logo ০২ মে ২০২৫
থমকে আছে ফারুক হত্যা মামলার তদন্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
১১ এপ্রিল, ২০১৪ ১৭:২৯:৩৮
image


ঢাকা: ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান ফারুক হত্যাকা-ের মামলার তদন্তে অগ্রগতি নেই। হত্যাকাণ্ডের প্রায় চার মাস পার হলেও আসামিদের গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের পরপরই ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ কমিটি বিলুপ্ত এবং সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কার করার ঘোষণা দেয়া হলেও সংগঠনে এখনো তারা সরব। ফারুক হত্যাকাণ্ডের পর তারা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন ক্যাম্পাসে। নিয়মিত কলেজে মহড়া দিচ্ছেন। সক্রিয় আছেন দলীয় কর্মসূচিতেও।

অপরদিকে খুনের বিচার না করে চলছে পাল্টা রাজনীতি। কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক একে অপরের গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। যেন কেন্দ্র থেকে বিষয়টি সমঝোতা করে দেয়া হয়। কিন্তু মামলা দুটির নথি থেকে জানা গেছে, কোনো মামলায়ই ঘটনার মূল হোতা কলেজ ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আসামি করা হয়নি। তবে ঝামেলা এড়াতে ফারুকের দরিদ্র পরিবার কোনো মামলা করেনি।

সন্তানের শোকে পাগলপ্রায় বাবা মা। কোন অপরাধ না করেই অকালে সন্তানের এমন মৃত্যু মানতে পারছেন না তারা। ঘটনার এতদিন পরেও পুলিশ কোন আসামিকে গ্রেপ্তার না করায় আদৌ সন্তান হত্যার বিচার পাবেন কিনা যথেষ্ট সংশয়ে আছেন নিহত ফারুকের বাবা।

নিহত ফারুকের বাবা মুনির হোসেন মুঠোফোনে ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘আশা ছিল ফারুক অনেক বড় হবে সে সংসারের হাল ধরবে। সংসারের অভাব দূর হবে। কিন্তু রাজনীতি-মারামারি না করেও আমার ছেলেটা কেন লাশ হলো, আমি এর বিচার চাই।’

জানতে চাইলে নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছির আরাফত ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিহত ফারুক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা দুইটি মামলা অধিকতর তদন্ত করার জন্য সম্প্রতি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যথেষ্ট স্বাক্ষ্য প্রমাণ না থাকায় আমরা কোনো আসামি গ্রেপ্তার করতে পারছি না।”

তাছাড়া ফারুক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়  কলেজ কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন চার মাসেও আলোর মুখ দেখেনি। এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ ড. আয়েশা বেগম বলেন, ‘অভ্যন্তরীণভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে । এ ঘটনায় কয়েকজন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আর অস্ত্রবাজি করলে তা দেখার দায়িত্ব পুলিশের।”

(ঢাকাটাইমস/ ১১ এপ্রিল/ এএ / জেডএ.)