ঢাকা:‘ভালবাসা’ বিষয়টি আপেক্ষিক। আর ভালবাসার মানুষটিকে কিভাবে সংজ্ঞায়িত করবেন? প্রেমিক-প্রেমিকারা পচ্ছন্দের মানুষকে ভিন্ন ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করে থাকেন। আবার অনেকে হয়তো কোনো শব্দের ছকেই বাঁধতে পারেননি এই সম্পর্ককে। আসলে ভালোবাসার মানুষকে বিচার-বিশ্লেষণ করাটা খুব কঠিন কাজ। তবুও সম্পর্কের বেড়াজালে আপনি প্রতারিত হচ্ছেন কিনা এটি জানা প্রয়োজন।
সম্পর্কের মধ্যে যদি আপনার চোখে তিন ধরণের চিহ্ন ধরা পড়ে তাহলে বুঝতে পারবেন মনের মানুষবেশী মানুষটি আপনাকে তার প্রয়োজনে ব্যবহার করছে, আপনি প্রতারিত হচ্ছেন এবং তার মধ্যে অন্তত সে প্রবণতাটাই বেশি।
দুজনে বেড়াতে গেলে কি সর্বদাই আপনাকে বিল দিতে হয়? মনের সম্পর্কের কাছে অর্থের বিষয়টি ছোট হলে ফেলনা নয়। আপনি কি ব্যবহৃত হচ্ছেন, নাকি আপনাদের সম্পর্ক সঠিক পথেই রয়েছে এটি বোঝার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রত্যেকটি ডেটিংয়ে বিল কে দিচ্ছে। হতে পারে সঙ্গের মানুষটি বিভিন্ন অজুহাতে আপনার থেকে বিল আদায় করে নিচ্ছে। তবে এটি কোনো ভালো মানসিকতার পরিচয় নয়। ডেডিংয়ে দুজন ভাগ করে বিল দেয়াটাই সবচেয়ে ভালো। কিন্তু সর্বদাই আপনি বিল দিয়ে বিষয়টিকে অভ্যাসে পরিণত করবেন না।
মনের মানুষ চেনার দ্বিতীয় ধাপটি হলে যোগাযোগ। যাকে আপনি মন-প্রাণ সপেঁ দিয়েছেন তিনি কি শুধু নিজের প্রয়োজনে আপনার সঙ্গে দেখা এবং কথা বলছেন? অনেক সম্পর্কের ক্ষেত্রেই এমনটি দেখা যায়। নিজের প্রয়োজনে তিনি ঠিকটি আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজটি আদায় করে নিচ্ছে। কিন্তু অন্যান্য সময় তার টিকির দেখা মিলছে না। তাহলে বলবো অবশ্যই আপনর উচিত হবে সময় থাকতে সেই সম্পর্ককে বিদায় জানানো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েরা পুরুষদের এই স্বভাবটি ধরতে পারেন না।
শুধু ডেডিংয়ের ক্ষেত্রে বিল নয়, লক্ষ্য রাখবেন উনি কি আর্থিকভাবে আপনার উপর নির্ভরশীল। যদি এমনটি হয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই এখনই সরে আসতে হবে। যে মানুষটি নিজের ব্যয়ভারের জন্যে অপরের ওপর নির্ভর করে তিনি পরবর্তী জীবনে আপনাকে কতোটা সহায়তা দেবে এটি ভেবে দেখার বিষয়।
ভাষান্তর: টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন অবলম্বনে জাকিয়া সুলতানা।
(ঢাকাটাইমস/২৫নভেম্বর/জেএস)