logo ০৬ মে ২০২৫
আবহাওয়ার খবর দেবে মোবাইল ফোন
ঢাকাটাইমস ডেস্ক
২৭ নভেম্বর, ২০১৩ ১১:১৭:১২
image


ঢাকা : মোবাইল ফোন মানুষের জীবনযাপনের ধরণ পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে। এর নতুন নতুন সংস্করণ অর্থাৎ আপ-ডেট ভার্সন মানুষের চলার পথকেও করেছে আরো সহজ। এ নিয়ে চলছে নিরন্তন গবেষণা। নিরন্তর গবেষণার ফল স্মার্টফোন বিশ্বজুড়েই মানুষকে নিত্যনতুন সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোন আগামীতে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে কাজে লাগানো যাবে। মার্কিন গবেষকরা এ ব্যাপারে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। ইন্টারনেটে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তারা বলছেন, স্মার্টফোনে তাপমাত্রা নির্ণয়ের মাধ্যমে কোনো শহরের আবহাওয়া নিয়ে বিশদ গবেষণার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটার্স সাময়িকীতে প্রকাশি এক গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাধারণত তাপ শোষণকারী বিভিন্ন উপাদানের যেমন সিমেন্ট, পিচ প্রভৃতি ব্যবহার এবং ভবনের আধিক্যের কারণে শহরাঞ্চলে তাপমাত্রা আশপাশের অঞ্চলের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। আর তাপমাত্রা বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য শহরবাসী বিভিন্ন বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহের ওপর চাপ পড়ে।

নগরাঞ্চলে তাপমাত্রার পরিমাপ ও নিয়ন্ত্রণের কাজটি এমনিতে আবহাওয়া কেন্দ্র ও কৃত্রিম উপগ্রহের (স্যাটেলাইট) মাধ্যমে তদারকি করা হয়ে থাকে। এ জন্য শহরের সবখানে যন্ত্র স্থাপনের ব্যাপারটি একই সঙ্গে ব্যয়বহুল ও শ্রমসাধ্য। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণে স্মার্টফোন ব্যবহারের কৌশলটি অনেকটা কাকতালীয়ভাবেই খুঁজে পেয়েছেন। তাঁরা জানান, ওপেনসিগন্যাল নামের একটি বিশেষ অ্যাপ কোনো স্মার্টফোনে ব্যবহূত ব্যাটারির অবস্থা সম্পর্কে তথ্য অনলাইনে পাঠিয়ে দিতে পারে। এ তথ্য বিশ্লেষণ করে স্মার্টফোনটির অবস্থা কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পাঠানো হয়। আর ব্যাটারির তাপমাত্রার তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কেও জানা যায়। ওপেনসিগন্যাল অ্যাপটি কয়েক হাজার স্মার্টফোনের তথ্য অনলাইনে পাঠাতে পারে।

মার্কিন গবেষকদের আশা, তাঁদের পরিকল্পনা অনুযায়ী স্মার্টফোন ব্যবহারের মাধ্যমে আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের পদ্ধতিটি নগরাঞ্চলের আবহাওয়া গবেষণায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারবে। সংশ্লিষ্ট গবেষক জেমস রবিনসন বলেন, যখন অনেক স্মার্টফোন গ্রাহকের কাছ থেকে কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ও আবহাওয়াসংক্রান্ত তথ্যাবলি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংগ্রহ ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হবে, তখন অবশ্যই নিখুঁত হিসাব পাওয়া যাবে। খবর ওয়েবসাইট



(ঢাকাটাইমস২৭নভেম্বর/এআর/ঘ)