সিলেট: সিলেট বিএনপিকে শক্তিশালী করতে দলটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পাচ্ছেন বর্তমান সহসাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন। বিএনপির নিখোঁজ সাংগঠনিক সম্পাদক এম. ইলিয়াস আলীর অবর্তমানে সাংগঠনিক কর্মকা-ে গতি আনতেই তাকে এ দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে বলে বিএনপির একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছে।
সূত্রমতে, গত বুধবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেন দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। আগামী দুই একদিনের মধ্যেই তাকে আনুষ্ঠানিক আনুষ্ঠানিকভাবে ওই দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বুধবারের সভায় স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য ডা. জীবনকে ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন তাকে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব প্রদানের কথা জানান। স্থায়ী কমিটির সবাই এতে সায় দেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ সাখাওয়াত হোসেন জীবন ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আমিও বিষয়টি শুনেছি। তবে, এখন পর্যন্ত দলের কোন দায়িত্বশীল নেতা আমাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।
এ দিকে এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পেতে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে লবিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর বিএনপির সভাপতি এম এ হক এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এই দুই হকের ঠান্ডা লড়াইও চলছিল।
বিশেষ করে আরিফুল হক সিটি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি-ই সাংগঠনিক পদ পাচ্ছেন এমন গুঞ্জণ ছড়ানো হয় সিলেট বিএনপি পরিবারে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি এম. ইলিয়াস আলীকে সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবনকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই আন্দোলন সংগ্রাম ও স্থানীয় নির্বাচনে ব্যাপক তৎপরতার মাধ্যমে রাজনৈতিক মহলে আলোচনায় উঠে আসেন ইলিয়াস আলী। সে সময় তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন ডা. জীবন। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে বাসায় ফেরার সময় মহাখালী থেকে গাড়িচালকসহ নিখোঁজ হন ইলিয়াস আলী। এরপর সিলেট বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকান্ডে সমন্বয়হীনতার সৃষ্টি হয়।
(ঢাকাটাইমস/ ১১ এপ্রিল/ প্রতিনিধি/এআর/ ঘ.)