খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য। ‘ঢাকাটাইমস’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে দেশের চলমান রাজনৈতিক অবস্থা, আসন্ন দশম সংসদ নির্বাচন, জামায়াত-শিবির ও বিএনপির সহিংস কর্মকা-, নির্বাচনের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪টি আসন পেয়ে সরকার গঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনসহ নানা বিষয়ে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ওমার ফারুক
ঢাকাটাইমস: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী? আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যে সরকার গঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অজর্ন করেছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪টি আসনে জয়ী হয়ে গেছে। এ বিজয়কে আপনি কিভাবে দেখছেন?
নূহ-উল-আলম লেনিন: এ ব্যাপারে আমার আলাদা কোনো বক্তব্য নেই। আমাদের পার্টির যে বক্তব্য আমারও সেই একই বক্তব্য। আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। সেই বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী আগামী ৫ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচিত সরকার পদ্ধতির সাংবিধানিক ধারাও অব্যাহত রাখতে হবে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়াটা আমাদের প্রত্যাশিত ছিল না। কিন্তু এটা কেন হলো? কারণ দেশের যে ১২টি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে তার অধিকাংশ দলের সঙ্গে মহাজোটের মাধ্যমে আগে থেকেই বোঝাপড়া ছিল। আমরা সম্মিলিতভাবেই ১৪ দল ও জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কারণে ১৪ দল ও জাতীয় পার্টি পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যায়নি। আবার কিছু কিছু আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী থাকায় আমরা লোক দেখানো নির্বাচন না করে ৫ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক নির্বাচন করতে যাচ্ছি। যেটা গণতন্ত্রের একটি ভিন্নমাত্রাও বলা যেতে পারে। এখানে প্রধান বিরোধী দল যদি অংশগ্রহণ করত তাহলে আমরা তাদেরকেও কিছু আসন ছেড়ে দিতে পারতাম। রক্তপাত-সংঘাত এড়ানোর জন্য যে নির্বাচন হতো যেখানে হয়তো এত আসন আমরা পেতাম না। সুতরাং এর দায়টা আমাদের ওপর চাপালে চলবে না, এর দায় প্রধান বিরোধী দল বিএনপির। বিএনপি এ নির্বাচনে আসেনি। কারণ তারা যাদের ওপর নির্ভর কওে সেই জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের অংশগ্রহণের অযোগ্যতার কারণে বিএনপিও নির্বাচনে আসেনি। কারণ তারা জামায়াত ছাড়া কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। তারা চায় জামায়াতের স্বীকৃতি, যেটা আমরা দিতে পারি না। কারণ বিষয়টি হাইকোর্টের ব্যাপার।
ঢাকাটাইমস: প্রধান বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে আপনি মনে করেন? এর আগেও বিএনপির ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা আমরা জানি...।
নূহ-উল-আলম লেনিন: ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বড় কোনো রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি। সে সময় বেগম খালেদা জিয়ার বিএনপি আর তাদের ফ্রিডম পার্টি, বঙ্গবন্ধুর খুনি, তাদেরকে প্রোমোট করে নির্বাচনটা করেছিল। আর এবার বাংলাদেশের অনেক ট্রেডিশনাল রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপির পর দেশের সবচেয়ে বড় দল জাতীয় পার্টি। সেই জাতীয় পার্টি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়া ১৪ দল তো আজকের হঠাৎ গজানো কোনো পার্টি না। ওয়ার্কাস পার্টি, জাসদ, ন্যাপ, গণতান্ত্রিক পার্টি, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জাতীয় পার্টি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। তারা ফ্রিডম পার্টির মতো বিতর্কিত কোনো দল না। আমরা কাউকে প্রোমোট করে এখানে আনিনি।
ঢাকাটাইমস: তত্ত্ববধায়ক সরকার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে দেশে সহিংসতা চলছে। এই চলমান সহিংসতা নিরসনে আওয়ামী লীগের নতুন কোনো কৌশল আছে কী না?
নূহ-উল-আলম লেনিন: সহিংসতা নিরসনে সরকার ইতিমধ্যে বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন জায়গায় যৌথবাহিনীর অভিযান চালানো হয়েছে। এখন কোনো কোনো জায়গায় সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। এবং এর ফলে সহিংস ঘটনার প্রকোপ ধীরে ধীরে কমে আসছে। কিন্তু জামায়াত যেহেতু একটি ফ্যাসিস্ট, মৌলবাদী-জঙ্গিবাদী দল, সে কারণে জামায়াত নানা জায়গায় সন্ত্রাসী কর্মকা- চালাচ্ছে। আর তাদেরকে মদত জোগাচ্ছে বিএনপি।
ঢাকাটাইমস: কাদের মোল্লার ফাঁসির কার্যকরের ফলে পাকিস্তান তাদের পার্লামেন্টে যে নিন্দা প্রস্তাব পেশ করেছে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?
নূহ-উল-আলম লেনিন: পাকিস্তানের বিষয়টি নিয়ে আমি অবাক হয়নি। কারণ তারা ’৭১ সালের পরাজয়ের কথা আজও ভুলতে পারেনি। পাকিস্তানের এই নিন্দা প্রস্তাবের ফলে পক্ষান্তরে আমাদের উপকারই হয়েছে। আমাদের বিচারকে নিন্দা প্রস্তাবের মাধ্যমে তারা জাস্টিফাই করেছে। কারণ তারা আবারও প্রমাণ করেছে স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াত তাদের দোসর ছিল। তবে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এরকম নিন্দা প্রস্তাব আনা খুবই নিন্দনীয় এবং একটি গর্হিত অপরাধ তারা করেছে, যা শিষ্টাচারবহির্ভূত। তবে পাকিস্তানের সব দল এতে সমর্থন করেনি। পিপলস পার্টি, পাকিস্তানি ন্যাপসহ বহু বুদ্ধিজীবী মহল এর প্রতিবাদ করেছে। পাকিস্তান আবারও আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে তাদের চরিত্রের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
ঢাকাটাইমস: পাকিস্তানের কর্মকা-ের জবাবে বিএনপি বেশ ক’দিন নীরব ছিল। যদিও গত ২৪ নভেম্বর খালেদা জিয়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। বিএনপির কি আরো আগেই প্রতিক্রিয়া জানানো দরকার ছিল?
নূহ-উল-আলম লেনিন: পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু যেমন জামায়াত তারচেয়ে প্রিয় বন্ধু বিএনপি। দেশের সবাই একযোগে পাকিস্তানের প্রতিবাদ করলেও তারা করেনি। পরে জনগণের চাপে পড়ে প্রতিবাদ করতে বাধ্য হয়েছে। চাপ না থাকলে হয়তো প্রতিবাদ করতই না। কারণ আমি দৃঢ়ভাবে বলি, বিএনপি কনসেপ্ট অব বাংলাদেশে বিশ্বাস করে না। একটা কথা মনে রাখতে হবে পাকিস্তান কেবল একটা দেশ ছিল না। ’৭১ সালে আমরা কেবল একটা দেশকে পরাজিত করিনি, সেদিন পরাজিত হয়েছিল একটি আদর্শ। তাদের আদর্শ ছিল দ্বিজাতিতত্ত্ব। ধর্মের রাজনীতিক ব্যবহার। তারা ধর্মের নাম করে পাকিস্তানকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পারেনি। এখনও এই ধর্মের নামেই তাদের নিজেদের মধ্যে সংঘাত হচ্ছে। বর্তমানের পাকিস্তানও আজ আগের পাকিস্তান নেই। এখন ভাষার ভিত্তিতে পাকিস্তানকে চারটি প্রদেশে ভাগ করতে হয়েছে। তাদের চেয়ে বাংলাদেশের জামায়াত আরও ক্রুড। তারা যে ইসলাম কায়েম করতে চাই সেখানে গণতন্ত্রের কোনো স্থান নেই, ধর্ম নিরপেক্ষতার ও মানবিকতার স্থান নেই।
ঢাকাটাইমস: পাকিস্তান দূতাবাস ঘেরাও করতে যাওয়া গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জকে আপনি কিভাবে নিবেন?
নূহ-উল-আলম লেনিন: গণজাগরণ মঞ্চ থেকে সরকারকে ডিক্টেট করার জন্য বিশ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দেয়া হলো। তারা কি নিজেদের আরেকটা প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করাতে চায়? গণজাগরণ মঞ্চ কোনো সংগঠন না। একটা আন্দোলনের নাম, একটা প্রতীকী নাম। যেখানে আমরাও ছিলাম। কিন্তু পরে তাদের কার্যকলাপ দেখে আমরা সেখান থেকে চলে এসেছি। গণজাগরণের যে নিন্দা প্রতিবাদ ছিল প্রথম দিন তারা সেটা স্বাভাবিক ভাবেই জানিয়েছে। কিন্তু পরদিন তাদেরকে ওখানে না গিয়ে শাহবাগে প্রতিবাদ করার জন্য বলা হয়েছিল। কারণ একটা দেশের সরকারকে অবশ্যই ডিপ্লোমেটিক জোনকে নিরাপত্তা দিতে হয়। তা না দিতে পালে তারা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে বলবে আমাদের বাংলাদেশে থাকার পরিবেশ নেই, যা সরকারের জন্য অপমানকর। একজন ব্লগার নেতা হয়ে গেল? সে আল্টিমেটাম দিয়ে সরকারকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে ডিক্টেট করতে চায়? এটা একটা ঔদ্ধত্য, এটা মানা যায় না। গণজাগরণ মঞ্চের এই ছেলেটি গণজাগরণ মঞ্চেরই অনেক ক্ষতি করেছে। তার কারণে আজ সেখানে ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগ নেই। তারা নিজেরাই বহুভাগে বিভক্ত হয়েছে। যে কারণে এখন আর সেখানে গণজমায়েত হয় না। ইমরান এইচ সরকার অপ্রাসঙ্গিক ও অনিয়ন্ত্রিত কথাবার্তা বলে সরকারকে প্রতিপক্ষ বানানোর চেষ্টা করছে। সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিচ্ছে যা কাক্সিক্ষত নয়।
ঢাকাটাইমস: দশম নির্বাচন শেষে একাদশ নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যকে আপনি কিভাবে দেখেন?
নূহ-উল-আলম লেনিন: আমাদের কোনো নেতাই নিজের মতামত বলছেন না। নেত্রীর বক্তব্য ও আমাদের পার্টির মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে, তার ভিত্তিতেই তারা এসব কথা বলছেন। আমাদের কথা হলো নির্ধারিত সময়েই আমরা এই নির্বাচন সুসম্পন্ন করতে চাই। আবার যদি তাদের মতে, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করতেই হয়, তাহলে আমরা সেখানে বলেছি, আপনারা সংঘাত বন্ধ করেন। হরতাল, অবরোধ মানুষ হত্যা বন্ধ করে জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করেন। তারপর আসুন আমরা আলোচনা করি। আর আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন কিভাবে হতে পারে সেটা নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাই। সেটা দুই বছর পরে নাকি এক বছর পরে, নাকি ছয়দিন পরে অনুষ্ঠিত হবে তা সমাধানের ওপরই নির্ভর করবে। আমাদের শর্তগুলো মেনে নিলে সে পথ উন্মুক্ত হয়ে যাবে।
ঢাকাটাইমস: সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য জাতিসংঘের বিশেষ দূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো বাংলাদেশ সফর করেছেন। দুই দলকে আলোচনার টেবিলে বসিয়েছেন। আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তারপরও বিরোধী দল ছাড়া নির্বাচন হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক মহলের কোনো চাপ আছে কিনা?
নূহ-উল-আলম লেনিন: আমেরিকা বা ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেনি। আজকে যে সংঘাতটা হচ্ছে তা ’৭১-এর বর্ধিত রূপ। সুতরাং সেই ’৭১-এর মেরুকরণেই আমেরিকা বা বহির্বিশ্ব আমাদের বিরোধিতা করছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল। তারা একদিকে সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বলছে আবার অন্যদিকে তাদের পক্ষ নিচ্ছে। আমার মনে হয় বাঙালি জাতি এক হলে বিদেশিরা আমাদের সব ব্যাপারে নাক গলাতে পারবে না।
ঢাকাটাইমস: হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গ্রেফতার, তার বিভিন্ন সময় দেয়া নানান বক্তব্য ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণাকে আপনি কিভাবে দেখেন?
নূহ-উল-আলম লেনিন: এরশাদ একজন আনপ্রেডিক্টেবল ম্যান। তিনি রাজনীতিকে কলুষিত করেছেন। যে কারণে তার দল তিন চার খ- হলো। আমার প্রশ্ন হলো, তিনি যদি গ্রেফতারই হবেন তবে সেখান থেকে তিনি বিবৃতি দিলেন কি করে? যে কথাগুলো সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার ভাইরা প্রচার করছেন।
ঢাকাটাইমস: দেশের সার্বিক বিষয় নিয়ে বর্তমান সময়ে সরকারের জনপ্রয়িতা কোনো পর্যায়ে আছে বলে আপনি মনে করেন?
নূহ-উল-আলম লেনিন: যে কোনো দল ক্ষমতায় থাকলে তার কাছে মানুষের বহু প্রত্যাশা থাকে, যা শতভাগ পূরণ করা সরকারের পক্ষে সম্ভব হয় না। আমাদের দলের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার ছিল আমরা তার সঠিক জবাব দিতে পারিনি। যে কারণে আমাদের জনপ্রিয়তা কিছুটা কমেছে। সরকার যে জনপ্রিয়তা নিয়ে এসেছিল সেই জনপ্রিয়তায় কিছুটা টান খাবে এটাই স্বাভাবিক। সরকার একেবারে অজনপ্রিয় হয়ে পড়লে ঢাকা শহরের লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে আসত। জনপ্রিয়তার হ্রাস-বৃদ্ধি হয়। কিন্তু আমি মনে করি না যে সরকারের জনপ্রিয়তা কমে গেছে।
ঢাকাটাইমস: আগামী জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে আপনি সার্বিক বক্তব্য যদি বলেন...।
নূহ-উল-আলম লেনিন: আমরা মনে করি ৫ জানুয়ারির নির্বাচন একটি উৎসবমুখর পরিবেশের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা চেয়েছিলাম সব দলের অংশগ্রহণে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বিএনপির একগুঁয়েমির জন্য তা সম্ভব হলো না। জামায়াতকে ছাড়তে না পারার জন্য আমাদের সমস্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। যেটা খুবই দুঃখজনক। তার পরেও এই নির্বাচন আমাদের করতে হবে। সেখানে জনগণকে অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাব। এবং এই নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান গণতন্ত্র রক্ষা করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। আর এই নির্বাচনই শেষ কথা না। এর পরও সব দলের অংশগ্রহণে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হতে পারে।
(ঢাকাটাইমস/ ০২ জানুয়ারি/ এআর/ ঘ.)