logo ২০ এপ্রিল ২০২৫
বিএনপির আন্দোলন সহিংসতায় পরিণত হয়েছে
০৭ ডিসেম্বর, ২০১৩ ১৭:১৭:১৯
image


দেশের চলমান রাজনীতির অস্থিরতা এখনো কমেনি। এজন্য প্রধান দুই রাজনৈতিক দল পরস্পরকে দায়ী করছে। সম্প্রতি বিএনপি প্রকাশ্যে না এসে ভিডিও বার্তা পাঠাচ্ছে। অন্যদিকে সরকার আন্দোলনকারীদেরকে দেখামাত্রই গুলি করছে। এদিকে এরশাদ তার ডিগবাজির ধারা অব্যহত রেখেছে। এরকম পরিস্থিতিতে কী করণীয় হতে পারে এ বিষয়ে ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাথে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মানিক মোহাম্মদ।

ঢাকাটাইমস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান সত্ত্বেও বিএনপি অনঢ় অবস্থায় থেকে আন্দোলন করছে।  সাধারণ জণগনকে জিম্মি করে রাজনীতি করছে। বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন?

আরেফিন সিদ্দিক: বিরোধীদলের বর্তমান পর্যায়ের আন্দোলন আর রাজনৈতিক আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটা এখন রাজনৈতিক সহিংসতায় পরিণত হয়েছে। গণসহিংসতায় পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক আন্দোলন আর সহিংসতা দুটো ভিন্ন জায়গা। আমরা চাই রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ রাজনৈতিক আন্দোলনে থাকবেন। যেসব আন্দোলন আমরা অতীতে দেখেছি। আন্দোলনকারীরা সাধারণ মানুষদের মেরে ফেলছে। এই ধরনের ঘটনা এদেশে তো নেই বিদেশেও দেখা যায়নি। রাজনৈতিক আন্দোলন রাজনীতির মতোই থাকা উচিত বলে মনে করি।  

ঢাকাটাইমস: বিএনপি তিনবার দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু আত্মগোপনে থেকে তাদের পাঠানো ভিডিও বার্তাকে কি গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর মনে করেন?

আরেফিন সিদ্দিক: বিএনপির সম্প্রতি যে গোপন ভিডিও বার্তা পাঠাচ্ছে তার সাথে গণতন্ত্রের কোন সম্পর্ক নেই। এটা জঙ্গিবাদ, মৌলবাদের পর্যায়ে আমরা লক্ষ্য করেছি। যারা ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের সাধারণ মানুষদের হত্যা করেছে তাদের বিচার চলছে। এই বিচারকে এখন বাধাগ্রস্থ করার জন্য এই ধরনের কার্যক্রমে তারা অংশগ্রহণ করছে। বাস আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। রেল লাইন উপড়ে ফেলা হচ্ছে। এমনকি যেদিন অবরোধ-হরতাল নেই সেদিনও এসব কাজ করা হচ্ছে। এগুলো কিসের আলামত! এসব আলামত ১৯৭১ সালে রাজাকারদের ঘটনাকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

ঢাকাটাইমস: শেখ হাসিনা এর আগেও ক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু কখনো বিরোধীদের দেখামাত্র গুলি করা হতো না। তবে এখন কেন গুলি করা হচ্ছে?

আরেফিন সিদ্দিক: জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যদি প্রয়োজন হয় তাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। যাতে সাধারণ মানুষের ধন-সম্পদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।  

ঢাকাটাইমস: সংলাপ বা আলোচনার কথা বলা সত্ত্বেও কোন দলই পাত্তা দিচ্ছে না। তাহলে দেশের ভবিষৎ কি হবে?

আরেফিন সিদ্দিক: বিরোধীদলকে সংলাপে আসতেই হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাদেরকে সংলাপের আহবান জানানো হয়েছে। তাদেরকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও দেয়ার জন্য সরকার প্রস্তুত রয়েছে। এই আহবানের জবাব দিয়ে তাদেরকে আলোচনার টেবিলে আসা এটা সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা।  

ঢাকাটাইমস: এরশাদের বর্তমান কর্মকা- নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কি?

আরেফিন সিদ্দিক: এরশাদকে নিয়ে কোন মন্তব্য না করাই ভাল।

ঢাকাটাইমস: সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যাবাদ।

আরেফিন সিদ্দিক: আপনাকেও ধন্যবাদ।

(ঢাকাটাইমস/৭ ডিসেম্বর/এমএম/জেডএ.)