logo ০৪ জুলাই ২০২৫
শীতে শিশু থাক সুরক্ষায়
আতিকুল ইসলাম লিটন
০৩ ডিসেম্বর, ২০১৩ ১৬:২৭:২৩
image

ষড়ঋতুর বাংলাদেশে আবহাওয়ার বদলের পরিক্রমায় শীত প্রায় চলেই এল। শীতের আগমনে অনেকেই তাদের শিশু সন্তানের যত্ন নিয়ে উদ্বিগ্ন। শীতে সাধারণত সংক্রামক ব্যাধির প্রকোপ অনেকটাই কমে যায়। এরপরেও কয়েকটি বিষয় লক্ষ রাখলেই  শীতে শিশুদের সম্পূর্ণ সুস্থ্য রাখা সম্ভব। কিভাবে সুস্থ রাখবেন আপনার সন্তানকে সে বিষয়ে রইল এবারের টিপস-


শীতে শিশুকে গরম কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে যেন সরাসরি গায়ে ঠাণ্ডা হাওয়া না লাগে।


গোসলের সময় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে  অযথা  বেশিক্ষণ পানিতে ভিজতে না দেওয়া।


শীতে স্বাভাবিকভাবেই সর্দি কাশি দেখা দিতে পারে, এ ক্ষেত্রে নরমাল স্যালাইনে বাচ্চার নাক পরিষ্কার করে দিতে হবে যেন সে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারে।


তুলনামূলকভাবে একটু বড় শিশুর ক্ষেত্রে গরম আদা চা, মধুমিশ্রিত তুলসি পাতার রস বেশ উপকারি।


শীতে আর্দ্রতা অনেক কমে যায় বলে ধুলা বালি সহজেই শিশুদের কাবু করে ফেলে। তাই বাইরে খেলাধুলার সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন ধুলাবালি তার নাকে মুখে প্রবেশ না করে।


শীতের প্রধান রোগ হলো ভাইরাসজনিত জ্বর। এক্ষেত্রে শিশুদের জন্য পেরাসিটামল জাতীয় ওষুধ দিলেই হবে। কোন এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই।


আর যদি শিশুর ৫দিনের বেশি জ্বর, তীব্র শ্বাসকষ্ট, বুকের খাঁচা ডেবে যাওয়া প্রভৃতি সমস্যা দেখা যায় সেক্ষেত্রে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিতসকের পরামর্শ নিতে হবে।এ ধরনের শিশুকে অবশ্য গোসল করাতে হবে, নইলে চর্মরোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে প্রতিদিন না করিয়ে দুই দিনে একবার গোসল করালে মন্দ হয় না। গোসল করালে শরীর ঝরঝরে হবে, শিশুর আরাম লাগবে।


গোসলের পর ভালো লোশন বা ক্রিম লাগিয়ে দিতে হবে। আর গোসলের সময় চুল টেনে চুলের গোড়ার ময়লা পরিষ্কার করে দিতে হবে। এতে মাথার ত্বক সুস্থ থাকবে।


শীতে শিশুরা অতিরিক্ত ভিটামিন সি পাবে এমন খাবার দিতে হবে। লেবু, কমলা, মাল্টা, আমলকী এসব ফল দেওয়া ভালো। তবে যারা চিবিয়ে খেতে পারে না, তাদের কুসুম গরম পানিতে একটা আমলকী চুবিয়ে এর পানি খাওয়ানো যাবে। এটি বেশ কার্যকর।


শীতে ঠান্ডা লেগে শিশুর নাক বন্ধ হয়ে গেলে রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। সে কারণে রাতে শোবার আগে দুই নাকে দুই ফোঁটা নরসোল ড্রপ দিয়ে দিলে নাক খুলেগিয়ে শিশুর ঘুমের আরাম হবে।


শীতে ঠান্ডা লেগে কাশি, শ্বাসকষ্ট কিংবা বুকের ভেতর গড়গড় আওয়াজ অথবা বুকের হাড় শ্বাস নেওয়ার সময় ভেতরের দিকে দেবে গেলে সঙ্গে সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


প্রয়োজনে হালকা গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করান।


শেষ কথা:


মনে রাখবেন আপনার সচেতনতাই পারে আপনার সন্তানকে শীতে সম্পূর্ণ সুস্থ রাখতে।


(ঢাকাটাইমস/৩নভেম্বর/ফিচার/এসএ/ঘ)