logo ১৪ মে ২০২৫
সিইউজের নির্বাচন কাল
প্রার্থীদের প্রচারণায় সরগরম মিডিয়া হাউসগুলো
ইব্রাহিম খলিল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
৩০ মার্চ, ২০১৪ ১৩:৫০:২২
image


চট্টগ্রাম: সিইউজের নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে মিডিয়া হাউসগুলো। নাওয়া-খাওয়া ভুলে এক হাউস থেকে আরেক হাউসে এখন প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন তাঁরা।

আর মাত্র একদিন পর সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সংগঠনটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। এতে ২৯৩ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। বেছে নিবেন নিজেদের পছন্দের নেতাকে।

নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দৈনিক পূর্বকোণের বিভাগীয় স¤পাদক এজাজ ইউসুফী, ডেইলি ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান নাজিম উদ্দিন শ্যামল, বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।

সাধারণ স¤পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান তপন চক্রবর্তী, দৈনিক পূর্বকোণের সিনিয়র রিপোর্টার মোহাম্মদ আলী, বৈশাখী টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান হাসান ফেরদৌস।

সহ-সভাপতি পদে দৈনিক সংবাদের নিরূপম দাশগুপ্ত ও দৈনিক পূর্বদেশের রতন কান্তি দেবাশীষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দৈনিক পূর্বকোণের খোরশেদুল আলম শামীম, দৈনিক পূর্বদেশের শামসুল ইসলাম ও দৈনিক কর্ণফুলীর সাবেক ইউনিট প্রধান শিব্বির আহমদ রাশেদ। অর্থ স¤পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দৈনিক পূর্বকোণের আফসার মাহফুজ ও দৈনিক কর্ণফুলীর মুজাহিদুল ইসলাম।

সাংগঠনিক স¤পাদক পদে জিটিভির টিটো বড়ুয়া (অনিন্দ্য টিটো), দৈনিক পূর্বকোণের প্রণব বড়ুয়া অর্ণব, দৈনিক আজাদীর সবুর শুভ ও দৈনিক ভোরের কাগজের স্বরূপ ভট্টাচার্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রচার ও প্রকাশনা স¤পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দৈনিক নয়াবাংলার পুলক সরকার ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাইদুল ইসলাম। নির্বাহী সদস্যের তিনটি পদে রাশেদ মাহমুদ, অনুজ দেব বাপু, এনামুল হক, কামাল উদ্দিন খোকন, ফারুক তাহের ও মিহির চক্রবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচিত হলে কী করবেন জানতে চাইলে এজাজ ইউসুফী বলেন, রাজনৈতিক লেজুড় বৃত্তি থেকে সাংবাদিকতা পেশার মর্যাদাকে রক্ষার চেষ্টা করব। কর্মহীন সাংবাদিকদের কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালাব। অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নসহ সাংবাদিকতায় পেশাগত যে বৈষম্য রয়েছে, তা দূর করার জন্য কাজ করব।

নাজিম উদ্দিন শ্যামল বলেন, সকলকে সাথে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের চাকুরির নিয়োগ ও অষ্টম ওয়েজ বোর্ড অনুসারে বেতন-বাতা প্রদানে মালিকদের বাধ্য করবো।

রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, আমি নির্বাচিত হলে অপসাংবাদিকতা রোধে ভুয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। ইউনিয়নকে প্রকৃত অর্থে প্রগতিশীলদের দূর্গে পরিণত করতে কাজ করে যাব। একই মন্তব্য করেছেন সাধারণ স¤পাদক প্রার্থী তপন চক্রবর্তী ও মোহাম্মদ আলী। কোনো কথা বলতে রাজি হননি অপর প্রার্থী হাসান ফেরদৌস। তবে অন্য প্রার্থীরা নির্বাচনে জয়ী হতে সাংবাদিক সমাজের পেশাগত মানন্নোয়ন, মর্যাদা রক্ষা, অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।

জৈষ্ঠ্য সাংবাদিকদের মতে, সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচনের শীর্ষপদগুলোতে হেভিওয়েট প্রার্থী থাকায় হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে। যাঁরা শীর্ষপদগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁদেরই প্রায় সবাই ইতোপূর্বে সাংবাদিকতা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।