফিচার প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
২৪ নভেম্বর, ২০১৩ ১৫:৫৬:১৫
image

ঢাকা: শীত মৌসুমের অন্রতম একটি সমস্যা খুশকি। তাই শীত পড়ার আগেই খুশকি থেকে সাবধান হোন আর করুন চুলচর্চা।আসুন জেনে নেয়া যাক এই শীতে কিভাবে রাখবেন খুশকিমুক্ত চুল। 


বাজারে বিভিন্ন মেডিকেল ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করুন। এ ধরনের শ্যাম্পু কেনার আগে দেখে নিবেন “Zinc pyrithione , Selenium sulfide, Sulfur , Ketoconazole, Salicylic acid”  এই উপাদান গুলোর অন্তত একটি যেন অবশ্যই শ্যাম্পুটিতে থাকে। বিভিন্ন মেডিকেটেড শ্যাম্পু দিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন যে কোনটি আপনার চুলের জন্য ভালো।


এ ধরনের শ্যাম্পু কতদিন পর পর ব্যবহার করবেন সেটা নির্ভর করবে আপনার চুলের পরিমাণ এবং মাথার তালুতে খুশকি সংক্রমণ কতটুকু সেটার ওপর।


যদি আপনি দিনে একবার শ্যাম্পু ব্যবহার করার পরেও কোন কাজ না হয় তাহলে একই দিনে বার বার শ্যাম্পু না করে কোন ডার্মাটোলজিস্ট এর সাহায্য নিন।


 খেয়াল রাখবেন যেন মেডিকেটেড শ্যাম্পু মাথার তালুতে লাগে। শ্যাম্পু দিয়েই ধুয়ে ফেলবেন না। কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে যেন তা ভালো মত মাথার তালুতে মিশে যেতে পারে।


অন্য কোন শ্যাম্পুর সুগন্ধ যদি আপনার ভালো লেগে থাকে বা আপনি যদি জেনে থাকেন যে কোন শ্যাম্পুটি আপনার চুলের সৌন্দর্যের জন্য ভালো হবে তাহলে সেটাও ব্যবহার করতে পারেন তবে আগে মেডিকেটেড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ও মাথার তালু ধুয়ে নিবেন তারপর আপনার পছন্দের শ্যাম্পুটি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলবেন।


 অনেক সময় দেখা যায় কারো কারো মাথার ত্বক বা তালু নির্দিষ্ট কোন প্রোডাক্টের প্রতি অভ্যস্ত হয়ে যায়। তাই সে সময় মেডিকেটেড শ্যাম্পু দিয়েও কোন কাজ হয়না। এক্ষেত্রে আপনি  মেডিকেটেড শ্যাম্পু আর সেই নির্দিষ্ট প্রোডাক্টটি একসাথে মিশিয়ে চুলে দিতে পারেন।




চুল আঁচড়ানোর সময় লং স্ট্রোক ব্যবহার করুন। অর্থাৎ  চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত এক টানে চুল আঁচড়ানোর চেষ্টা করুন। এর ফলে আপনার মাথার তালুতে যেই তেল থাকে তা মাথায় জমে না থেকে সমান ভাবে চুলে ছড়িয়ে পরবে। কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত চুল আঁচড়াবেন না। এতে বিপরীত ফল হবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত চুল আঁচড়ালে আপনার অয়েল গ্লান্ড অনেক বেশি কাজ করা শুরু করবে যা আপনার মাথায় খুশকির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে।


যদি খুশকির কারণে মাথার তালুতে অনেক বেশি চুলকোয় বা অস্বস্তি লাগে তাহলে কর্টিজন ক্রিম অথবা লোশন ব্যবহার করতে পারেন। আপনার চুলগুলো কে কয়েক ভাগে ভাগ করে মাথার তালুতে ঘষে ক্রিমটি লাগাতে হবে। ঘন ঘন ব্যবহার করবেন না কারণ মাথার ত্বক এতে অনেক শুষ্ক হয়ে যাবে। ভালো হয় যদি আপনার ডার্মাটোলজিস্ট  এর পরামর্শ নিয়ে কর্টিজন ক্রিম টি ব্যবহার করেন।


যত দিন পর্যন্ত খুশকি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না


যতদিন খুশকি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না ততদিন হালকা রঙের  পোষাক পরুন। বিশেষ করে শরীরের উপরের অংশে। যেমন কোথাও বেড়াতে গেলে খুশকি কাঁধের ওপর পরে থাকলেও যেন বোঝা না যায় সেজন্য সাদা অথবা সিলভার রঙ এর পোষাক পরতে পারেন।


আপনার মাথার কোন অংশে বেশি খুশকি তা খুঁজে বের করুন এবং এমন ভাবে চুল বাঁধুন যেন ঐ অংশটির ওপরে চুল দিয়ে ঢেকে থাকে।


স্কার্ফ্ না হলে চওড়া হেড ব্যান্ড ব্যবহার করতে পারেন। এমন কিছু ব্যবহার করুন খুশকি আক্রান্ত অংশ ঢেকে রাখার জন্য যেটা আপনার পোশাকের সাথে মানিয়ে যাবে আবার কেউ ভাববেনা  যে আপনি কোন কিছু লুকোতে চাচ্ছেন।


সবসময় সাথে ছোট লিন্ট ব্রাশ রাখুন যেন প্রয়োজন মতো কাঁধে পরে থাকা খুশকি ঝেড়ে ফেলতে পারেন।


শেষ কথা: চুল সৌন্দর্যর অন্যতম একটি অনুসঙ্গ। তাই চুলের যত্নে সচেতন হোন এখনই। দেখবেন আপনার চুলের সৌন্দর্য্ে বিমোহিত হবেন সবাই।


(ঢাকাটাইমস/২৪নভেম্বর/ফিচার/এসএ/ঘ)