logo ০৩ জুলাই ২০২৫
দুচোখ স্বপ্ন দেখে ক্যামেরার ফোকাসে
অমৃত মলঙ্গী, ঢাকা টাইমস
০২ ডিসেম্বর, ২০১৩ ১৩:১৩:৩১
image

ঢাকা: ছোট ছোট স্বপ্নের নীল মেঘ। সেই নীল মেঘের ছায়ায় জীবনকে রঙিন করার বাসনা। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর প্রত্যয়-এসব একটা যুবকের নিত্যদিনের সঙ্গী। কিন্তু কজনই পারে এই স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রূপ দিতে?


সারাজীবন চাকরির পিছে ঘোরা। তারপর একদিন হতাশ হওয়া- এমনটা কেউই চায় না। সবাই চায় জীবনকে নিজের মত করে গড়তে। লেখাপড়ার গণ্ডি পেরিয়ে আর দশটা যুবকের মত চাকরির স্বপ্নে বিভোর ছিল দুই তরুণ। সুব্রত হালদার শুভ এবং হিমাংশু বিশ্বাস প্রণব। ছোটবেলা থেকেই তাদের ছবিতোলার নেশা। পথে-ঘাটে, অলিতে-গলিতে যেখানেই যাওয়া হোক না কেন-ক্যামেরা তাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। শুভ এবং প্রণবের পথ চলার মাঝে এই ক্যামেরার নেশাই হয়ে উঠল পেশা।


তখন ২০০৮ সাল। শুভ জীবনের কঠিন একটি সিদ্ধান্ত নেন। চাকরি করার ইচ্ছে মন থেকে সম্পূর্ণ মুছে ফেলেন তিনি। এক বন্ধুর পরামর্শে পেশাদার ফটোগ্রাফার হওয়ার কথা ভাবতে থাকেন। কিন্তু কাজটা অত সহজ ছিল না। জানালেন শুভ নিজেই, ‘সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে নিজেকে অচেনাই মনে হয়। একা একা ঢাকায় এসে কত লোকের পেছনে ঘুরেছি। সবাই প্রতারণা করেছে। ভুল পথ দেখিয়েছে। আমার তোলা ছবি দিয়ে অনেকে পুরষ্কার জিতেছে। আমি বোকার মত তা উপভোগ করেছি।’


এরপর শুভ শোনালেন আলোতে আশার গল্প। জানালেন ‘ড্রিম উইভার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান বদলে দিয়েছে তার জীবন, “প্রতারিত হতে হতে একসময় ফটোগ্রাফার হওয়ার স্বপ্ন প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম। ঠিক সেসময় পরিচয় হয় জোবায়ের হোসেন ভাইয়ের সঙ্গে। তিনি ‘ড্রিম উইভারের’ চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার। তার সঙ্গে যোগ দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান কভার করতে থাকি। ক্লায়েন্টরা আমার তোলা ছবি পছন্দ করতে থাকে। বদলে যেতে শুরু করে আমার জীবন।’


এই পেশায় আয়-রোজগারের সুযোগ কেমন? প্রশ্নের জবাবে শুভ বললেন, ‘আয় রোজগারের কথা প্রথমে চিন্তা করলে এই পেশায় টিকে থাকা কঠিন। তবে একবার পরিচিতি পেয় গেলে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। আপনি যতগুলো অনুষ্ঠান কভার করবেন, তার ওপর নির্ভর করবে আপনার আয়। আপনি প্রতি মাসে ২০ থেকে ২৫টি শিডিউল পেতে পারেন।’


প্রণব শোনালেন তরুণদের এ পেশায় আসার উপায়, ‘যতই দিন যাচ্ছে, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম তত বেশি ফটোগ্রাফি পেশায় ঝুঁকছে। আমি তরুণদের উদ্দেশে একটি কথাই বলব, এই পেশায় আসার আগে নিজেকে ঠিক মত প্রস্তুত করে নিতে হবে। প্রয়োজনে ফটোগ্রাফি কোর্স করা যেতে পারে। আর হতাশ হলে চলবে না। কাজ করে যেতে হবে নিরলস ভাবে।’


(ঢাকাটাইমস/ ২ ডিসেম্বর/ এএম/১.০৭ঘ.)