ঢাকা: সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে শৃঙ্খলার অভাব স্পষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে দেড়শরও বেশি উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এই বিদ্রোহীরা জিতেছেন কমই, কিন্তু দল সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজয়টি ঠিকই নিশ্চিত করেছেন তারা।
বিদ্রোহী প্রার্থীর সমস্যা ছিল বিএনপিতেও, তবে সরকার সমর্থকদের তুলনায় তা বেশ কম। আর জামায়াতে ইসলামীতে এই সমস্যা নেই একেবারে।
সাংগঠনিক শক্তি আর জনসমর্থনের দিক থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল নিঃসন্দেহে আওয়ামী লীগ। এরশাদ সরকারের পতনের পর ২০০১ সাল ছাড়া এখন পর্যন্ত সবকটি সংসদ নির্বাচনেই এককভাবে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে। আর দেশের সব অঞ্চলেই ভোট পায় দলটি।
কিন্তু ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকা- গতিশীলতা হারায় আগের তুলনায়। জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে সময় মতো দলের কেন্দ্রীয় কমিটি করা হলেও জেলা কমিটিগুলো স্থবির হয়ে আছে বছরের পর বছর। এর মধ্যে পিরোজপুরে সম্মেলন হয় না ২১ বছর। ১০ থেকে ১২ বছর ধরে সম্মেলন হয় না এমন জেলার সংখ্যাও ১০টির বেশি।
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, প্রতি তিন বছর পরপর দলের সব পর্যায়ে সম্মেলনের বিধান রয়েছে। দলের জাতীয় কাউন্সিল করা হলেও অনেক জেলা-উপজেলা কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ অবস্থায় থাকে।
প্রয়াত আব্দুল জলিল সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা (দক্ষিণ), বরিশাল মহানগর, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরিশাল, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মাদারীপুর ও কুমিল্লা (উত্তর) জেলায় সম্মেলন হয়নি। এসব জেলার নেতাকর্মীরা জানেন না সম্মেলন কী জিনিস। এই ১১ জেলা কমিটির মেয়াদ পেরিয়েছে এক যুগ আগে।
সহযোগী সংগঠনগুলোরও একই দশা। স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, কৃষক লীগ এবং ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনেরও মেয়াদ নেই। শুধুমাত্র যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি হয়েছে গত বছর।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সভাপতি নূহ-উল-আলম লেনিন ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘আমাদের জেলা কমিটি গঠনের জন্য সাতটি সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচনের জন্য কিছুদিন কার্যক্রম বন্ধ ছিল।’
শৃঙ্খলা নেই শেখ হাসিনা ও সৈয়দ আশরাফের এলাকায়ই: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদীয় আসন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, রংপুরের পীরগঞ্জ এবং স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কিশোরগঞ্জ সদর আসনের উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। এই পরাজয়ের কারণ দলের বিদ্রোহী প্রার্থী। দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের আসনেও একক প্রার্থী দিতে না পারায় দলের জন্য বিব্রতকর হিসেবেই দেখছেন নেতারা।
সংসদের উপনেতা সাজেদা চৌধুরী, সভাপতিম-লীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ অনেক ডাকসাইটে নেতার নির্বাচনী এলাকায়ও একক প্রার্থী দিতে পারেনি আওয়ামী লীগ। আর দলের একাধিক প্রার্থীর ভোট ভাগাভাগিতে জিতে গেছে অন্য দল সমর্থিতরা।
একাধিক জেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দলের কেন্দ্র থেকে উপজেলায় একক প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করেছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জেলা পর্যায়ে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদেরকে মানতে চাননি বিদ্রোহীরা।
স্থবির জেলা কমিটি
অনেক জেলা কমিটির নেতারাই জানেন না কবে হয়েছে জেলা সম্মেলন। কেউ কেউ ভুলে গেছেন তিনি কবে দায়িত্ব পেয়েছেন। মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা কমিটির কারণে জেলায় জেলায় নেতাদের দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের সঙ্গে বিগত বছরে একবারের জন্যও কথা হয়নি অনেক জেলা কমিটির প্রধানদের।
দলের বেশ কয়েকজন নেতা ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলে দলের নেতাদের মধ্যে স্বার্থের দ্বন্দ্ব কম থাকে। কিন্তু সরকারে থাকলে বিভিন্ন স্বার্থগোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব দলকে স্থবির করে ফেলে। ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই ঘটনাটিই ঘটেছে।
সম্মেলন না হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব আসার পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে। এতে জেলায় জেলায় দ্বন্দ্ব লেগেই আছে।
আওয়ামী লীগের জেলা কমিটিগুলোর কোনোটিতে সভাপতি কোনোটিতে সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত। আহ্বায়ক কমিটিও আছে কয়েকটি জেলায়। কোথাও কোথাও দুটি শীর্ষ পদে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত নেতারা। ঢাকা, রাজশাহী মহানগরীতেও এমন অবস্থা রয়েছে। সিলেট মহানগর কমিটিতে খালি রয়েছে সাধারণ সম্পাদক পদটি, বরিশাল মহানগরও চলছে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে।
২০১২ সালের জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত হয়েছিল। এই কমিটি দেড় বছর এবং আগের কমিটি সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় পার করলেও কেন্দ্রীয় কমিটি দলীয় একটি সাংগঠনিক জেলারও সম্মেলন বা নতুন কমিটি দিতে পারেনি, উপজেলা সম্মেলন তো দূরের কথা। ওয়ার্ড, ইউনিয়ন কোথাও সম্মেলন হয়নি। কেন্দ্রীয় কমিটি গত কয়েক বছরে বারবার জেলা সফর কর্মসূচি দিয়েও তা সফল করতে পারেনি।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কমিটি হয়েছিল ২০০৩ সালের ৪ জুন। ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের মৃত্যুর পর থেকে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগে সভাপতির পদটি চলছে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে। এ পদে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এম এ আজিজ।
কিন্তু এম এ আজিজের সঙ্গে অন্য নেতাদের দুরত্ব তৈরি হয়েছে নানা কারণে। এ নিয়ে তিনজন নেতা সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন আজিজের বিরুদ্ধে। তাদের সঙ্গে আছেন কর্মীদের একটি বড় অংশ। আর এ কারণে নগর কমিটিতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল তীব্র হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, রংপুর, যশোর, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলায় কেন্দ্রীয় নেতারা পড়েছেন নেতা-কর্মীদের ক্ষোভের মুখে।
আওয়ামী লীগের মধ্যম সারির কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উদ্যম হারিয়ে ফেলেছেন। এ কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রমেও কিছুটা স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
ভারপ্রাপ্তে ভারাক্রান্ত দল
সভাপতি শেখ হাসিনার নিজ জেলা গোপালগঞ্জেও নেই আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। জেলা কমিটি চলছে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজা মিয়া বাটুর নেতৃত্বে। জানতে চাইলে তিনি ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘আমি গত আড়াই বছর ধরে এই দায়িত্বে আছি। আমার আগে যিনি ছিলেন তিনি আট বছর ছিলেন।’
সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নিজ জেলা কিশোরগঞ্জের অবস্থাও একই। জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুলের ভাই সৈয়দ ওয়াহিদুল ইসলাম। এ জেলার সাধারণ সম্পাদকও ভারপ্রাপ্ত।
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজাল ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘১৯৯৭ সালে সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চললেও এই কমিটির আহ্বায়ক এস এম আকরাম নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের প্রার্থী নিয়ে সিদ্ধান্ত মানতে পারেননি। এ কারণে তিনি পদত্যাগ করেন। আর এখন জেলা কমিটি চলছে আহ্বায়ক ছাড়া।
মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের শেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৬ সালের জুলাইয়ে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া আর কোনো কর্মকর্তা এখানে নির্বাচন করা হয়নি। জেলা কমিটির সভাপতি ফেরদৌস জমাদ্দার মারা যাওয়ার পর কাউকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না সহসভাপতি পদে কেউ না থাকায়।
নেত্রকোনা জেলা কমিটির সভাপতি শামসুজ্জোহাকে দল থেকে বহিষ্কারের পর থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মতিয়ার রহমান খান। ৯ বছর আগে এ জেলার সম্মেলন হয়েছিল।
সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুই জনই ভারপ্রাপ্ত। ১৯৯৯ সালের সম্মেলনে নির্বাচিত সভাপতি আবদুস জহুর মারা যাওয়ার পর ৬ বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন মতিউর রহমান। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন নুরুল হুদা মুকুট।
গাইবান্ধা জেলা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ খালেদ ২০০৬ সালে মারা গেছেন। সেই থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন সৈয়দ শামসুল আলম হিরু। তিনি আগে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
জানতে চাইলে সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি। আমার বিভাগে গাইবান্ধা ছাড়া বাকি সব জেলার কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় জেলার কমিটি যেকোনো সময়ই ঘোষণা করা হবে।’
সিরাজগঞ্জে ২০০৫ সালের ২৭ নভেম্বরের সম্মেলনে নির্বাচিত সভাপতি আবদুল লতিফ মির্জা মারা গেছেন আড়াই বছর আগে। তখন থেকেই ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোস্তাফিজুর রহমান বিএসসি।
বরিশাল জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোখলেছুর রহমান। সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুর পর থেকে তিনি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে আছেন।
বরিশাল মহানগর কমিটিও চলছে শওকত হোসেন হিরণের আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে।
রাজশাহী মহানগরের সম্মেলন হয়েছিল ২০০৪ সালে। সম্মেলনে নির্বাচিত সভাপতি মাসুদুল হক ডুলু মারা গেছেন ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। তখন থেকে প্রায় আড়াই বছর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে কাউকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। প্রথমে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বজলুর রহমানকে। পরবর্তী সময়ে তাকে ‘ভারমুক্ত’ করে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মৌখিকভাবে কমিটির মেয়াদ ২০১২ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছেন। আগামী মে মাস নাগাদ আমাদের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।’
পিরোজপুর জেলার সম্মেলন হয়েছিল ২১ বছর আগে। ১৯৯২ সালে খিতিশ চন্দ্র ম-ল সভাপতি হলেও ওই কমিটি ভেঙে দেওয়া হয় ১৯৯৫ সালে। তখন কমিটির আহ্বায়ক হন চ-ীচরণ পাল। যুগ্ম আহ্বায়ক হন আকরাম হোসেন। এখন তিনি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভারপ্রাপ্ত নেতারা দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১০ সালের ২২ নভেম্বর জেলা সভাপতি লুৎফুল হাই সাচ্চু মারা যাওয়ার পর সৈয়দ এমদাদুল বারীকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর অসুস্থ। তার বাকশক্তি নেই। বর্তমানে জহিরুল হক খান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
কক্সবাজারে এ কে আহম্মদ হোছাইন ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
আলী আশরাফ ২০০৩ সালে কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক হওয়ার পর কুমিল্লা (উত্তর) সভাপতির পদ ছাড়েন। তখন থেকে আবদুল আউয়াল সরকার ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
কুমিল্লা (দক্ষিণ) পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের (লোটাস কামাল) নেতৃতে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছে।
নোয়াখালী জেলা সভাপতি মারা যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন খায়রুল আনম সেলিম।
সম্মেলন হয়েছে যেসব জেলায়
দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয় ২০১২ সালের ২৩ ডিসেম্বর। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার সভাপতি এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজুল ইমাম চৌধুরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৪ বছর পর ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর ফেনী জেলার সম্মেলন হয়। সম্মেলনে জেলা সভাপতি নির্বাচিত হন সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বি.কম এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন নিজাম উদ্দীন হাজারী।
(ঢাকাটাইমস/০৯এপ্রিল/টিএ/এএসএ)