logo ০৫ মে ২০২৫
বিরোধী দল না থাকলেও শঙ্কায় তারা
মহিউদ্দিন মাহী, ঢাকাটাইমস
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৩ ১৫:৫৮:৪৪
image

ঢাকা: ঢাকা-৭  আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছেন আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে হাতি প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজি মো. সেলিম। দল মনোনয়ন না দেওয়ায় স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন হাজি সেলিম। ভোটারদের ধারণা মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও হাজি সেলিমের মধ্যে  হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।


স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাও কার্যত দুই ভাগ হয়েই এই দুই জনের পক্ষে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। মোস্তফা জালালের পক্ষে প্রচারে থাকা আওয়ামী লীগের হাজারীবাগ থানার সহসাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম  বলেন, “নৌকা ও হাতির মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি।


তবে তিনি বলেন, এলাকার উন্নয়নে কম কাজ করায় মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিনের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। অন্যদিকে হাজি সেলিমের জনপ্রিয়তা বেড়েছে অনেক।


শেরপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী। তিনি সরকারের একজন সফল মন্ত্রীও। কিন্তু তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী নলিতাবাড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বাদশা। তিনি কৃষকলীগের সহ-সভাপতি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস মার্কা নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি।


স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, মতিয়া চৌধুরী ও বদিউজ্জামান বাদশার মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। এলাকায় মতিয়ার নেতিবাচক ইমেজ রয়েছে। ফলে বাদশার জয় লাভের সম্ভাবনা বেশি। এছাড়া স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই জেষ্ঠ্য নেতা বাদশার সঙ্গে রয়েছেন।


বাদশা ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। কৃষিমন্ত্রীকে আমি পরাজিত করতে পারবো। কারণ এলাকার জনগণ আমার সঙ্গে রয়েছে।


ফরিদপুর-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহ। তার বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী। মার্কা আনারস। স্বাধীনতার পর থেকে এ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে থাকলেও আগামী ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে হাতছাড়া হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করছেন সাধারণ ভোটাররা।


এ আসনটি ধরে রাখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সমর্থকরা। তবে কোন্দল মেটাতে বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের এ আসনে সফর করছেন দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লার এ আসনটি হাতছাড়া হয়ে গেলে তার পক্ষে প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে এমনটাই বলেছেন সংশ্লিষ্টরা।


পাবনা- ১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু। তার বিপরীতে নির্বাচনী লড়াইয়ে মাঠে আছেণ সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাঈদ। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা ও সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত।


এছাড়া সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুন, সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখী হবেন।


(ঢাকাটাইমস/২৬ডিসেম্বর/এমএম)